বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১২

দ্বীপের আদলে 'প্রমোদতরী'!!!!!


একটি দ্বীপে যে পরিবেশ থাকার কথা সে পরিবেশের পুরোটাই তুলে আনা হয়েছে নতুন বানানো এক প্রমোদতরীতে। ছোটো ঘর, আগ্নেয়গিরি, বন বা সমুদ্রতট সবই একটি প্রমোদতরীতেই স্থান করে নিয়েছে। সমুদ্রের বুকে ছোটোখাটো দ্বীপের মতোই এ নিয়ে ভেসে বেড়ানো যাবে। সম্প্রতি এমনই একটি প্রমোদতরী তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রোকৌশলীরা।

জানা যায়, প্রমোদতরীটি তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যের ইয়ট নির্মতা প্রতিষ্ঠান ইয়ট আইল্যান্ড ডিজাইন।
৯০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ প্রমোদতরীটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ট্রপিক্যাল আইল্যান্ড প্যারাডাইস’ বা ‘গ্রীষ্মমণ্ডলীয় স্বর্গদ্বীপ’।


তরীতে একটি আগ্নেয়গিরিও রয়েছে। তবে এই আগ্নেয়গিরি থেকে লাভার বদলে বের হবে শীতল পানির ধারা। সে পানি গিয়ে জমবে সুইমিং পুলে। এতে আরো আছে পাঠাগার, সিনেমা হল, গেম খেলার জায়গা, শরীরচর্চার স্থান এবং ভিআইপি স্যুইট।

প্রমোদতরীটিতে বিনোদনের ব্যবস্থা ছাড়াও একান্তে সময় কাটানোর জন্য আলাদা স্থানও রাখা হয়েছে। ১০ জন অতিথি নিয়ে এ প্রমোদতরীটি ১৫ নট গতিতে সমুদ্রে ভেসে বেড়াতে সক্ষম।

এতে হেলিকপ্টার নামার একটি হেলিপ্যাডও রয়েছে, আরো রয়েছে বার, ব্যক্তিগত স্পা ব্যবস্থাসহ ব্যক্তিগত ব্যালকনিও!

RAM-এর গতি বাড়ানোর উপায়।



উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের সময় অনেক Page File তৈরি হয় যা ভার্চুয়াল মেমোরি হিসেবে কাজ করে। আর এই Page File গুলো ধীরে ধীরে কম্পিউটারে জমা হয়ে RAM-এর গতি কমিয়ে দেয়। এই অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো আপনি বিভিন্নভাবে মুছে ফেলতে পারেন।

১। কম্পিউটার বন্ধ করার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই ফাইলগুলো আপনি মুছে ফেলতে পারেন। এ জন্য Start থেকে Control Panel হয়ে Administrative Tools/ Local Security Policy/ Security Settings/ Local Policies/ Security Options ঠিকানায় যান। ডানপাশের Shutdown : Clear virtual memory page file অপশনে ডাবল ক্লিক করলে নতুন একটি উইন্ডো আসবে। এবার অপশনটি Enable করে OK দিয়ে বের হয়ে আসুন। এখন কম্পিউটার বন্ধের সময় virtual memory page file গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে।

২। Start/ Run-এ গিয়ে Tree লিখে Enter চাপলে RAM-এর গতি কিছুটা বাড়বে। এই কাজটি মাঝেমধ্যে করলে আপনার কম্পিউটার গতিশীল থাকবে।

ওয়াই-ফাই টেকনোলজির আদ্যোপান্ত।



গোটা বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয় এসে পড়েছে প্রযুক্তির এক অভাবনীয় ছোঁয়ায়। প্রযুক্তি ছাড়া আধুনিক বিশ্বে জীবন-যাপনের কথা চিন্তা করা যায় না। প্রতিনিয়ত আবিষ্কৃত হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক-এর ধারনা মোটেই নতুন নয়। কিন্তু এই ওয়্যারলেস টেকনোলজি নিয়ে এক ভিন্নধর্মী উপস্থাপন করা হচ্ছে যা বর্তমানে আলোচিত বিষয় হিসেবে গণ্য। বর্তমানে দাম কমে আসার ফলে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এখন অনেকেই বাসায় স্থাপন করছেন। আসুন এখানে আমরা ওয়্যারলেস টেকনোলজির আদ্যপ্রান্ত জেনে নিই।

ওয়াই-ফাই কি?
Wi-Fi অথবা Wireless Fidelity একটি স্বাধীন নেটওয়ার্ক যা আপনাকে বাড়ীতে, হোটেল রুম, কনফারেন্স রুম সর্বত্রই তারবিহীন অবস্থায় নেটওয়ার্ক (এরিয়াভিত্তিক অথবা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক) জগতে প্রবেশের অনুমতি দেয়। কিভাবে তা সম্ভব? এই ওয়াই-ফাই একটি ওয়্যারলেস টেকনোলজি যা সেলফোনের মতো কাজ করে। ওয়াই-ফাই যে কোন স্থানে বেইজ স্টেশনের আওতায় আপনার কম্পিউটারকে দ্রুততা সম্পন্নভাবে ডেটা আদান-প্রদানে কার্যক্ষম রাখে দ্রুতগতি সম্পন্ন ক্যাবল মডেমের তুলনায়।

আপনার কম্পিউটার একটি ওয়াই-ফাই সার্টিফাইড রেডিও(একটি পিসি কার্ড অথবা সমজাতীয় ডিভাইস)-এর সহিত কনফিগার করা হলে তা যে কোন স্থানে একটি প্রকৃত স্বাধীন কানেকশন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে। ওয়াই-ফাই সার্টিফিকেশন-এর অর্থ ওয়াই-ফাই সার্টিফাইড প্রোডাক্টের মাধ্যমে বাড়ীতে, অফিসে অথবা কর্পোরেট ক্যাম্পাস অথবা এয়ারপোর্ট, হোটেল, কফি শোপ এবং অন্যান্য পাবলিক এরিয়া যে কোন স্থানে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কানেকশন পাওয়া।

ওয়াই-ফাই যা আপনাকে করতে দেয়
বাসার যে কোন স্থানে বসে আপনি আপনার ল্যাপটপ হতে ই-মেইল চেক করতে পারেন অথবা প্রয়োজনীয় তথ্য দেখে নিতে পারেন। আপনি এয়ারপোর্ট অথবা কফিশপ হতে অফিস নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারেন-এটা অভাবনীয় বটে! এমনকি কর্পোরেট নেটওয়ার্ক হতে ফাইল দেখা, উপস্থাপন করা, ইন্টারনেট ব্রাউজ করা, সহকর্মীদের নিকট ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজ পাঠানো এবং এসবের সবই করতে পারেন কনফারেন্স রুম অথবা কোম্পানী ক্যাফটেরিয়া হতেও।  আর এটি করা সম্ভব সহজ ও দ্রুততা সম্পন্নভাবে এই ওয়্যারলেস টেকনোলজির সুবাদে। এই হচ্ছে ওয়াই-ফাই, ওয়্যারলেস টেকনোলজি।

আপনার সমগ্র অফিস স্থানান্তর ছাড়াই, নেটওয়ার্কিং ইনস্টল-এর ইনভেস্টমেন্টের কোন ঘাটতি ছাড়াই এমনকি অতিরিক্ত স্টাফ ছাড়াই ওয়াই-ফাই টেকনোলজিতে সংযুক্ত হতে পারেন।

