সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫

ক্রোম ব্রাউজারকে আরো গতিশীল করুন।


গতিময় ক্রোম ব্রাউজার



ক্রোম ব্রাউজারে অনেক সময় ব্রাউজের গতি ধীর হয়ে পড়ে। তখন সাধারণভাবে প্রথমেই মাথায় আসে ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়ার বিষয়টি। কিন্তু অনেক সময় ইন্টারনেটের গতি ঠিক থাকলেও ক্রোম ব্রাউজের কারণে এমনটি হতে পারে।
এমন অবস্থায় করণীয় কি? তাহলে কি নিত্য নতুন ফিচার সমৃদ্ধ ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার বাদ দিয়ে অন্য কিছু ব্যবহার করতে হবে।
বিষয়টি মোটেও সে রকম নয়। একটু কৌশল জানা থাকলে ক্রোমের গতিই ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এখানে সে কৌশলটিই তুলে ধরা হলো।  



প্রথমে ব্রাউজারের ডানে মেন্যু থেকে সেটিংসে যেতে হবে। 




তারপর সেখানে থেকে স্ক্রল করে ‘Show advanced settings’ অপশনে যেতে হবে।
এরপর System section খুঁজে বের করতে হবে।


সেখান থেকে ‘Use hardware acceleration when available’ এ অপশন ক্লিয়ার করতে হবে।
এরপর ব্রাউজারটি রিস্টার্ট করতে হবে। তাহলেই গতিময় হয়ে যাবে ইন্টারনেটের গতি। 




আজ এ পর্য‍ন্তই। ধন্যবাদ সবাইকে।








গুগল ক্রোমে সহজে কুকিস ডিলেট করার উপায়।

গুগল ক্রোমে সহজে কুকিস ডিলেট করার উপায়।  



ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবেশদ্বার হলো ওয়েব ব্রাউজার। এ সফটওয়্যার ছাড়া অনলাইনের জগতে ঢোকা যায় না। তাই সব সময় যে কোনো ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করতেই হয়। এগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় ব্রাউজার হলো গুগল ক্রোম। (এটাই আমার ফেভারেট ব্রাউজার)
যারা নেট নিয়মিত ব্যবহার করেন তারা সবাই জানেন প্রায়ই ব্রাউজারটির গতি কমে যায় কিংবা কোনো সাইট ঠিকভাবে লোড হয় না। ইন্টারনেট সংযোগ বা গতি ঠিক থাকলেও এমনটি ঘটতেপারে মূলত কুকিসের কারণে। ব্রাউজারের কুকিস মুছে ফেললে সমস্যাটি দূর হয়। 
তবে অনেকের কাছে প্রতিবার ব্রাউজারের পর কুকিস ডিলেট করাটা বিরক্তের কাজ মনে হতে পারে। তারা চাইলে AUTO কুকিস ডিলেটের ব্যবস্থা করতে পারেন। নিচের পদ্ধতিতে ক্রোম ব্রাউজারে AUTO কুকিস ডিলেট করতে পারবেন। 
প্রথমে ক্রোম ব্রাউজারটি চালু করতে হবে। তারপর ডান পাশের উপরে থাকা সেটিংস মেন্যুতে যেতে হবে।
তারপর সেখান থেকে  Show advanced settings-এ যেতে হবে। তাহলে নতুন একটি উইন্ডো চালু হবে। তা থেকে  Privacy অপশনে যেতে হবে।
এরপর ‘Content settings’ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।  



আবারও একটি নতুন উইন্ডো চালু হবে। যেখানে থেকে কুকিস অপশনটিতে ক্লিক করতে ‘Keep local data only until you quit your browser’-এটি নির্বান করতে হবে। সবশেষে Done বাটনে ক্লিক করতে হবে।
তাহলে প্রতিবার ক্রোম ব্রাউজারটি বন্ধ করলেই কুকিসগুলো নিজে থেকেই ডিলেট হয়ে যাবে।



