শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৬

মনিটরে কিছু না দেখা গেলে করণীয়।

প্রথমে জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী কারণে মনিটরে কিছু দেখা যায় না। 


  • মনিটর বন্ধ থাকলে
  • কম্পিউটার Sleep মোডে থাকলে
  • ঠিক মত কানেকশন দেওয়া হয় নি
  • মনিটরকে সঠিকভাবে সেট করা হয় নি
  • হার্ডওয়্যার সমস্যা




এই সকল সমস্যার সমাধানঃ

  • মনিটর বন্ধ থাকলেঃ মনিটর যদি বন্ধ থাকে তাহলে আপনি কোন কিছু দেখতে পারবেন না। তাই দয়া করে মনিটর চালু আছে কি না সেটা খেয়াল করতে পারেন।
  • কম্পিউটার Sleep মোডে থাকলেঃ আপনার কম্পিউটার যদি স্লীপ মোডে থাকে তাহলে আপনি ডিসপ্লেতে কিছু দেখতে পারবেন না। তাই আপনাকে স্লীপ মোড থেকে নরমাল মোড এ নিয়ে জেতে হবে। তাহলে আপনি আপনার ডিসপ্লে দেখতে পারবেন। sleep মোড বদল করতে হলে আপনার কীবোর্ড এর যে কোন একটি বাটন প্রেস করতে পারেন অথবা মাউস এ ক্লিক করলেই হবে।
  • ঠিক মত কানেকশন দেওয়া হয় নিঃ আপনার কম্পিউটার এর মনিটর এবং পিসি এর সকল কানেকশন ঠিক আছে কি না তা দেখতে হবে। যদি মনিটর এর পাওয়ার কেব্‌ল এবং ডিসপ্লে কেব্‌ল যদি না দেওয়া থাকে আশাকরি সমস্যায় পরবেন। তাই এই সকল কিছু চেক করে দেখতে পারেন।যদি মনিটর পাওয়ার পায় তাহলে আপনি মনিটর চালু হতে দেখবেন। আর যদি ডিসপ্লে কেব্‌ল কানেক্ট না পাই তাহলে আপনি মনিটর এ ? চিহ্ন দেখতে পারবেন।
  • মনিটরকে সঠিকভাবে সেট করা হয় নিঃ আপনার মনিটর যদি সঠিকভাবে সেট না করা হয় ধরেন কালার সঠিকভাবে না দেওয়া থাকলে আপনি নাও দেখতে পারেন। যদি সম্পূর্ণ কালো কালার থাকে তাহলে সব কালো দেখা যাবে। তাই এই বিষয়ে ও খেয়াল করতে হবে।
  • হার্ডওয়্যার সমস্যাঃ এই সকল সমস্যার পরও যদি আপনার মনিটর না ঠিক হয় তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার মনিটর এ হার্ডওয়্যার সমস্যা আছে। 
  • RAM এ সমস্যাঃ অনেক সময় RAM এ ধুলাবালি লেগেও মনিটরে কিছু দেখা না যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে করণীয় হবে কেসিং খুলে RAM বের করে ভালো করে মুছে ব্রাশ দিয়ে হালকা ভাবে পরিষ্কার করে আবার RAM সেট করে PC রিস্টার্ট‍ করলে সমস্যা সমাধান হবে আশা করা যায়। এর পরও না হলে সার্ভি‍স সেন্টার এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। 




আশা করা যায় উপরোক্ত পদ্ধতিতে কাজ হয়ে যাবে। আপনার নিজের সমস্যা নিজে সমাধান করার মাঝে যে তৃপ্তি পাবেন তা অন্য কোনভাবেও লাভ করতে পারবেন না।তাই নিজেই হয়ে উঠুন একজন দক্ষ কম্পিউটার প্রকৌশলী। 


আজ এ পর্য‍ন্তই। ধন্যবাদ সবাইকে।  










মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৬

ওয়াইফাই এ সমস্যা।

ওয়াইফাই এর গতি বাড়াতে করণীয়। 



















ওয়াইফাইয়ের গতি কমে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে বাড়িয়ে নিতে পারেন আপনার বাসা বা অফিসের ওয়াইফাইয়ের গতি।