ওয়াই-ফাই টেকনোলজি
এটি খুব শক্তিশালী। ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক রেডিও টেকনোলজি ব্যবহার করে যা IEEE 802.11b অথবা 802.11a নামে পরিচিত। এটি সিকিউর, রিলেবল যা দ্রুত ওয়ারলেস কানেক্ট করতে সক্ষম।

ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের আদ্যপান্ত
টেকনোলজি নির্ভর পৃথিবী দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। আর ওয়্যারলেস জগতে প্রবেশের ফলে পৃথিবীকে আপনার হাতের মুঠোয় পেয়ে যাবেন। আপনি মোবাইল কম্পিউটটিং হতে এর সকল সুবিধা নিতে পারেন।

ওয়াই-ফাই কে ব্যবহার করতে পারবেন
বিশ্বের যে কোন স্থান হতে যে কেউ ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে পারেন। হোম ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক মাল্টিপল কম্পিউটারে একে অন্যের সহিত কানেক্ট করতে পারে। একটি ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক তার ফ্যামিলি কম্পিউটারের সহিত যেমন হার্ডওয়্যার, সফট্ওয়্যার রিসোর্স, প্রিন্টার এবং ইন্টারনেট শেয়ার করে। এর অর্থ ফ্যামিলির মধ্যে যে কেউ ফাইল, ফটো, ডকুমেন্ট এবং প্রিন্ট শেয়ার করে কোন ক্যাবল সংযোগ ছাড়াই।

হোম অথবা হোম অফিসে ওয়াই-ফাই সার্টিফাইড ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করে এই ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক আপনাকে হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শেয়ার করার ক্ষমতা দেয়। একটি ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে দশটি অথবা তার অধিক কম্পিউটার সংযুক্ত হতে পারে।

ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক কি করতে সক্ষম
রেডিও ব্যান্ড-এর নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি অনুসারে ওয়াই-ফাই ডিভাইসসমূহ একে অন্যের সহিত সিগনাল রিসিভ করে। এই কম্পোনেন্ট সরাসরি একে অন্যের সহিত কানেক্ট হয় (যাকে পেয়ার টু পেয়ার বলা যায়) একটি গেটওয়ে বা এক্সেস পয়েন্টের মাধ্যমে।

এই নেটওয়ার্কে ওয়াই-ফাই রেডিও সংযুক্ত হয় আপনার ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং মোবাইল ডিভাইসসমূহ। এক্সেসপয়েন্ট অথবা গেটওয়ে বেইজ স্টেশন হিসেবে কাজ করে। এটি সিগনাল সেন্ড অথবা রিসিভ করে ওয়াই-ফাই রেডিও হতে বিভিন্ন কম্পোনেন্ট একে অন্যের সহিত ইন্টারনেটে কানেক্ট করতে।  একটি সিঙ্গেল ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে সকল কম্পিউটার রিসোর্স শেয়ার অথবা ফাইল বিনিময় করে। কোন্টি প্রয়োজন পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক অথবা একটি বেইজ স্টেশন(একটি এক্সেস পয়েন্ট অথবা গেটওয়ে)
একটি পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক ওয়াই-ফাই ইকুইপমেন্টসহ কম্পিউটারসমূহ বেইজ স্টেশন ছাড়াই সংযুক্ত হতে পারে। সকল ধরণের ওয়াই-ফাই সার্টিফাইট ইকুইপমেন্ট এই ধরণের ওয়ারলেস সেটআপ সাপোর্ট করে যা কম্পিউটারসমূহের মধ্যে ডেটা ট্রান্সফারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে অথবা একটি রুমের মধ্যে কতকগুলি কম্পিউটারের মধ্যে ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করতে সক্ষম। যদি সীমিত বাজেটের কথা চিন্তা করেন সেক্ষেত্রে পেয়ার টু পেয়ার ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ভাল সলিউশন প্রদান করতে পারে। আর এতে সহজেই ইন্টারনেট শেয়ার করতে পারেন। 

ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও পিডিএ-এর জন্য কি ধরণের ওয়াই-ফাই রেডিও অপশন

ল্যাপটপ
অনেক ল্যাপটপ কমিউটার এবং মোবাইল কম্পিউটিং ডিভাইসের মধ্যে ওয়াই-ফাই রেডিও বিল্টইন থাকছে। আর এগুলি ওয়্যারলেস অপারেটের জন্য প্রস্তুত। আবার অনেক ল্যাপটপে ওয়াই-ফাই রেডিও ইমবেডেড যা একটি পিসি কার্ডের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়।
ডেস্কটপ
বিভিন্ন পদ্ধতিতে ডেস্কটপ কম্পিউটারে এই নেটওয়ার্ক সংযুক্ত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পিসি কার্ডের জন্য স্লট প্রোভাইড করে না। এর সহজতর মেথড হচ্ছে ইউএসবি ডিভাইস। এই ইউএসবি পোর্ট ডেস্কটপ কম্পিউটারের জন্য প্লাগ ইন। আপনার সিস্টেমে ইউএসবি পোর্ট না থাকলে আপনি পিসিআই অথবা আইএসএ বাস সলিউশন ইনস্টল করতে পারেন।

পিডিএ

পারসোনাল ডিজিটাল এ্যাসিস্ট্যান্ট যা পকেট পিসি নামে পরিচিত। এতে ওয়াই-ফাই রেডিও-এর জন্য কম্প্যাক্ট ফ্লাশ বিদ্যমান রয়েছে।

এক্সেস পয়েন্ট এবং গেটওয়ে-এর জন্য প্ল্যানিং
ওয়াই-ফাই এক্সেস পয়েন্ট অথবা গেটওয়ে ফাংশন নেটওয়ার্কে বেইজ স্টেশন হিসেবে কাজ করে। এটি সকল ওয়্যারলেস ক্লায়েন্ট ডিভাইসসমূহ ল্যাপটপ কম্পিউটার, পিডিএ, ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং ওয়্যারলেস পেরিফেরালস যেমন প্রিন্টার এ সেন্ট্রাল কানেকশন প্রতিষ্ঠা করে। বেইজ স্টেশন রেডিও সিগনাল ওয়াই-ফাই রেডিও হতে ল্যাপটপ অথবা পিসিতে পাঠায় ও গ্রহণ করে এবং নেটওয়ার্কে অন্যান্য ইউজারের মধ্যে ইন্টারনেট শেয়ার করে। এক্সেস পয়েন্ট ও গেটওয়ের মধ্যে একটি ওয়াইড রেঞ্জ ফিচার এবং দক্ষতা বিরাজমান রয়েছে কিন্তু তারা সকলেই বেসিক নেটওয়ার্ক কানেকশন সার্ভিস প্রোভাইড করে।

কতজন ইউজার একটি সিঙ্গেল এক্সেস পয়েন্ট ব্যবহার করতে পারে
ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে কতজন ইউজার একটি সিঙ্গেল এক্সেস পয়েন্ট ব্যবহার করে। একটি ৮০২.১১বি নেটওয়ার্ক প্রতিটি ইউজার এর জন্য ১১ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ প্রোভাইড করে। তত্ত্বীয়ভাবে, যদি ১০ জন ইউজার একইসময়ে এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তবে প্রতি ইউজার ১ এমবিপিএস অথবা এরূপ স্পিড পায়। নেটওয়ার্ক শেয়ার খুব সহজতর নয়। কারণ, এটি নির্ভর ইউজারের আচরণ বা ব্যবহারের প্রকৃতির উপর।