ধন্যবাদ সবাইকে। 






সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৫

কম্পিউটার হার্ডওয়ার এর গুরুত্বপুর্ণ কয়েকটি সমস্যা এর সমাধান।

কম্পিউটার হার্ডওয়ার এর গুরুত্বপুর্ণ কয়েকটি সমস্যা এর সমাধান।  



১। কম্পিউটার অধিক স্লো হয়ে গেছে, যে কোন প্রোগ্রাম ওপেন হতে অনেক সময় লাগে।

সমাধান- এজন্য আপনি অপ্রয়োজনীয় কিছু প্রোগ্রাম কন্ট্রোল প্যানেল এর Add/Remove অপশন থকে রিমুভ করুন। এছাড়া সি ড্রাইভে, যেখানে ইউন্ডোজ ইন্সটল করা আছে সেখানে ইউন্ডোজ ফোল্ডার থেকে টেম্প ফাইলের সকল ফাইল ডিলীট করুন। এছাড়াও প্রিফেচ এবং হিডেন ফাইলের আইএনএফ এর সকল ফাইল ডিলীট করুন। আর সার্চ এর মাধ্যমে সকল folder.htt, desktop.ini, autorun ফাইলসমূহ ডিলীট করুন,তবে অবশ্যই Shift+Delete দিতে হবে। আশা করি আপনার পিসি অনেক ফার্স্ট হবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ফাইলগুলোও মুছে দিন। আরো অধিক পারফরম্যান্স পেতে র্যাম বাড়াতে পারেন। আপাতত ভার্চুয়াল মেমরী বাড়িয়ে রাখুন।

২। কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করার মাঝখানে কম্পিউটার বারবার রিস্টার্ট হয় কিংবা সেটআপ অর্ধেক হয়ে আটকে থাকে।

সমাধান- এর প্রধান কারণ হচ্ছে RAM। আপনাকে RAM চেঞ্জ করতে হবে। RAM বাস স্পীড সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে ইউন্ডোজ সেটআপ হবে না।

৩। কম্পিউটার চালু হতে বেশী সময় লাগে এবং এরর ম্যাসেজ আসে।

সমাধান- আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য RAM বাড়াতে পারেন। এছাড়াও অন্যান্য ডিভাইস জনিত সমস্যা থাকতে পারে। সবগুলো চেক করে দেখুন। বায়োস থেকে পাওয়র অন সেলফ টেস্ট ডিজেবল করে দিন। অতপর সেভ করুন।

৪। কম্পিউটার অন হওয়ার পর একের পর এক এরর ম্যাসেজ আসে। কোন প্রোগ্রাম ওপেন করা যাচ্ছে না।

সমাধান- এরর মেসেজ Disable করে রাখুন, অতিরিক্ত ফাইল মুছে ফেলুন, অপ্রয়োজনীয় সফটওয়ার রিমুভ করুন। স্টার্টআপের পোগ্রাম অফ করুন। তাতে কাজ না হলে আবার উইন্ডোজ দিন। এরর মেসেজ Disable কিভাবে করবেন তা পূর্বের লেখায় আলোকপাত করা হয়েছে।
৫। কম্পিউটারের উইন্ডোতে Folder Option নেই। কনফিগারেশন ফাইল ওপেন করলে কম্পিউটার রিস্টার্ট হয়।

সমাধান- আপনার পিসিতে ভাইরাস আক্রমণ করেছে। এজন্য আপনাকে অপারেটিং সিস্টেম রিপেয়ার সেটআপ না দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন করে সেটআপ দিতে হবে।




আপনার সমস্যার সমাধান হলেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেস্টা স্বার্থ‍ক বলে মনে করবো। ধন্যবাদ সবাইকে। 





আপনার কম্পিউটার Auto Refresh হবে।

আপনার কম্পিউটার Auto Refresh হবে এখন হতে। 



আপনার কম্পিউটার বার বার Refresh করতে ঝামেলা মনে হলে Refresher  নামে একটা Software ডাউনলোড করে এর সমাধান করতে পারেন। তাই এবার হতে ব্যবহার করুন Auto-Refresh Programming Software. 



কীভাবে করবেনঃ
১. প্রথমে রেজি ফাইলটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে;
২. Double Click করুন; 
৩. ইয়েস ইয়েস চাপুন
৪. তারপর PC রিস্টার্ট দিন।
৫. এখন থেকে আপনার কম্পিউটার Auto Refresh হবে। 

ফাইল সাইজ মাত্র 1.06MB.   