রাউটার রাখার স্থান : ওয়াইফাই ব্যবহার করার জন্য উন্নতমানের রাউটার ব্যবহার করার বিকল্প নেই। তবে রাউটারের সাথে রাউটার রাখার স্থান হতে হবে উপযুক্ত। যতো উঁচুতে রাখা যায় তত রেডিও ওয়েভ পরিধি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায়। 

তরঙ্গ যেন বাধাগ্রস্ত না হয়: রাউটার যেখানে রাখা হয় সেখানের সামনে যদি কোনো ইটের স্তূপ থাকে তাহলে ওয়াইফাই তরঙ্গ বাধাগ্রস্ত হয়। বাড়ির বেজমেন্টে কখনো রাউটার রাখা যাবে না। এতে ওয়াইফাইয়ের গতি কমে যায়। 

রাউটারের ক্ষমতার কাছাকাছি ইন্টারনেট ব্যবহার করুন:  রাউটারের ওয়াইফাই সেবা দেয়ার নির্দিষ্ট একটি পরিধি থাকে। এছাড়াও রাউটার থেকে যত দূরে যাওয়া হবে তত রাউটারের গতি কমবে। রাউটার থেকে ওয়াইফাই সিগন্যাল ৩৬০ ডিগ্রি পরিধিতে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির মধ্যস্থলে রাউটার বসালে চারিদিকে ভালো গতি পাওয়া যাবে। এছাড়া রাউটারের গতি বাড়ানোর জন্য এক্সটেন্ডার বা রিপিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। 

মাইক্রোওয়েভ ওভেন ওয়াইফাইয়ের গতি রোধ করে : ওভেন ওয়াইফাইয়ের গতির ওপর প্রভাব ফেলে। মাইক্রোওয়েভ ওভেন ফ্রিকোয়েন্সি ওয়াইফাই ফ্রিকোয়েন্সিকে অনেক সময় ওভারল্যাপ করে। ফলে রাউটারের গতি কমে যায়। তাই ওভেন থেকে রাউটার দূরে রাখা উত্তম। 

দিতে হবে জটিল পাসওয়ার্ড : ওপেন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার ফলে যদি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাহলে রাউটারের গতি কমে যায়। তাই জটিল পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে হবে। তাহলে স্পিড পাওয়া যাবে মন মতো। 

বড় ফাইল ডাউনলোডে সতর্কতা : পিসিতে বা ল্যাপটপে বড় ফাইল ডাউনলোডের সময় ওয়াইফাইয়ের গতি কমে যায়। বড় ফাইল ডাউনলোডের সময় অন্যান্য ডিভাইসগুলো গতি পায় না। তাই যখন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম থাকে, তখন বড় ফাইল ডাউনলোড করা উত্তম। 

রাউটারের আসে পাশে কমাতে হবে মানুষের উপস্থিতি:  মানুষের শরীর রেডিও তরঙ্গের গতি রোধ করে। রাউটারের আসে পাশে বেশি মানুষ থাকলে রাউটারের গতি বাধাগ্রস্ত হয়। তাই রাউটারকে নির্বিঘ্নে ওয়াইফাই সেবা দেয়ার জন্য রাউটারকে ঘিরে মানুষ না থাকাই উত্তম। 


উপরোক্ত পদ্ধতি অনুসরনে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করি। ধন্যবাদ সবাইকে।

সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৬

কম্পিউটার ক্রাস হওয়ার কিছু কারণ।




পিসির বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে পিসি ক্রাস একটি অন্যতম সমস্যা। এ সমস্যার সম্মুখে  কম বেশী সকলেই পড়ে থাকে। সেজন্য এ সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ন টিপস নিচে দেয়া হলো। এগুলো অনুসরন করলে আমরা আমাদের পিসিকে ক্রাস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারি। 