কতজন ইউজার নেটওয়ার্কে কানেক্ট রয়েছে এবং তারা নেটওয়ার্কে কিভাবে কাজ করছে, কিরূপ স্পিড প্রয়োজন সবকিছুর উপর এই এক্সেস পয়েন্ট নির্ভর করে।

আপনার নেটওয়ার্কের জন্য কম্পনেন্ট পছন্দ করা
ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক সেটআপ করতে হলে সে অনুযায়ী কম্পনেন্ট নির্ধারণ করতে হয়।

মোট ইউজার এবং কম্পিউটার নির্ধারণ করা
অধিকাংশ বাসায় সাধারনত তিনটি কম্পিউটার থাকে, স্মল বিজনেসের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ১৫ তে দাঁড়ায়। প্রতিটিতে একটি ওয়াই-ফাই রেডিও প্রয়োজন। কাজেই সে অনুযায়ী নির্ধারণ করুন কতটি ওয়াই-ফাই রেডিও দরকার। যদি আপনার ল্যাপটপে ওয়াই-ফাই রেডিও ইমবেডেড না থাকে সেক্ষেত্রে ওয়াই-ফাই পিসি কার্ড রেডিও-এর প্রয়োজন।
ল্যাপটপের সংখ্যা
-পিসি কার্ড
-ইন্টারনাল ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক কার্ড
ডেস্কটপ কম্পিউটারের সংখ্যা
-ইউএসবি অ্যাডাপটারের জন্য ইউএসবি জ্যাক
-পিসিআই অথবা আইএসআই অ্যাডাপটার
-পিসি কার্ড স্লট
পিডিএ-এর সংখ্যা
-পিসি কার্ড
-কম্প্যাক্ট ফ্লাশ ব্যবহার
-ওয়াই-ফাই রেডিও কম্পনেন্ট এর সর্বমোট সংখ্যা

ওয়াই-ফাই রেডিও-এর জন্য স্থান নির্বাচন
প্রতিটি কম্পিউটারের ওয়াই-ফাই রেডিও-এর জন্য স্থান নির্বাচন করুন। প্রতিটি কম্পিউটার বা কম্পনেন্টের জন্য ওয়াই-ফাই রেডিও ইনস্টল করুন যার মাধ্যমে আপনি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারছেন।

বেইজ স্টেশনের সংখ্যা নির্ধারণ করা
নেটওয়ার্কে সেন্ট্রাল বেইজ স্টেশন হিসেবে কাজ করার জন্য আপনার প্রয়োজন ওয়াই-ফাই এক্সেস পয়েন্ট অথবা গেটওয়ে। একটি টিপিক্যাল ওয়াই-ফাই এক্সেস পয়েন্টে ১৫ হতে ২০জন ইউজার কাজ করতে সক্ষম। খুব বৃহৎ পরিসরের নেটওয়ার্কের জন্য আপনি ডখঅঘ এ যেতে পারেন। এর বেসিক নিয়ম হচ্ছে ভিতরে ১০০ হতে ৩০০ ফুট পর্যন্ত এবং বাইরে ২০০০ ফুট পর্যন্ত। বিল্ডিং এর ধরণ অনুযায়ী এই রেঞ্জ ওঠানামা করতে পারে।

কতজন ইউজার আছে এবং তাদের কাজের ধরন
টিপিক্যাল ইউজার : (ই-মেইল পাঠানো, ইন্টারনেটে সার্চ করা এবং মাঝে মাঝে বড় ফাইল সেভ ও অপেন করা) এর জন্য সমাধান=সিঙ্গেল এক্সেস পয়েন্ট।
আরো চাহিদা সম্পন্ন ইউজার : (প্রায়ই বড় ফাইল বিনিময় করা, ভিডিও ব্যবহার করা) এর জন্য সমাধান=মাল্টিপল এক্সেস পয়েন্ট।
বৃহৎ পরিসরে : (৩০০ ফুটের উপরে একটি ওয়্যারহাউজ অথবা বৃহৎ অফিসে) এর জন্য সমাধান=মাল্টিপল এক্সেস পয়েন্ট।
মোট বেইজ স্টেশনের সংখ্যা নির্ধারণ করা।

কিভাবে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক হতে ইন্টারনেটে প্রবেশ করবেন
আপনি ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন ধরণের ইন্টারনেট কানেকশন রয়েছে, যেমন- ব্রডব্যান্ড, এডিএসএল, ওয়াইম্যাক্স প্রভৃতি। এই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন হতে গেটওয়ে অথবা এক্সেস পয়েন্টে কানেক্ট হতে পারেন এবং ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে তা ডিস্ট্রিবিউট করা যায়।

ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক হতে কিভাবে প্রিন্টার কাজ করবে
যদি প্রিন্টার শেয়ার করতে চান তবে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে কানেক্টের মাধ্যমে প্রিন্টার শেয়ার করতে পারেন এজন্য একটি প্রিন্টার সার্ভার ঠিক করুন যার কাজ হচ্ছে নেটওয়ার্কে প্রিন্ট সার্ভিস প্রদান। একটি ওয়্যারলেস প্রিন্ট সার্ভার একটি ছোট কম্পিউটার এবং একটি সিঙ্গেল বক্সে ওয়াই-ফাই রেডিও বিল্টইন থাকে। একটি ওয়াই-ফাই প্রিন্ট সার্ভার অথবা একটি ওয়াই-ফাই ইকুইপড প্রিন্টার নেটওয়ার্ক হতে প্রিন্টার এক্সেস করতে দেয়। 

নেটওয়ার্ক হতে ডিভাইসসমূহ শেয়ার করা
ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে ডিভাইস শেয়ারের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী হতে পারেন। যেমন প্রতিটি কম্পিউটারে সব সময় নেটওয়ার্কের প্রয়োজন নেই, এক্ষেত্রে ল্যাপটপ বা পিসির পিসি কার্ড, মোবাইল কম্পিউটটিং-এর ইউএসবি রেডিও/এ্যাডাপ্টার শেয়ার করা যায়।

ইকুইপমেন্টের ধরণ
বর্তমানে দুই ধরণের ওয়াই-ফাই কম্পনেন্ট রয়েছে। বাড়ীতে বা অফিস নেটওয়ার্কে ক্লায়েন্ট মেশিনে ওয়াই-ফাই রেডিও ডিভাইস (ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, পিডিএ প্রভৃতি) এবং এক্সেস পয়েন্ট বা গেটওয়ে যা বেইজ স্টেশন হিসেবে কাজ করে।
পিসি কার্ড রেডিও
ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক একটি রেডিও ব্যান্ড ব্যবহার ছাড়াও অন্যান্য ওয়াই-ফাই এনাবলড ইকুপমেন্ট এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট ডিভাইস হিসেবে পিসি কার্ড ওয়াই-ফাই রেডিও। ওয়াই-ফাই পিসি কার্ডে বিল্টইন এন্টেনা থাকে।
ইউএসবি অ্যাডাপ্টার
অধিকাংশ ডেস্কটপ কম্পিউটারে ওয়াই-ফাই রেডিও-এর জন্য পিসি স্লট নেই। এ সমস্যার সমাধানে পিসিআই/আইএসএ বাস অ্যাডাপ্টার অথবা ইউএসবি অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করা যায়।
কম্প্যাক্ট ফ্লাশ
কম্প্যাক্ট ফ্লাশ পিডিএ এবং অন্যান্য মোবাইল কম্পিউটিং এর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ওয়াই-ফাই কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এক্সেস পয়েন্ট এবং গেটওয়ে
কার্যকরভাবে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে একটি সেন্ট্রাল বেইজ স্টেশন প্রয়োজন যা যোগাযোগে সংযোগ সাধন করে। দুই ধরণের ওয়াই-ফাই ওয়্যারলেস বেইজ স্টেশনঃ একটি গেটওয়ে এবং অন্যটি এক্সেস পয়েন্ট।