বুঝবেন কীভাবে যে কাজ করছে?
আপনার পিসি Slow হবে না। সেহেতু কাজ হচ্ছে নিচ্চিত। 


ধন্যবাদ সবাইকে।















বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫

নির্দিষ্ট সময়ে Auto বন্ধ হয়ে যাবে আপনার কম্পিউটার।

নির্দিষ্ট সময়ে Auto বন্ধ হয়ে যাবে আপনার কম্পিউটার।  


Computer চালু রেখেই অনেক সময় অন্য কাজে চলে যেতে হয়। কোন কাজ (আপলোড , ডাউনলোড) দেখা যায় আর মিনিট ৫ বা ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে আবার এই মূহুর্তে‍ কম্পিউটারের সামনে থেকে উঠতে হবে। এমন অবস্থায় এই গুরুত্বপূর্ণ‍ কাজ শেষ না করে যাওয়া যাবে না। তখন উভয় দিক ঠিক রেখে কাজ করতে হয়। এমন উভয় সংকটের কথা বিবেচনা করে এমন একটি সফটওয়্যার সম্পর্কে‍  পরিচয় হওয়া দরকার আমাদের সবারই। এই সফটওয়্যার ইন্সটলের মাধ্যমে টাইমার সেট করে কম্পিউটার অটো শাটডাঊন করার ব্যবস্থা করা যায় আর এমন সংকট হতে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে আশা করা যায়। নিচের লিংক হতে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে PC তে ইন্সটল করে নিলেই সমাধান। সফটওয়্যার সাইজ মাত্র ২.১২ MB।















আজ এ পর্য‍ন্তই। ধন্যবাদ সবাইকে। 







কম্পিউটারকে ফাস্ট করুন অতি সহজে।

কম্পিউটারকে ফাস্ট করুন অতি সহজে।   


কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে দ্রুত করার বিভিন্ন সমাধান রয়েছে। এতে কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে, অহেতুক ঝামেলা নিয়ে অতিরিক্ত টেনসন করতে হবে না। অনেকে এক্সপি, ২০০০, সেভেন কিংবা এইট ইউজ করি, আবার কিছু অফিস আদালতে এখনো ৯৮ ইউস করতে দেখা যায়। এটা হলো ক্লাসিক্যাল ডিজিটাল সিস্টেম । যাইহোক, সকল অপারেটিং সিস্টেমে সমস্যার টাইটেল একই হলেও সমাধানের প্রকার একটু ভিন্ন। তবুও সমাধান এর পদ্ধতি খুব কাছাকাছি। স্পীড বাড়ানোর জন্য করণীয় ফর্মুলা - 

প্রথমে মাই কম্পিউটার  এর প্রপার্টিস এ যান।


 
 

তারপর  এডভান্স অপশন সিলেক্ট  করুন। 


পারফরমেনস অপশনস এর থার্ড অপশন এডজাস্ট ফর বেস্ট পারফরমেন্স সিলেক্ট করে ok করি। 

তারপর ডেস্কটপ এ  right বাটন ক্লিক করে প্রপার্টিস এ গিয়ে থিমস এ Windows ক্লাসিক সেট করে নিন, তারপর ok করুন। কাজটি ok করার পর স্ক্রিন সেভারও অফ করে রাখুন। এর ফলে আপনার কম্পিউটার এর গ্রাফিক্স এফেক্ট  অফ হয়ে যাবে, রেম এর উপর চাপ কম হবে, যার ফলে আগের চেয়ে বেশি স্পীড পাবেন।

ভার্চুয়াল মেমরি বাড়িয়ে নিন :

প্রথমে মাই কম্পিউটার  এর প্রপার্টিস গিয়ে  এডভান্স অপশন সিলেক্ট  করুন, পারফরমেন্স অপশন এর  সেটিং এ ক্লিক করে আবার advance এ ক্লিক করুন।   পারফরমেন্স অপশন এর ভার্চুয়াল  মেমরি এর change অপশন এ ক্লিক করুন।
এখানে কাস্টম সাইজ এ আপনার রেম এর মেমরির দিগুন সাইজ সেট করুন ইনিশিয়াল সাইজ এ, আর  তার ডাবল সাইজ সেট করুন  মাক্সিমাম সাইজ এ, তারপর ok করে রিস্টার্ট চাইলে রিস্টার্ট দিন।

অতিরিক্ত সকল ফাইল রিমুভ করুন:

স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করে রান এ ক্লিক করুন, তারপর লিখুন “prefetch” এন্টার দিন, সকল ফাইল মুছে ফেলুন। 
একইভাবে  temp  %temp% cookies  inf  লিখে একে একে এন্টার দিয়ে সব ফাইল মুছে ফেলুন।





এখন দেখুন  আপনার কম্পিউটার আগের চেয়ে দ্রুত গতির হয়েছে।  


আজ এ পর্য‍ন্তই। ধন্যবাদ সবাইকে। 





সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫

শর্টকাট ভাইরাস থেকে রক্ষার্থে করণীয়।

শর্টকাট ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে যা করা দরকার । 




শর্টকাট নামক ভাইরাসটির সঙ্গে মোটামুটি সবাই পরিচিত। কারণ এই ভাইরাসটি আপনার কম্পিউটারে পেন ড্রাইভ, রিমুভেবল ডিস্ক যেমন মেমোরি কার্ড অথবা ইন্টারনেট ব্যাবহারের সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে।
 
অনেক সময় লাইসেন্সকৃত অ্যান্টিভাইরাসও এই শর্টকাট ভাইরাসগুলোকে কম্পিউটারে প্রবেশ ঠেকাতে পারে না। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে এটি আসলে কোনও ভাইরাস নয়, এটি হলো ভিজুয়াল বেসিক স্ক্রিপ্ট এটিকে সংক্ষেপে VBS Script বলা হয়ে থাকে। নিচের কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করলে এর থেকে মুক্ত থাকা যায়।  

(** এই পদ্ধতিটি শুধুমাত্র উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর ‘ উইন্ডোজ সেভেন ও উইন্ডোজ এক্সপি’তে কাজ করবে।)  

আক্রান্ত কম্পিউটারটিকে শর্টকাট ভাইরাস মুক্ত করতে:
 
১. কি-বোর্ডের CTRL+SHIFT+ESC চাপুন।
২. PROCESS ট্যাবে যান।
৩. এখানে wscript.exe ফাইলটি সিলেক্ট করুন।
৪. End Process এ ক্লিক করুন।
৫. এবার আপনার কম্পিউটারের C:/ ড্রাইভে যান।
 
৬. সার্চ বক্সে wscript লিখে সার্চ করুন।
৭. wscript নামের সব ফাইলগুলো SHIFT+DELETE দিন।
৮. যেই ফাইলগুলো ডিলিট হচ্ছে না ওইগুলো স্কিপ করে দিন।
৯. এখন RUN এ যান।
১০. wscript.exe লিখে ENTER চাপুন।
১১. Stop script after specified number of seconds: এ 1 দিয়ে APPLY করুন।

আক্রান্ত পেনড্রাইভ থেকে রক্ষা পেতে:
১. RUN এ যান।
২. wscript.exe লিখে ENTER বাটনটি চাপুন।
৩. Stop script after specified number of seconds: এ 1 দিয়ে APPLY এ করুন। এবার কারও পেনড্রাইভের শর্টকাট ভাইরাস আর আপনার কম্পিউটারে ঢুকবে না।  


ধন্যবাদ সবাইকে।

নেট বার বার ডিসকানেক্ট হলে করণীয়।

ইন্টারনেট বারবার ডিসকানেক্ট হয়ে যাচ্ছে?




উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে অনেক কারণেই ইন্টারনেট সংযোগে হঠাৎ সমস্যা দেখা দিতে পারে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। 
আইপি ঠিকানায় সমস্যা হলে: 
কাজ বন্ধ হয়ে গেলে IPConfig-এর মাধ্যমে TCP/IP network configuration-এর বর্তমান অবস্থা দেখে DHCP I DNS সেটিংসকে রিফ্রেশ করতে হবে। এটি করতে উইন্ডোজ ৭ বা ৮ অপারেটিং সিস্টেমের স্টার্ট মেনুতে cmd লিখে Ctrl + Shift + Enter চাপুন। কমান্ড প্রম্পট এলে এখানে ipconfig লিখে Enter করলে ইন্টারনেট প্রটোকলের বর্তমান অবস্থা প্রত্যক্ষ করা যাবে। আবার ipconfig/release লিখে এন্টার করলে বর্তমান আইপি ঠিকানা মুক্ত হবে।
তারপর আবার ipconfig/renew লিখে এন্টার করলে নতুন আইপি ঠিকানা পাওয়া যাবে। যদি এই কমান্ড চালালে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আবার Ipconfig/Renew লিখে এন্টার করুন। ওপরের কমান্ডগুলো চালানোর পর সমস্যা থেকে গেলে স্টার্ট মেনুতে notepad লিখে এন্টার করুন। এখানে প্রথম লাইনে ipconfig/release লিখে এন্টার করুন।
দ্বিতীয় লাইনে আবার ipconfig/renew লিখে নোটপ্যাডের File-এ গিয়ে Save as চাপুন। iprenew.bat নামে ফাইলটি ডেস্কটপে সেভ করে নিন। এবার যখনই সমস্যা হবে এই ফাইলে দুই ক্লিক করলে সমস্যা সমাধান হবে।
ডিএনএস ক্যাশে সমস্যা হলে:
ডিএনএস ক্যাশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ঘন ঘন ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা দেখা দেয়। রিসেট বা ফ্ল্যাশ করে ক্যাশের এই সমস্যাকে দূর করা যায়। আগের চালু থাকা কমান্ড প্রম্পটের বক্সে ipconfig/flushdns লিখে এন্টার করুন। Successfully flushed the DNS Resolver Cache বার্তা দেখিয়ে নিশ্চিত করবে। পরেরবার ipconfig/registerdns লিখে আবার এন্টার করুন। হোস্ট ফাইলে যেকোনো প্রোগ্রামের ডিএনএস রেকর্ড হয়ে যাবে এবং ডিএনএস ক্যাশের সমস্যা দূর হবে।
নেটওয়ার্ক টুল দিয়ে মেরামত:
উইন্ডোজ ৭ বা ৮-এর নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যা নানা ধাপে ঠিক করতে উইন্ডোজেই তার সমাধান আছে। এ জন্য Control Panel থেকে Network & Sharing Center-এ যাবেন। এর নিচে Troubleshoot Problems-এ ক্লিক করে পরের পর্দার Internet Connection-এ ক্লিক করতে হবে। এভাবে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্কে সমস্যা খুঁজে নিয়ে তার সমাধান করা যাবে।  


আশা রাখি সমস্যার সমাধান হবে। ধন্যবাদ সবাইকে।

রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই ইন্টারনেট !

ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই ওয়েবসাইট দেখার উপায়। 


ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া কোন কিছুই যেন চলছে না। আজকাল বাজারের সদাই পর্যন্ত হোম ডেলিভারি দিচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তাই বলাই যায় দিন যতই যাবে ততই আমরা ইন্টারনেটের গন্ডির মধ্যে যেন হারিয়ে যাচ্ছি। তাই তো ইন্টারনেট সংযোগের সাহায্যে যদি কোন ওয়েবসাইট কিংবা যেকোন সাইট ব্রাউজ করার সময় ‍যদি সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে আমাদের বিরক্তের যেন শেষ থাকে না। যদি এমন হয় যে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই ওয়েবসাইট দেখা যাচ্ছে, তাহলে কেমন হয়? অফলাইনে (ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থা) চাইলে আপনি কিন্তু খুব সহজেই এ কাজটি করতে পারেন।
এ জন্য ব্রাউজারের সেটিংসে পরিবর্তন করতে হবে। গুগল গুগল ক্রোমে আছে সাইট ক্যাশ করে রাখার সুবিধা। তাই এক ঘণ্টা আগে যে ওয়েবসাইট দেখেছেন, সেটি পরে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া আবার দেখতে দেখতে পারবেন। গুগল ক্রোম ব্রাউজার চালু করে নিন। এবার ক্রোমের ওমনি বক্স বা অ্যাড্রেস বারে chrome://flags/#show-saved-copy লিখে এন্টার করুন। আবার ওমনি বক্সে chrome://flags লিখে এন্টার করে Ctrl + F চাপুন। সার্চের ঘরে Enable Show Saved Copy Button লিখুন। এবার Enable Show Saved Copy Button নামের হলুদ রং নির্দেশিত একটি ক্রোম ফ্ল্যাগ দেখতে পাবেন। এর ঠিক নিচের ড্রপডাউন মেনুতে ক্লিক করে Enable: Primary নির্বাচন করুন। কাজ হয়ে গেছে। কাজটি পরীক্ষা করতে ইন্টারনেট সংযোগ চালু থাকা অবস্থায় পছন্দের যেকোনো সাইট বা ওয়েবপেজ দেখুন। 
এবার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে Ctrl + H বোতাম চাপুন। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা ওয়েবপেজগুলো এখানে পাবেন। যেকোনো লিংকে ক্লিক করলে This page is not available পাতায় Show saved copy নামের নীল রঙের বোতাম ক্লিক করলেই পেইজটি দেখতে পারবেন। ফায়ারফক্স ফায়ারফক্সে আলাদা কোনো ফ্ল্যাগ পাবেন না। ব্রাউজারটি চালু করে নিন। অফলাইনে ওয়েবপেজ দেখতে হলে ফায়ারফক্সের ওপরে ডান পাশের হ্যামবার্গার মেনুতে (তিন ডট আইকন) ক্লিক করুন। এবার Developer বোতামে ক্লিক করে আবার তালিকার Work Offline এ ক্লিক করুন। এটি করলে ফায়ারফক্স তার ব্রাউজারের অনলাইনে থাকা পাতাগুলোকে ক্যাশে জমা করবে এবং সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও সেই পাতাগুলোকে যখন খুশি দেখাবে। আগের মতোই অফলাইনে সাম্প্রতিক পাতাগুলোকে দেখতে কিবোর্ডের Ctrl + H বোতাম একসঙ্গে চেপে কাঙ্ক্ষিত লিংকে ক্লিক করলেই ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই ওয়েব পাতা দেখতে পারবেন।  ( কি এখন কী মোটামুটি সন্তোষ্ট ?) 