Hardware conflict 

হার্ডওয়ার এর সংঘর্ষ আবার কি ? উইন্ডোজ ক্র্যাশ করার এটাই প্রধানত কারণ। এক হার্ডওয়ার ডিভাইস অন্য আরেক হার্ডওয়্যার ডিভাইসের সাথে কমিউনিকেট করে এক ধরনের চ্যানেলের মাধ্যমে, যাকে বলে Interrupt request channel (IRQ)। এবং এই IRQ প্রতিটি ইউনিক হতে হবে। মানে একটি IRQ আরেকটি IRQ থেকে ভিন্ন হতে হবে। যেমন : প্রিন্টার সাধারণত কানেক্ট হয় যে চ্যানেলে তা হচ্ছে IRQ 7, কীবোর্ড কানেক্ট হয় IRP 1 এবং ফ্লপি কানেক্ট হয় IRQ 6 চ্যানেলগুলিতে। এই ডিভাইসগুলি চেষ্টা করে নিজেদের জন্য ইউনিট চ্যানেল তৈরি করতে।
যদি এখানে অনেক বেশি ডিভাইস থেকে থাকে, অথবা এই ডিভাইসগুলি সঠিকমত ইন্সটল করা না থাকে তাহলে তাদের ভিতরে দুই বা ততোধিক ডিভাইস একই IRQ শেয়ার করে থাকে। যখন ইউজার চেষ্টা করে উভয় ডিভাইসকেই একই সময় ব্যবহার করতে, ঠিক তখনই কম্পিউটার ক্র্যাশ করে।
নিশ্চিত হবার উপায় হচ্ছে যদি কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কনফ্লিক্ট হয়ে থাকে তাহলে Start -> Settings -> Control Panel -> System -> Device manager এ গিয়ে দেখা যাবে কোন কোন হার্ডওয়্যারের পাশে হলুদ আইকন ‘!’ এসে বসে আছে। সেই হার্ডওয়্যারটিতে ক্লিক করে প্রোপার্টিজে গেলে দেখা যাবে IRQ নাম্বারটি যা সেই ডিভাইসটি ব্যবহার করছে এখন। যদি এই নাম্বার দুইবার হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে হতে পারে দুইটি ডিভাইস এই নম্বরটি ব্যবহার করছে।
এই সমস্যা হলে যা করতে হবে :

ডিভাইস ম্যানেজারে গিয়ে সেই সমস্যাপূর্ণ ডিভাইসটি বা ডিভাইসগুলি আনইন্সটল করে আবার ইন্সটল করতে হবে। কোন কোন সময় ড্রাইভারগুলি আপডেট দিতে হতে পারে। ড্রাইভার সংগ্রহে না থাকলে নিচের লিংক থেকে চেষ্টা করা যেতে পারে – 