বিশ্বে ওয়্যারলেস টেকনোলজি এখন ক্রমশঃ সম্প্রসারিত হচ্ছে। এর ফলে মানুষ তার যোগাযোগ নেটওয়ার্কে আরো বেশি গতিশীলতা আনতে পেরেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশও এই ওয়্যারলেস টেকনোলজিতে সম্পৃক্ত হয়েছে। একটি ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড কোম্পানী তাদের সার্ভিসে অতি সম্প্রতি এই নতুন প্রযুক্তি সংযোজন করেছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন পেশার মানুষ তার প্রফেশনাল কাজে স্মার্ট ও দক্ষতা ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আমরা এই প্রযুক্তির সুবিধা থেকে পিছিয়ে থাকবো কেন?

ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতেও ভোট হ্যাকিং সহজ!!!!



সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনও সহজেই হ্যাক করা সম্ভব এবং তাতে ভোটের ফল উল্টে দেয়া সম্ভব। ভোটিং মেশিনের কাছে না গিয়েও দূরনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া যায় এবং ভোটারের ভোট দেয়ার পর সেটি পাল্টেও দেয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার নিয়ে এ গবেষণা করেছেন দেশটির জ্বালানি মন্ত্রাণালয়ের অধীনে পরিচালিত ওরাগন ল্যাবরেটরির গবেষকরা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ডায়বোল্ড টাচ স্ক্রিন প্রযুক্তির ভোটিং মেশিনগুলো হ্যাকাররা দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গবেষকরা বলছেন, কেউ ইচ্ছে করলে খুব সহজেই ভোটিং মেশিন হ্যাক করে একজনের দেয়া ভোটের মার্কা পাল্টে দিতে পারে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, যখন ভোট দেবার জন্য ভোটার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের বাটনে চাপ দেয়া হয়, তখন হ্যাকার দূর থেকেই তার নির্দিষ্ট প্রতীকে দেয়া ভোট পাল্টে দিয়ে পছন্দের প্রার্থীর জন্য ভোটটি বসিয়ে দিতে পারে।

গবেষকরা ২০০৯ সালে সিকোয়াইয়া ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতিতেও এ সমস্যা ধরতে পেরেছিলেন।

গবেষকরা দাবী করছেন, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেই এ দুর্বলতা রয়েছে।

গবেষক জনস্টন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সাধারণ জ্ঞানসম্পন্ন কম্পিউটার ব্যবহারকারী ২৫ ডলারের ইলেকট্রনিক পার্টস ব্যবহার করেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন হ্যাক করতে পারে। আর এ ক্ষেত্রে, হ্যকারকে শনাক্ত করাও খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

তবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারে নিরাপত্তা এবং সমস্যা দূর করতে আরো গবেষণা প্রয়োজন বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।

এসো নিজে করি - ডিমের খোসা ভ্যানিশ করে দাও



তোমরা অনেকেই হয়তো লক্ষ্য করেছো যে ডিমের শক্ত আবরণটির নিচে পাতলা সাদা আরেকটি আবরণ থাকে। এখন চাইলে তুমি বাসার সবাইকে অবাক করে দিতে পারো ডিমের উপরের শক্ত খোলসটিকে নাই করে ফেলে। এসো তাহলে এখনি শুরু করে দিই।

যা যা লাগবে-
একটি ডিম
ভিনেগার
বোল
যা যা করতে হবে-
বোলের মধ্যে ভিনেগার নিয়ে ডিমটিকে সম্পূর্ণ চুবিয়ে রাখো। দুইদিন পর দেখো কি হয়!
দুইদিন পর হাত ধুয়ে ডিমটি ধরলে দেখবে শুধু পাতলা স্তরটি আছে, আর শক্ত আবরণটি উধাও হয়ে গেছে।
কেন এমন হলো-
ভিনেগার এক ধরণের এসিড, যেটা কিনা ক্যালসিয়ামে তৈরি ডিমের আবরণকে নিজের মধ্যে দ্রবীভূত করে ফেলতে পারে। কিন্তু ডিমের নিচের পাতলা স্তরের কোনো ক্ষতি এটি করতে পারে না। তাই এমনটা হয়।

রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১২

মিসরে মাটির নিচে ১৭ পিরামিড

মোট সতেরোটা প্রচীন পিরামিডের সন্ধান পেল মিসর। মাটির তলার সেইসব প্রাচীন পিরামিডগুলোর সঙ্গে আরও খবর মিলেছে বহু পুরাতাত্ত্বিক জিনিশপত্রের। স্বভাবতই, মিশরের পুরাতত্ত্ব বিভাগ আহ্লাদে আটখানা। সতেরোটা পিরামিড, তিন হাজারের বেশি পুরাতাত্ত্বিক বাড়ি-ঘর, অসংখ্য মিনার, প্রচুর প্রাচীন নিদর্শনের এই প্রায় রত্নভান্ডারের সন্ধান স্যাটেলাইট পেয়েছে মিসরের নীলনদের উপত্যকায়। কীভাবে এলো এই আশ্চর্য আবিষ্কার? এই গবেষণার দায়িত্বে যিনি ছিলেন, সেই ড. সারা পারকাক নাসার তরফে বলেছেন, এমন একটা আবিষ্কার অকল্পনীয়। দুই বছর ধরে আমরা সন্ধান চালিয়েছি। প্রথাগত পদ্ধতিতে পাওয়া গিয়েছিল মাত্র দুটি প্রাচীন পিরামিডের সন্ধান। তারপর আমরা ইনফ্রা রে ব্যবহার করলাম।

ইনফ্রা রে মাটির তলার ৭০০ মিটার পর্যন্ত অনায়াসে গিয়ে ছবি তুলে ফেলে। আর তাতেই কেল্লাফতে। ডা. সারা পরাকাক বলেছেন যেন ইতিহাস চোখের সামনে ফুটে উঠেছে। আর এই খবরে সত্যিই খুশি মিসরের পুরাতত্ত্ব বিভাগ। দপ্তর প্রধান জহি হাবাস সাংবাদিকদের সুখবর জানিয়ে বলেছেন, মিশরের পর্যটন আরও গতি পাবে এই নতুন আবিষ্কারের পর। এবার শুরু হবে এগুলোকে খুঁড়ে বের করার পালা।