ধন্যবাদ সবাইকে।

সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৫

সকল ওয়েব ব্রাউজারের কিছু Common কী বোর্ড‍ শর্ট‍কাট।

সকল ওয়েব ব্রাউজারের কিছু Common কী বোর্ড‍ শর্ট‍কাট। 




আমরা যারা ইন্টারেনেটে প্রতিদিন কাজ করি তারা বিভিন্ন জন বিভিন্ন ব্রাউজার সফটয়্যার ব্যবহার করে থাকি। এসব ব্রাউজারের বিশেষ করে ফায়ারফক্স, ক্রম, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, অপেরা এবং সাফারির বিভিন্ন ধরনের কী বোর্ড‍্ শর্ট‍কাট রয়েছে ; তবে প্রত্যেকটি ব্রাউজারের কমন কীবোর্ড শর্টকাটগুলো জানা থাকলে একদিকে যেমন খুব সহজেই যেকোনো ব্রাউজারে সুইচ করা যাবে, তেমনি সময়ও প্রচুর বাঁচবে। এই কমন কীবোর্ড শর্টকাটগুলোর মধ্যে যে গুলো সকল ওয়েব ব্রাউজারে কাজ করবে সেগুলো হলোঃ - 


ট্যাবের ক্ষেত্রে

Ctrl + N – একটি নতুন উইন্ডো ওপেন হবে।
Ctrl + key (1-8) – সংখ্যার উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট ট্যাবে সুইচ করবে।
Ctrl + 9 – সর্বশেষ ট্যাবে সুইচ করবে।
Ctrl + Tab – পরবর্তী ট্যাবে সুইচ করবে। (Ctrl + Page Up ও একই কাজ করে শুধু ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ছাড়া।)
Ctrl + Shift + Tab – পূর্ববর্তী ট্যাবে সুইচ করবে। (Ctrl + Page Down ও একই কাজ করে শুধু ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ছাড়া।)
Ctrl + W, Ctrl + F4 – বর্তমান ট্যাবকে বন্ধ করবে।
Ctrl + T – একটি নতুন ট্যাব ওপেন হবে।
Ctrl + Shift + T – সর্বশেষ বন্ধ হওয়া ট্যাবটি পুনরায় ওপেন হবে।
Alt + F4 – বর্তমান উইন্ডোকে বন্ধ করবে। (প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশনের জন্য কাজ করবে।)