যদি ডিভাইসটি হয়ে থাকে সাউন্ড-কার্ড অথবা, মডেম তাহলে সেগুলি খুলে মাদারবোর্ডের অন্যকোন স্লটে লাগিয়ে দেখা যেতে পারে। যখন কম্পিউটার এর ভিতরে কাজ করা হবে (অর্থাৎ কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার খুলার সময়) অবশ্যই সুইচ অফ করে নিতে হবে।
Bad Ram
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে ব্যাপারটি কি হতে পারে। RAM এর সমস্যার কারণেও এই BSOD বা ব্লু-স্ক্রিন-জনিত সমস্যা হতে পারে এবং ম্যাসেজ আসতে পারে “Fatal Exception Error.”। ফ্যাটাল ইরোর গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার সমস্যা দেখায়। কোন কোন সময় এই ইরোর বুঝায় যে, কোন একটি অংশ ভাঙ্গা আছে এবং রিপ্লেস করার প্রয়োজন।
কিন্তু এই RAM এর জন্য যে Fatal ইরোর আসে তার কারণ হতে পারে র‍্যামটি/র‍্যামগুলি ঠিক মত match করে নাই অর্থাৎ mismatch হয়েছে। যেমন : র‍্যামের বাস-স্পিড রয়েছে যা মাদারবোর্ডের বাস-স্পিডের সাথে মিলতে হবে। যদি না মিলে তাহলে ফ্যাটাল ইরোর আসবে। এই সমস্যার সমাধানে জন্য, সঠিক বাস-স্পিডের র‍্যাম মাদারবোর্ডে লাগাতে হবে। এবং একাধিক র‍্যাম থাকলে সমস্যা-ওয়ালা র‍্যামটি ডিটেক্ট করে সেটা খুলে ফেলতে হবে। এছাড়াও RAM এর Wait State নামক একটি ফাংশন আছে যা বায়োস এ গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। সেই ফাংশনটি BIOS Settings এ গিয়ে বাড়িয়ে দিতে হবে প্রয়োজন হলে। তাহলে আশা করা যায় এই সমস্যার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
BIOS settings
প্রতিটি মাদারবোর্ডের সাথে চীপসেট সেটিংস দেয়া থাকে যা ফ্যাক্টরি থেকেই ডিফল্ট সেটিংস দিয়ে রাখে। এই সটিংস এ প্রবেশ করার জন্য কম্পিউটার বুট করার সময় কীবোর্ডের F2 অথবা, Delete বাটন চাপতে হবে। একবার বায়োসে প্রবেশ করলেই অতিরিক্ত সাবধানতার সাথে সেই সেটিংস কন্ট্রোল করতে হবে।
একটি কমন BIOS error হচ্ছে CAS latency যা RAM কে রেফার করে। পুরাতন র‍্যাম এর তিনটা CAS latency থাকে আর নতুন SDRAM এ থাকে ২টি। এই অপশন যদি কোন কারণে ভুল হয়ে থাকে তাহলে RAM লক হয়ে যেতে পারে অথবা, কম্পিউটার এর ডিসপ্লে ফ্রিজ হয়ে যেতে পারে। যদি সম্ভব হয় তাহলে বায়োসে গিয়ে IRQ নম্বর সেটিংস অটো করে দিয়ে রাখাই ভালো।
Hard disk drives
এক মাস পর পর হার্ডডিস্ক ড্রাইভ এর তথ্যগুলি ফ্র্যাগমেন্ট করা উচিত। Screen Freeze জনিত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এটা অনেক কার্যকর। উইন্ডোজ এর Start -> Programs -> Accessories -> System Tools -> Disk Defragmenter এ গিয়ে রান করাতে হবে। এটা উইন্ডোজ এ ডিফল্টই দেয়া থাকে।
এই ডিফ্রাগমেন্ট চলাকালীন ভালো হয় পিসিতে কাজ না করা। তাই শিডিউল সেট করে রক্ষা যেতে পারে কবে, কখন এই প্রসেসটা হবে। আর এই জন্য Windows এর Task Scheduler টা ব্যবহার করতে হবে।
হার্ডডিস্ক যদি ডাটাতে সম্পূর্ণ ভরে যায় তাহলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যাবে এবং ক্র্যাশ করবে। কিছু ফ্রি স্পেস তৈরি করে রাখতে হবে সব সময়। রিসাইকেলবিন খালি করতে হবে প্রতি সপ্তাহে। এছাড়াও ScanDisk করতে হবে মাঝে মাঝে। আর এই স্ক্যান-ডিস্ক করার জন্য Start -> Programs -> Accessories -> System Tools -> ScanDisk রান করাতে হবে। অথবা, এটাকে টাস্কসিডিউলার হতে শিডিউলে সেট করে নিতে হবে যখন কম্পিউটারে কাজ না করা হয় সেই সময়টা।
Fatal OE exceptions and VXD errors