এমপোরিয়া, মাইক্রোসফটের নতুন সার্চ ইঞ্জিন।



সম্প্রতি জানা গেছে, টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের পাঁচ প্রকৌশলী নতুন একটি সার্চ ইঞ্জিন তৈরিতে কোমর বেঁধে লেগেছেন। এ বছর বার্লিনে অনুষ্ঠিতব্য নেক্সট১১ কনফারেন্সেই নতুন এই সার্চ ইঞ্জিনটির সঙ্গে সবার পরিচয় ঘটিয়ে দেবার পরিকল্পনা করেছে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, মাইক্রোসফটের নতুন এই সার্চ ইঞ্জিনটির নাম হবে ‘এমপোরিয়া’। মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এমপোরিয়া হবে ব্যবহারবান্ধব, কারণ এটি হবে বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সার্চ ইঞ্জিন যা ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুসারে সার্চ রেজাল্ট উপস্থাপন করতে পারবে।

জানা গেছে, এমপোরিয়া’র আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হবে এর টুইটার বা ফেসবুকের মতো ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারার ক্ষমতা।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এমপোরিয়া প্রকল্পের প্রোটোটাইপ ইতোমধ্যেই মাইক্রোসফট-এর উইন্ডোজ ফোন ৭ ব্যবহারকারীদের কাছে চলে এসেছে। এটি মোবাইল প্ল্যাটফর্মে মাইক্রোসফট মার্কেটে সেরা ১০ টি অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে রয়েছে।

ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ-কাজের বিচারে পছন্দ।




যেকোনো স্থানে সহজে বহনযোগ্য এবং সঙ্গে করে বয়ে বেড়ানোর জন্য উপযোগী ডিভাইসটিই হলো ল্যাপটপ। ল্যাপটপে এই সুবিধা থাকলেও ডেস্কটপের সঙ্গে পার্থক্যও আছে বেশ। ডেস্কটপ পিসি আকারে বড় হবার ফলে বয়ে নেবার অসুবিধা থাকলেও ডেস্কটপ কম্পিউটার কিন্তু ল্যাপটপের চেয়ে ক্ষমতার দিক থেকে বেশি শক্তিশালী হওয়া সম্ভব। তবে, এসব দিক ভাবলেও তর্কের শেষ নেই যে, কোনটি আসলে আমাদের বেছে নেওয়া উচিত। তাই আজকের লিখা ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটার বিতর্ক নিয়ে -

জার্মান ইলেকট্রিক পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টিইউভি-এর টিম কো-অর্ডিনেটর বার্নড রিপেল জানিয়েছেন, ‘এক স্থানে বসে অনেক কাজ করতে হলে ডেস্কটপ আর কম্পিউটিং-এর প্রয়োজন যদি একই স্থানে সবসময় না হয়, তবে ল্যাপটপ বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অপরদিকে, কম্পিউটিং শক্তির প্রয়োজনে এবং বেশি সময় ধরে সিস্টেম চালু রাখতে হলে ডেস্কটপই উত্তম।’-সংগৃহীত।

কারও যদি হাই ডেফিনেশন গ্রাফিক্সের কাজ করতে হয় অথবা ভিডিওগ্রাফি করে থাকেন, তবে তার জন্য ল্যাপটপের থেকে উত্তম হলো ডেস্কটপ। কারণ, এ ক্ষেত্রে কিছু ব্যাপার থাকে এমন যে, পরবর্তীতে গ্রাফিকাল কিছু টুলের আপডেট ব্যবহার করতে পিসি আপডেট করা যায় খুব সহজেই। কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, এমনটা করা সম্ভব হয় না। তবে হালকা এবং প্রয়োজনীয় কাজের উপযোগী।

একবাক্যে বলতে গেলে, ‘কম খরচে কাজ করার বেশি ক্ষমতা’—এমন চিন্তা করেও বেছে নেওয়া যায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রটি। তবে পোর্টেবল ডিভাইসের কথা এলে ডেস্কটপের থেকে ল্যাপটপই এগিয়ে।

ক্লাসিকাল ডেস্কটপ বা অল-ইন-ওয়ান উভয় মেশিনের ক্ষেত্রেই, সব প্রযুক্তিই মনিটরের সঙ্গে প্যাক করে রাখা হয়। আর দুই ধরনের মেশিনকেই ডেস্কে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু যারা মেশিন বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজন সবার সঙ্গেই উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য মোবাইল কম্পিউটারটাই হবে সুবিধাজনক।

দ্রুততর প্রসেসর ভালো, এ কথা সত্যি হলেও কম্পিউটার বেছে নেবার ক্ষেত্রে প্রসেসরের ক্ষমতাই সবকিছু নয়। তবে, কেবল যদি ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়, তবে সিপিইউ কেমন হবে, সেটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তবে, ভিডিও এডিটিং-এর কথা মাথায় আনলে অনেক বেশি ক্ষমতার র্যামের প্রয়োজন হবে এবং অনেক দ্রুত এবং অনেক ক্ষমতার হার্ড ড্রাইভ স্টোরেজ প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে বেছে নিতে হবে ডেস্কটপকে।

ল্যাপটপে যদিও গেম খেলা যায়, তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স-এর মান কেমন হবে, সেটি বিবেচনায় রাখতে হবে। যেখানে ডেস্কটপের যন্ত্রাংশ সহজেই পরিবর্তন করা যায়, সেখানে ল্যাপটপের যন্ত্রাংশ পাল্টানো বেশ জটিল।

চিপ কম্পিউটার ম্যাগাজিনের টেস্ট এডিটর কৈলাশ বাস্ক জানিয়েছেন, ল্যাপটপে যদি গেম খেলতে হয়, তখন তাতে গ্রাফিক্স কার্ড প্রয়োজন হবে । এই গ্রাফিক্স কার্ড মোবাইল চিপসের জন্য মাঝামাঝি ক্ষমতার হতে হবে। অন্যদিকে, অন্যান্য কাজ করার ক্ষেত্রে শেয়ারড গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে কম্পিউটারের থেকে স্টোরেজ স্পেস বের করে নেবে।

কৈলাশ বাস্কের পরামর্শ হলো, কম্পিউটার কেনার সময় কম্পিউটারের স্বাভাবিক ক্ষমতাকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। এই অর্থে খুব ছোটো আকারের ল্যাপটপ কেনা ঠিক হবে না। তবে, ল্যাপটপে দৈনন্দিন কাজ অনেক আন্দদায়ক হয়ে যাবে যদি ল্যাপটপের স্ক্রিন সাইজ ১৪ ইঞ্চি বা এই মাপের চেয়ে বেশি হয়। ল্যাপটপে কাজ করার সময় ডিসপ্লের ঝাঁকুনি বা নড়াচড়া চোখের ক্ষতি করে ফেলতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ডেস্কটপ কম্পিউটারের কন্ট্রাস্ট উচ্চতা অনুসারে কমবেশি করা যায়। এ ছাড়াও ডেস্কটপের সুবিধা হলো, মনিটর সরিয়ে ফেলা বা কিবোর্ড পরিবর্তন করে সহজেই মানিয়ে নেয়া যায়। আর এই সুবিধা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে মোটেও নেই। তবে, তর্ক-বিতর্কের এই বেড়াজাল পেরিয়ে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ বেছে নেওয়ার সমস্যাটির সমাধান করা সম্ভব প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী।