মাউস এবং কীবোর্ডের সমন্বয়ে

Ctrl + Left Click – বর্তমান ট্যাবটিকে দৃশ্যমান রেখে একটি নতুন ট্যাবে লিংক ওপেন হবে।
Shift + Left Click – একটি নতুন উইন্ডোতে লিংক ওপেন হবে।
Ctrl + Shift + Left Click - একটি নতুন ট্যাবে লিংক ওপেন হবে। (নতুন ট্যাবটি দৃশ্যপটে থাকবে।)
মাউসের মাঝে (চাকায়) ক্লিক করে – কোন একটি ট্যাবের মাঝখানে মাউস পয়েন্টার রেখে মাউসের মাঝখানে চাপ দিলে ট্যাবটি বন্ধ হয়ে যাবে।

ন্যাভিগেশন

F5 – রিফ্রেশ / রিলোড।
Ctrl + F5 – রিফ্রেশ করবে এবং বর্তমান পেজের ব্রাউজার ক্যাশ রিসেট করবে। (পুরো পেজটাকে পুনরায় ডাউনলোড করবে।)
Alt + Left Arrow, Backspace – আগের পেজে ব্যাক করবে।
Alt + Right Arrow, Shift + Backspace – যেই পেজ থেকে ব্যাক করা হয়েছে আবার সেই পেজে ফরোয়ার্ড করবে।
Escape – পেজ লোড বন্ধ হয়ে যাবে।
Alt + Home – হোমপেজে ফিরে যাবে। (ব্রাউজারে যেই হোমপেজ সেট করা আছে।)

জুম্‌ ইন ও আউট

Ctrl and +, Ctrl + Mousewheel Up – জুম্‌ ইন।
Ctrl and -, Ctrl + Mousewheel Down – জুম্‌ আউট।
Ctrl + 0 – ডিফল্ট (১০০%) জুমে রিসেট করবে।
F11 – ফুল স্ক্রিন মোড, এক্সিট ফুল স্ক্রিন মোড।

স্ক্রলিং

Space, Page Down – এক ধাপ নিচের দিকে স্ক্রল করবে।
Shift + Space, Page Up – এক ধাপ উপরের দিকে স্ক্রল করবে।
Home – পেজের একদম উপরে স্ক্রল করবে।
End – পেজের একদম নিচে স্ক্রল করবে।

অ্যাড্রেস বার

Ctrl + L, Alt + D, F6 – অ্যাড্রেস বার সিলেক্ট হবে।
Ctrl + Enter – অ্যাড্রেস বারে লেখা টেক্সটের আগে www এবং পরে .com যুক্ত হয়ে ওয়েবসাইট লোড হবে।

সার্চ

Alt + Enter – অ্যাড্রেস বারে লেখা টেক্সট সম্পর্কিত সার্চ রেজাল্ট একটি নতুন ট্যাবে ওপেন হবে।
Ctrl + K, Ctrl + E – ব্রাউজারের বিল্ট-ইন সার্চ বক্স সিলেক্ট করবে অথবা অ্যাড্রেস বার সিলেক্ট করবে যদি ব্রাউজারের কোন ডেডিকেটেড সার্চ বক্স না থাকে।
Ctrl + F, F3 – বর্তমান পেজে অনুসন্ধানের জন্য একটি ইন-পেজ সার্চ বক্স ওপেন হবে।
Ctrl + G, F3 – পেজে অনুসন্ধানকৃত টেক্সটের পরবর্তী মিল খুঁজবে।
Ctrl + Shift + G, Shift + F3 - পেজে অনুসন্ধানকৃত টেক্সটের পূর্ববর্তী মিল খুঁজবে।

হিস্টোরি এবং বুকমার্ক

Ctrl + H – ব্রাউজিং হিস্টোরি ওপেন হবে।
Ctrl + J – ডাউনলোড হিস্টোরি ওপেন হবে।
Ctrl + D – বর্তমান পেজকে বুকমার্ক করবে।
Ctrl + Shift + Del – ক্লিয়ার ব্রাউজিং হিস্টোরি উইন্ডো ওপেন হবে।

অন্যান্য ফাংশন

Ctrl + P – বর্তমান পেজ প্রিন্ট হবে।
Ctrl + S – কম্পিউটারে বর্তমান পেজ সেভ হবে।
Ctrl + O – কম্পিউটারের একটি ফাইল ওপেন হবে।
Ctrl + U – বর্তমান পেজের সোর্স কোড ওপেন হবে।
Ctrl + Shift + I, F12 – ডেভেলপার টুলস অথবা ফায়ারবাগ ওপেন হবে।  