Fatal OE exception errors and VXD errors আসে মূলত Video Card এর সমস্যা-জনিত কারণে। এমনটা হলে ভিডিও এর রেজ্যুলেশান কমিয়ে দিয়ে দেখা যেতে পারে সমস্যাটি সমাধান হয় কি না। আর এই জন্য যেতে হবে Start-Settings-Control Panel-Display-Settings। এবং নিশ্চিত হয়ে দেখতে হবে সে এটা কোন হার্ডওয়্যার কনফ্লিক্টজনিত সমস্যা কি না। এর জন্য যেতে হবে Start-Settings-Control Panel-System-Device Manager। এবং ডিভাইস ম্যানেজারে গিয়ে সিলেক্ট করতে হবে Display Adapter এর পাশের ‘+’ চিহ্নটি। একটি বর্ণনা আসবে সেই ডিসপ্লে এডাপ্টারটির সম্পর্কে। ইহা সিলেক্ট করে Properties এ যেতে হবে। এর পর Resources সিলেক্ট করতে হবে। ম্যাসেজগুলি দেখতে হবে কি বলা আছে। সেখানে কোন কনফ্লিক্ট না থাকলে লেখা থাকবে “No Conflicts”।
হার্ডওয়্যার কনফ্লিক্টজনিত সমস্যার সমাধানের জন্য যা করতে হবে :
uncheck করতে হবে Automatic Settings box এবং ক্লিক করতে হবেChange Settings button এ। তাহলে সার্চ করবে কোন কনফ্লিক্ট রয়েছে কিনা এবং ম্যাসেজ ‘No Conflicts’।
Viruses
ভাইরাসের কারণেও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। কিছু কিছু ভাইরাস আছে যা হার্ডডিস্কের Boot সেক্টরে প্রবেশ করে সকল ডাটা মুছে দিতে পারে। এতে করেও কম্পিউটার ক্র্যাশ হবে। এই জন্য ভালো আইডিয়া হচ্ছে ‘Windows start-up disk’ তৈরি করে নেয়া। এই জন্য যেতে হবে Start -> Settings -> Control Panel -> Add/Remove Programs এবং Start Up Disk। এছাড়াও এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামটি রেগুলারলী আপডেটিড রাখা উচিত।
Printers
প্রিন্টার এর খুবই সামান্য পরিমাণ ম্যামোরী থাকে, যাকে বলে buffer। এই বাফার খুব সহজেই ওভারলোডেড হয়ে যেতে পারে। যদি প্রিন্টার কোন অদ্ভুত ক্যারাক্টার প্রিন্ট করার চেষ্টা করে থাকে যা সে বুঝতে পারছে না, তাহলে কম্পিউটার ক্র্যাশ করার সম্ভাবনার থাকে। অনেক সময় বাফার এর কনফিউশনের কারণে প্রিন্টার পূর্বের মত হতে সমস্যা করে। এই জন্য সব সময় প্রিন্টার এর বাফারটি খালি রাখা উচিত আর এই জন্য প্রিন্টার এর প্লাগটি ২০ সেকেন্ডের জন্য খুলে রাখা উচিত। পাওয়ার খুলে ফেলে আবার পাওয়ার দিয়ে বুট করারকে বলে cold boot,  যা প্রিন্টারটিতে একটি ডিফল্ট সেটিংস দিবে এবং আবার পিসিটি নির্ভেজাল-ভাবে কাজ করতে সক্ষম হবে।
Software
কম্পিউটার ক্র্যাশ করার আরেকটি কারণ হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ সফটওয়্যার। এই সমস্যার সমাধান হিসাবে আবার সেই সকল সফটওয়্যার আনইন্সটল করতে হবে এবং প্রয়োজনে ভালো সফটওয়্যার ইন্সটল দিতে হবে।
সিস্টেম রেজিস্ট্রি নষ্ট হয়ে যেতে পারে পুরাতন রেফারেন্সের কারণে যা আনইন্সটল করা হয়েছে। তাই Registry Cleaner ব্যবহার করে রেজিস্ট্রি ক্লিন করতে হবে। এতে করে পুরাতন সফটওয়্যার এর রিজিস্ট্রিজনিত সকল ইনফরমেশন মুছে যাবে। যদি রেজিস্ট্রি ভেঙ্গে যায় এমনও হতে পারে আবার অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল দিতে হবে।
Overheating
সিপিইউ এর সাথে কুলিং ফ্যান থাকে যা সিপিইউ কে ঠান্ডা রাখতে সব সময় সাহায্য করে। যদি এই কুলিং ফ্যানটি কোন কারণে ব্যর্থ হয় তার কাজ করতে গিয়ে তাহলে CPU অতিরিক্ত গরমের (overheat) কারণে এক প্রকার error দেখাবো যাকে বলে ‘kernel error’। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কুলিং ফ্যানটি খুলে পরিষ্কার করা যেতে পারে অথবা, আরও ভালোমানের কুলিং ফ্যান কিনে এসে CPU তে লাগাতে হবে। BIOS এ গিয়ে দেখা যেতে পারে পিসি CPU কতটুকু গরম হয়েছে।
Power supply problems
অনেক সময় Power Supply ঠিক মত কাজ করে না। তখন কম্পিউটার ক্র্যাশ করতে পারে। এই জন্য ভালোমানের একটি Power Supply কিনে সিপিইউ তে ব্যবহার করা উচিত। সাথে ভালো হয় যদি পারা যায় ভালো মানের একটি UPS ব্যবহার করা। ইহা একটি পরিষ্কার এবং নির্ভেজাল পাওয়ার সাপ্লাই করবে। এবং প্রতিবার ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলেও কম্পিউটার সঠিক মত বন্ধ করা যাবে।  