ফেসবুক যখন শাসক উৎখাতের হাতিয়ার



কয়েক বছর আগে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকের স্লোগান ছিলো, ‘ফেসবুক কানেক্টস ইউ উইথ দি পিপল অ্যারাউন্ড ইউ’, বাংলায় বলা যায়, আশপাশের লোকজনের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ করিয়ে দেয় ফেসবুক। আর বর্তমানে এ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট-এর সাইনআপ স্লোগান হলো, ইটস ফ্রি, অ্যান্ড অলওয়েজ উইল বি’। বাংলা করলে দাঁড়ায়, এটা ফ্রি এবং সবসময়ই তাই থাকবে।

বিশ্বের ৫০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারীর যোগাযোগ রক্ষার সাইট ফেসবুক আদতে দুটি শ্লোগানকেই ভুল প্রমাণিত করলো মিশরে। প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের সরকারের আশপাশে যারা নির্যাতিত ছিলেন, ফেসবুকের সাহায্য নিয়ে সেই কায়রোর যুবক-তরুণরা যোগাযোগ করেছেন, একত্রিত হয়েছেন এবং ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়েছেন হোসনি মোবারক।

হোসনি মোবারকের দিক থেকে ফেসবুক একেবারেই ফ্রি ছিলো না। ফেসবুকের একটি গ্রুপের কারণেই সম্ভবত তাকে জীবনের সবচেয়ে বড় মূল্যটি পরিশোধ করতে হয়েছে। ছাড়তে হয়েছে ৩০ বছরের ক্ষমতা। অপরদিকে মিশরের গণতন্ত্রকামী জনগণের জন্য ফেসবুক হয়ে উঠেছে বদ্ধ পরিবেশে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ ও মুক্তির হাতিয়ার। এটি আর যাই হোক, কোনো বিচারেই ‘ফ্রি’ নয়।

কী করে সম্ভব হলো এই অসাধ্য সাধন? কীভাবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট ফেসবুক হয়ে উঠলো বিপ্লবের প্ল্যাটফর্ম? সে উত্তরটিই আমরা খোঁজার চেষ্টা করবো এই ফিচারে।

আগের ঘটনা

অপঘাতে মৃত্যুবরণ করা এক অভাগা যুবকের নাম খালিদ মোহামেদ সায়ীদ। ২৮ বছর বয়সী এ যুবকের ‘অপরাধ’ তিনি ছোট্ট একটি ভিডিও ক্লিপ অনলাইনে ছেড়ে দিয়েছিলেন। সে ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল মিশরের দুজন পুলিশ সদস্য মাদক সেবন করছেন। এর ফলে গুপ্ত বাহিনীর রাঙা চোখ গিয়ে পড়ে সায়ীদের ওপর। তারা সায়ীদকে প্রকাশ্যে একটি সাইবার ক্যাফের সামনে পিটিয়ে হত্যা করে। দিনটি ছিলো ৬ জুন ২০১০।

সায়ীদের হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে দিনের বেলায়। অনেক লোক এই ঘটনার চাক্ষুস সাক্ষী। অথচ এই ঘটনার কোনো প্রতিবাদ হয়নি, বা কেউ প্রতিবার করার সাহস পাননি। মিশরে প্রকাশ্যে সরকারবিরোধী মত প্রকাশের প্রাথমিক শাস্তি ছিলো পুলিশের হাতে বেধড়ক পিটুনি, এরপর মামলা এবং তারও পর বেয়াদব নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ শাস্তি ছিলো স্রেফ ‘নেই’ হয়ে যাওয়া। সরকারি বাহিনীর হাতে গুপ্তহত্যা অহরহ ঘটেছে মিশরে।

কীভাবে হলো

হতভাগ্য তরুণ খালিদ সায়ীদের নাম নিয়ে অজানা এক ব্যক্তি একটি মেমরিয়াল পেজ খুলেছিলেন। তিনি নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন এক মিশরীয় তরুণ হিসেবেই, যিনি পরিবর্তনের পক্ষে। ‘উই আর অল খালিদ সায়ীদ’ নামের ওই ফেসবুক পেজে স্মরণ করা হয়েছিলো খালিদ সায়ীদকে। জানানো হয়েছিল কী চলছে মিশরে। এরপর ওই পেজ এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া খালিদ সায়ীদের দুটি ছবিকে আশ্রয় করে জমে উঠতে থাকে ক্রোধ, উঠতে থাকে ন্যায্য কিছু প্রশ্ন। আন্তর্জাতিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি রিপোর্টে বলে, ‘ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া সায়ীদের বিকৃত লাশের ছবি দেখে বোঝা যায় তার মাথার খুলি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, ভাঙ্গা হয়েছে চোয়ারের হাড় এবং উপর্যুপরি শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে তার ওপর।’

ফেসবুকের এই পেজটি থেকে নিয়মিত বিভিন্ন কনটেন্ট, বিতর্ক এবং নতুন আপডেট প্রকাশ হতে থাকে। সায়ীদ হত্যা কেসের বিভিন্ন আপডেটও সেখানে প্রকাশিত হয়। ফেসবুকের পাতা থেকেই এই নীরবে আন্দোলন চলছিলো। তারা একসময় কালো পোশাক পরে রাস্তায় নামেন। ফেসবুকের এই ব্যবহারকারীরা নীরব আন্দোলন শুরু করেন। হাতে হাত ধরে তারা সায়ীদের প্রতি সমর্থন জানান। আন্দোলনের এই পর্যায়ে এসে জমা হয় প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। দাবি ওঠে ২৯ বছর ধরে চলা জরুরী আইন তুলে নেবার। নীরব আন্দোলনের এই পন্থাটি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে যায়।

ফেসবুকের এই ডিজিটাল এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আন্দোলনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে সায়ীদ হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলন করা হলে গ্রেপ্তার করা হয় বিক্ষোভকারীদের। এতে বিক্ষোভ আরো দানা বেঁধে ওঠে।

এরপর মিশরের মোবারক সরকারের নজর গিয়ে পড়ে ‘যতো নষ্টের গোড়া’ ইন্টারনেট মিডিয়ার ওপর। ব্লক করে দেয়া হয়েছিলো মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার। এরপর ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ২৭ জানুয়ারি গ্রিনউইচ মান সময় রাত ১১টায় পুরো ইন্টারনেট ব্যবস্থাই বন্ধ করে দেয়া হয় ৮ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে। হোসনি মোবারক সম্ভবত জানতেন না, ঠিক ওই দিনটিই ছিলো খালিদ সায়ীদের জন্মদিন। সে দিনটিতেই তিনি ক্ষমতার কফিনে পেরেক ঠুকতে শুরু করলেন।

এরপর, কেবল ইন্টারনেট ব্যবস্থাই নয় মোবাইল ফোন সেবা পেতেও জনগণকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। আর এইসব চাপের মুখে ক্রমশ দলবদ্ধ, জোটবদ্ধ হয়েছে দেশটির কিশোর-তরুণ-যুবক শ্রেণী। জনগণ ও আন্তার্জাতিক চাপের মুখে সরকার ইন্টারনেট খুলে দিলেও আন্দোলন তখন গতি পেয়েছে।