ধন্যবাদ সবাইকে।

ল্যাপটপ ব্যবহারে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার।




অনেকেই এখন ডেস্কটপ এর পরিবর্তে ল্যাপটপ ব্যাবহার করছে। যদিও প্রোফেশনাল কাজের জন্য ডেস্কটপই উপযুক্ত। তবে যারা শখের বশে কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাদের ল্যাপটপ কেনাই উচিত। ল্যাপটপ সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে- নেটবুক, নোটবুক। যারা হাল্কা কাজ বা অনলাইনে কাজ করে থাকেন তারা সাধারনত নেটবুক ব্যাবহার করে থাকেন। আর অপেক্ষাকৃত ভারী কাজ ও হাই গ্রাফিক্স এর গেমিং এর জন্য অনেকে নোটবুক কিনে থাকেন। শুধু ল্যাপটপ কিনে ব্যাবহার করলেই চলবে না। ব্যাবহার এর সাথে সাথে নিয়মিতভাবে এর যত্নও নিতে হবে। আপনার ল্যাপটপটি যাতে দীর্ঘদিন ঠিকভাবে সার্ভিস দিতে পারে সে জন্য কিছু টিপস মেনে চলা উচিত। এতে করে ল্যাপটপের পারফরমেন্স ভাল থাকবে। 