আর এর পরপরই আন্দেলন তার স্থান বদলে ফেলে। প্রকাশ্য প্রতিবাদের পথ না থাকায় যে আন্দোলন ছিলো মোবাইলের বাটন আর কম্পিউটারের কিবোর্ডনির্ভর, সেটি নেমে আসে রাজপথে, তাহরির স্কোয়ারে।

আন্দোলন রাজপথে চললেও খালিদ সায়ীদের পেজটি তার কাজটি চালিয়ে যাচ্ছিলো ফেসবুকে। সেখানে সদস্য সংখ্যা তখন ২লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ পেজটির অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ফলোয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। আর খালিদ সায়ীদের পরিণতি এড়াতে পেজে নিজের বিষয়ে আর কোনো তথ্যই রাখেননি। ফেসবুকে পেজে তার পরিচিতি ছিলো অ্যাডমিন হিসেবেই।

সংবাদমাধ্যমে পেজ অ্যাডমিন জানিয়েছেন, তার পরিচয় মিশরের বাইরের কয়েকজন ছাড়া আর কেউই জানেন না। তার কথায়, ‘আমার যদি কিছু হয়ে যায় তবে বিদেশে আমার কয়েকজন বন্ধুকে পাসওয়ার্ড জানানো আছে। ফলে, আমাকে মেরে ফেললেও ফেসবুকের এই বিপ্লব চলতেই থাকবে।’

এই অজানা তরুণের খোলা ফেসবুক পেজটির নাম ‘উই আর অল খালিদ সায়ীদ’। নিজের সম্পর্কে তিনি যে গুটিকয়েক তথ্য জানিয়েছেন তার একটি হলো, এই পেজটির কাজ নিয়মিত সামলে তিনি দিনে মাত্রই ৩ ঘন্টা ঘুমানোর সুযোগ পেতেন।

এর পর কী?

আজ থেকে এক বছর আগে কেউ হয়তো বিশ্বাসই করতেন না, ফেসবুকের সামান্য একটি পেজ থেকে সরকার উৎখাত করার মতো সফল আন্দোলন চালানো সম্ভব। কিন্তু এটি যে সম্ভব তা গোটা বিশ্বের কাছে আজ পরিষ্কার। এটাও পরিষ্কার যে, জনগণকে সফল নেতৃত্ব দিতে হলে সবসময় ক্যারিশমাটিক নেতা হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু নতুন করে যে প্রশ্নটি এগিয়ে এসেছে, তা হলো, ফেসবুক বা প্রযুক্তিনির্ভর সোশ্যাল গ্রুপগুলোর আর কোন কোন ক্ষমতা এখনো অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। যে ক্ষমতা এখনো আমরা দেখিনি, হয়তো বিশাল কোনো ঘটনা আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তিতে আরেকটি নাড়া দেবে।

বাংলাদেশে গড় ডাউনলোড সেকেন্ডে ৬০ কেবি।



সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেট গতি পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন ১৫টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে পানডো নেটওয়ার্কস। এ তালিকায় বাংলাদেশের স্থান না হলেও গড় ডাউনলোড গতিতে অতীতের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের গড় ডাউনলোড গতি প্রতি সেকেন্ডে ৬০ কিলোবাইট যা আফ্রিকার অনেক দেশের চেয়ে বেশি।

‘গ্লোবাল ইন্টারনেট স্পিড স্টাডি’ শিরোনামের এই রিপোর্টে ২২৪টি দেশের ইন্টারনেট আপলোড এবং ডাউনলোড স্পিড তুলে ধরা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পানডো নেটওয়ার্কস এই প্রতিবেদন তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহে জানুয়ারি থেকে জুন ২০১১-এর মধ্যে দুই কোটি কম্পিউটার ব্যবহার করে ২৭ মিলিয়ন ডাউনলোড করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী গড় ডাউনলোড স্পিড হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৫৮০ কিলোবাইট। এই হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ২৬তম দেশ যেখানে গড় ডাউনলোড স্পিড সেকেন্ডে ৬১৬ কিলোবাইট। তবে এক্ষেত্রে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রেস রিলিজে পানডো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ভেরিজনের ভোক্তারা গড়ে প্রতি সেকেন্ডে ১,০৫৬ কিলোবাইট ডাউনলোড স্পিড পেয়ে থাকেন যা দেশটির গড় ইন্টারনেট স্পিডের তুলনায় অনেক বেশি। তবে এরপরও আন্তর্জাতিক তুলনায় সর্বোচ্চ স্পিডের অর্ধেক মাত্র।

প্রকাশিত তালিকা অনুসারে সারাবিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবহারকারীরা। দেশটির গড় ডাউনলোড স্পিড হচ্ছে ২,২০২ কিলোবাইট পার সেকেন্ড। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রোমানিয়া যেখানকার গড় ডাউনলোড স্পিড সেকেন্ডে ১,৯০৯ কিলোবাইট। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বুলগেরিয়া যেখানে ব্যবহারকারীরা গড়ে প্রতি সেকেন্ডে ১,৬১১ কিলোবাইট ডাউনলোড স্পিড উপভোগ করে থাকেন। এসব তথ্য পানডো নেটওয়ার্কের সাইটে প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি।

উল্লেখ্য, রিপোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত একটি গ্লোবাল ম্যাপে বাংলাদেশের গড় ডাউনলোড স্পিড দেখানো হয়েছে প্রতি সেকেন্ডে ৬০ কিলোবাইট ডাউনলোড স্পিড। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের গড় ডাউনলোড স্পিড দেখানো হয়েছে ১৮৪ কিলোবাইট পার সেকেন্ড।

অন্যদিকে সবচেয়ে ধীরগতির ইন্টারনেট স্পিড রয়েছে কঙ্গোতে যেখানে গড় ডাউনলোড স্পিড রয়েছে প্রতি সেকেন্ডে ১৩ কিলোবাইট। এরপর রয়েছে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক যেখানকার গড় ডাউনলোড স্পিড সেকেন্ডে ১৪ কিলোবাইট।

সূর্যের পরিণতি হবে নীহারিকা।


সৌরজগতের প্রাণ সূর্য যেদিন নিভে যাবে সেদিন একটা নেবুলা বা নীহারিকায় পরিণত হবে বলেই নাসার গবেষকরা জানিয়েছেন। সম্প্রতি মুমূর্ষ একটি নক্ষত্রের একটি ছবি তুলেছেন নাসার গবেষকরা। গবেষকদের দাবী, সূর্যও ঠিক এ ছবিটির মতোই নীহারিকার রূপ নেবে।

গবেষকদের তোলা ছবিতে দেখা গেছে, মুমূর্ষ নক্ষত্রটির বহিঃআবরণে বিশাল গ্যাসের মেঘ ছড়িয়ে পড়েছে আর কেন্দ্র টিমটিম করে জ্বলছে। গবেষকদের দাবী, ৫ শো’ কোটি বছর পর যখন সূর্যের জ্বালানি কমে যাবে তখন সূর্যের পরিণতিও হবে একই রকম।

গবেষক বিল স্নাইডারের তোলা ছবিতে যে নীহারিকাটি ধরা পড়েছে তার নাম ডাম্বেল নেবুলা বা এম ২৭। এটি পৃথিবী থেকে ১ হাজার ৩৬০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।

নাসা’র গবেষকরা জানিয়েছেন, এম ২৭ হচ্ছে আকাশে দৃশ্যমান উজ্জ্বল একটি নীহারিকা। ফক্স নক্ষত্রপুঞ্জ অঞ্চলে এটি দেখা যায়। ঐ নক্ষত্র থেকে আলো পৌঁছাতে ১ হাজার ৩৬০ বছর লাগে।

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট করাবেন? তাহলে জেনে নিন।


সনাতনী হাতে লেখা পাসপোর্ট নিয়ে দেশের বাইরে যেতে কিংবা প্রবাসীদের দেশে ফেরার সময় বিভিন্ন বিমানবন্দরে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) নীতিমালা অনুযায়ী এপ্রিল মাস থেকে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট�এমআরপি) ও ভিসা চালুর বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে। আইসিএও-এর শর্ত অনুসারে বাংলাদেশ সরকার যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (এমআরপি) চালু করেছে। ফলে এখন থেকেই আর হাতে লেখা পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। তবে যেসব হাতে লেখা পাসপোর্ট এখনো চালু আছে, তা নবায়ন করা যাবে। জরুরি প্রয়োজন হলে এক হাজার টাকা দিয়ে এক বছরমেয়াদি পাসপোর্ট নেওয়া যাবে বলে জানা যায়। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে। তবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যাঁদের পাসপোর্টের মেয়াদ রয়েছে, তাঁদের এখনই এমআরপি করাতে হবে না।
আবেদনপত্র সংগ্রহহাতে লেখা পাসপোর্টের আবেদন ফরমের চেয়ে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের আবেদন ফরম কিছুটা ভিন্ন। আগের মতোই ইন্টারনেট থেকে বিনা মূল্যে ফরম সংগ্রহ করা যাবে। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (http://www.dip.gov.bd) ফরম পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ঢাকাসহ সারা দেশে ১০টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে বিনা মূল্যে ফরম সংগ্রহ করা যাবে।

নতুন আবেদনপত্র
চার পৃষ্ঠার এ আবেদনপত্রে আবেদনকারীকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে�আবেদনকারীর নাম, বাবার নাম, মাতার নাম, তাঁদের পেশা, জাতীয়তা, জন্মস্থান-সংক্রান্ত তথ্য, জন্ম তারিখ, জন্ম সনদপত্র নম্বর (যদি থাকে), জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর (যদি থাকে), বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, যোগাযোগের কোন তথ্য চাওয়া হয়েছে। এসব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট জায়গায় স্বাক্ষর ও তারিখ লিখতে হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীকে একটি ৫৫ x ৪৫ মিলিমিটার আকারের রঙিন ছবি ফরমে আঠা দিয়ে লাগানোর পর সত্যায়ন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, দুটি আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে।

পাসপোর্ট-সংক্রান্ত ফি
এমআরপির জন্য নতুন ফি নির্ধারিত হয়েছে। এখন থেকে সাধারণ পাসপোর্টের জন্য তিন হাজার টাকা এবং জরুরি পাসপোর্টের জন্য ছয় হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। টাকা জমা দিতে হবে আগের মতোই সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সঠিকভাবে পূরণ করা আবেদন ফরমের সঙ্গে প্রার্থীকে নিম্নলিখিত দলিলাদি জমা দিতে হবে-
১. আবেদনকারীর একটি রঙিন ছবি আঠা দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে লাগিয়ে দিতে হবে।
২. জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদপত্রের ফটোকপি।
৩. প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক কারিগরি সনদগুলোর (যেমন�চিকিৎসক, প্রকৌশলী, চালক ইত্যাদি) সত্যায়িত ফটোকপি দাখিল করতে হবে।
৪. অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৫ বছরের কম) আবেদনকারীর ক্ষেত্রে আবেদনকারীর পিতা ও মাতার একটি করে রঙিন ছবি (৩০ x ২৫ মিলিমিটার)।

কারা সত্যায়িত করতে পারেন
১. সাংসদ ২. সিটি করপোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ৩. গেজেটেড কর্মকর্তা ৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ৫. উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ৬. পৌরসভার মেয়র ৭. বেসরকারি কলেজের শিক্ষক ৮. বেসরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৯. দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ১০. পৌর কাউন্সিলর ১১. রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের সপ্তম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তারা।

আবেদন ফরম জমা
আবেদন ফরম পূরণ, ছবি সংযুক্ত ও সত্যায়ন করে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে। বর্তমানে এমআরপির আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাচ্ছে দেশের ১০টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। প্রতিটি আঞ্চলিক অফিসের অধীনে রয়েছে কয়েকটি জেলা। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসগুলোর মধ্যে কোন কোন জেলা পড়েছে জেনে নিন -

ঢাকা: ঢাকা, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা।

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলা।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলা।

কুমিল্লা: কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।

সিলেট: সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলা।

রাজশাহী: রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলা।

বরিশাল: বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলা।

রংপুর: রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলা।

যশোর: যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, নড়াইল, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা।

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলা।

আবেদন ফরম জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীকে অবশ্যই নিজে উপস্থিত থাকতে হবে। ফরম জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীর আঙুলের ছাপ রাখা হবে এবং মুখের ছবি তোলা হবে।

পাসপোর্ট পাওয়া
সাধারণ পাসপোর্ট আপনি হাতে পাবেন সর্বোচ্চ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে। আর জরুরি পাসপোর্ট পাওয়া যাবে ১৫ দিনের মধ্যে। তবে পাসপোর্ট হাতে পাওয়াটা নির্ভর করে অনেকটা পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রতিবেদনের ওপর। তবে এ ক্ষেত্রে জরুরি পাসপোর্ট দেরি হওয়ার আশঙ্কা কম। ন্যূনতম সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যে হাতে পাওয়া যেতে পারে জরুরি এমআরপি।

সোমবার, ৫ মার্চ, ২০১২

অনলাইন জুয়ার বৈধতা দিচ্ছে ওবামা প্রশাসন।



ইন্টারনেটে পোকারসহ বিভিন্ন ধরনের বেটিং এবং অনলাইন জুয়া বৈধ করে আইন করার পক্ষে মার্কিন প্রশাসন। জানা গেছে, সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতেই অনলাইন জুয়ার বৈধতা দিচ্ছে মার্কিন সরকার।

১৯৬১ সালের ওয়্যার অ্যাক্ট অনুসারে অনলাইন জুয়ার বিষয়গুলি বৈধ ছিলো না। এখন সে আইন বাতিল করে নতুন আইনের পক্ষে ওবামা প্রশাসন। নতুন আইনে বলা হচ্ছে, ওয়্যার অ্যাক্ট কেবল খেলাধুলা বিষয়ক বেটিং এর ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে লটারির টিকিট বিক্রি বা অনলাইন জুয়াতে কোন বাধা থাকবে না।

গ্লোবাল বেটিং অ্যান্ড গেমিং কনসালটেন্সি-এর তথ্যমতে, ২০১০ সালে বিশ্বব্যাপি অনলাইন জুয়ার বাণিজ্য বেড়েছে শতকরা ১২ ভাগ। আর চলতি বছরের মার্চের হিসেবে এটা ৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি ব্যবসা করবে।’

বেটিং হাউজগুলো তাদের জন্য ওবামা সরকারের উপহার হিসেবেই দেখছেন এ সুযোগটাকে।