  • ব্যাটারি দিয়ে ল্যাপটপ চালানো না লাগলেও ২/৩ সপ্তাহে মাঝে মাঝে ব্যাটারি থেকে চালাতে হবে, নতুবা ব্যাটারি আয়ু কমে যাবে।
  • ব্যাটারিতে ল্যাপটপ চালানোর সময় স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।
  • মাঝে মাঝে ব্যাটারির কানেক্টর লাইন পরিষ্কার করুন।
  • ভালো মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
  • দরকারি ছাড়া অন্য উইন্ডোগুলো মিনিমাইজ করে রাখুন।
  • হার্ডডিস্ক থেকে মুভি-গান প্লে করুন, কারণ সিডি/ডিভিডি র‌্যাম অনেক বেশি পাওয়ার নেয়।
  • এয়ার ভেন্টের পথ খোলা রাখুন ও সহজে বাতাস চলাচল করে এমনভাবে ল্যাপটপ রাখুন, সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখবেন না।
  • শাট ডাউনের পরিবর্তে হাইবারনেট অপশন ইউজ করুন।
  • ব্লু-টুথ ও ওয়াই-ফাই কানেকশন বন্ধ রাখুন।
  • হার্ডডিস্ক ও সিপিইউ-এর মেইনটেন্যান্সে কোনো কাজ করবেন না।
  • অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করুন।
  • মাঝে মাঝে মেমোরি ক্লিনের জন্য Ram Cleaner, Ram Optimi“er, Mem Monster, Free Up Ram, Super Ram নিয়মমাফিক ডিফ্রাগমেন্ট করুন।
  • আপাতত দরকার নেই এমন প্রোগ্রাম আনইনস্টল করুন।
  • ল্যাপটপ এর উপর ময়লা পরলে তা পরিষ্কার করা যেই কাজটা আমরা অনেকেই করি না। আর অবশ্যই সঠিক পরিস্কারক দ্রব্য ব্যবহার করা উচিত।
  • ল্যাপটপের কি বোর্ড ও মাউস এর পরিবর্তে এক্সটারনাল কি বোর্ড ও মাউস ব্যবহার করা। এতে করে ল্যাপটপের কিবোর্ড এবং মাউস প্যাড ভাল থাকবে দীর্ঘ দিন।
  • ল্যাপটপে বেশি গ্রাফিক্সের গেমস না খেলা, এতে করে ল্যাপটপ খুবই উত্তপ্ত হয়ে যায় যা ভেতরের অন্যান্য যন্ত্রপাতির জন্য ক্ষতিকারক।
  • ল্যাপটপে যথা সম্ভব ছোট সাইজের সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত।
  • ল্যাপটপ য়থা সম্ভব কম সময়ের জন্য চালানো উচিৎ।
  • সরাসরি তাপ থেকে ল্যাপটপ দূরে রাখা উচিত।
  • ল্যাপটপ বেশিক্ষণ কোলের ওপর রেখে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছুদিন আগে একদল গবেষক ল্যাপটপ ব্যবহারকারীর মাঝে এক জরিপ চালিয়ে দেখেছেন, যারা কোলের ওপর রেখে অনেকক্ষণ ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তাদের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
  • ল্যাপটপে বিল্ট-ইন কিছু ডিভাইস আছে যেমন : ব্লু-টুথ, ওয়াই-ফাই, ইনফ্রারেড ইত্যাদি। প্রয়োজন না থাকলে ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় এসব ডিভাইস বন্ধ করে রাখুন। এতে ব্যাটারির শক্তি খরচ কম হবে।
  • ল্যাপটপ বহনে ল্যাপটপের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করুন। এসব ব্যাগ ল্যাপটপকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়া ভ্রমণে ল্যাপটপ বহন করার জন্য কাঁধে ঝুলানোর সুবিধাযুক্ত ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে বহনে সুবিধার পাশাপাশি আরেকটি সুবিধা হলো, বাইরে থেকে বোঝাই যাবে না যে আপনি ল্যাপটপ বহন করছেন। তাই ছিনতাইকারীর দৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
  • ল্যাপটপে গেম খেলা বা কোনো কিছু টাইপ করার জন্য এক্সটার্নাল কি-বোর্ড এবং মাউস ব্যবহার করুন। কারণ, এসব ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহারে ল্যাপটপের টাচ প্যাড এবং কি-বোর্ডের আয়ু কমে যেতে পারে।
  • ঘরে বা বাইরে বিদ্যুত্ ব্যবহারের সুবিধা আছে এমন স্থানে সরাসরি বিদ্যুত্ ব্যবহারের মাধ্যমে ল্যাপটপ চালান। ল্যাপটপের ব্যাটারির একটি নির্দিষ্ট আয়ু আছে। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বার চার্জ হওয়ার পর এই ব্যাটারিটি নষ্ট অর্থাত্ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়।
  • ল্যাপটপের এয়ার ভেন্টটি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। কারণ এয়ার ভেন্ট বন্ধ হয়ে গেলে প্রচুর তাপ উত্পন্ন হবে, যা ল্যাপটপের জন্য ক্ষতিকর। খাবার ও পানীয় থেকে ল্যাপটপ দূরে রাখুন। না হলে অসাবধানতাবশত ল্যাপটপের ওপর পানি পড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
  • ল্যাপটপ ডেস্কটপের মতো একটানা ব্যবহার করা ঠিক নয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ব্যবহার করার পর ল্যাপটপ কিছু সময় বন্ধ রাখা উচিত। আপনার চোখের সুবিধার জন্য স্ক্রিনের লাইট আপনার চোখের সঙ্গে মানানসই করে রাখুন। মনে রাখবেন, এমন হাই কালার দিয়ে রাখবেন না যেটি আপনার চোখের সহ্যের বাইরে। প্রয়োজনে সফটওয়্যার দিয়ে এ কাজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে পারেন।   



(আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে। ধন্যবাদ সবাইকে।)