 =============

ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন। 







সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আইপি নাম্বার সম্পর্কে‍ ।

আইপি নাম্বার কি, কেন প্রয়োজন, কিভাবে পরিবর্তন করবেন।   



আইপি নাম্বার কি?
আইপি নাম্বার হল একটি সংখ্যাগত লেবেল যা কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কৌশল বা ডিভাইসের জন্য নির্ধারিত যেখানে নেটওয়ার্কের নোড গুলো যোগাযোগের জন্য আইপি নাম্বার ব্যবহার করে। আইপি অ্যাড্রেসের প্রধান কাজ মুলত দুটি:হোস্ট অথবা নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস সনাক্ত করা এবং অবস্থান খুজে বের করা। যেমন- 215.7.158.14 একটি আইপি নাম্বার।
আইপি নাম্বার কেন প্রয়োজন?
আইপি নাম্বার হল একটি হোম অ্যাড্রেস এর মত। ডাটা প্রেরণ এবং গ্রহন করার জন্য যেমনটি হোম অ্যাড্রেস প্রয়োজন। হোম অ্যাড্রেস এবং আইপি নাম্বার একই রকম কাজ করে থাকে। আইপি নাম্বার এর মাধ্যমে একটি কম্পিউটার যোগাযগের জন্য অন্য একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটে যুক্ত হয়। তাই যোগাযোগ বাবস্থা বযায় রাখার জন্য আইপি নাম্বার অবশ্যই প্রয়োজন।
আইপি নাম্বার এর ব্যবহার:
আপনার আইপি নাম্বার এর মাধ্যমে নির্ণয় করা হয় আপনি কোন দেশ বা কোন যায়গা থেকে আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করছেন। তাই সবধান ইন্টারনেটে কোন অপরাধ মূলক কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
তবে আপনি চাইলে খুব সহজে আপনার আইপি নাম্বার লুকিয়ে রাখতে অথবা পরিবর্তন করতে পারবেন, তাহলে কেউ আপনার অবস্থান সঠিক ভাবে বের করতে পারবে না।
কিভাবে আইপি নাম্বার লুকাবেন?
আইপি নাম্বার লুকাতে চাইলে আপনাকে একটি সফটওয়ার ব্যবহার করতে হবে। তবে এধরনের সফটওয়ার আপনার কম্পিউটার এর জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।এক্ষেত্রে আপনি আইপি হাইডের জন্য Hide me ব্যবহার করতে পারেন।
কিভাবে আইপি নাম্বার পরিবরতন করবেন?
আইপি নাম্বার পরিবর্তন করার অনেক উপায় আছে তবে সব ক্ষেত্রে কাজ নাও হতে পারে। যদি আপনার আইপি নাম্বার স্থীর হয় তাহলে আপনাকে আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বা (ISP) এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। যদিও এটা অসম্ভব ব্যাপার তবে ব্যবসায়ের জন্য হয়ত দিতে পারে। যাই হোক আপনি এ ভাবে একটু করে দেখুন কাজ হয়ে যেতে পারে। এটা শুধু মাত্র Windows XP 2000, 2003 এর জন্য।
১। ক্লিক স্টার্ট
২। ক্লিক রান
৩। লিখুন cmd এবং ওকে করুন (এখানে আপনাকে নির্দেশ করতে হবে)
৪। লিখুন ipconfig/relese এবং এন্টার চাপুন
৫। ক্লিক স্টার্ট, কন্ট্রোল প্যানেল, এবং নেটওয়ার্ক কানেকশন ওপেন করুন
৬। লোকাল এরিয়া কানেকশন এ রাইট ক্লিক করুন, এবং প্রপারটিজ এ যান
৭। এখনে আইপি নাম্বার বা Internet Protocol (TCP/IP) এ দুবার ক্লিক করুন
৮। এখন এখানে আপনি আপনার পছন্দ মত আইপি নাম্বার বসিয়ে নিন
যেমন– ১২৩.১২৩.১২৩.১২৩
৯। এখন Tab চাপুন। তাহলে আপনার প্রবেশ করান নাম্বার গুলো ডিফল্ট হয়ে যাবে
১০। এবার দু যায়গাতেই ওকে চাপুন
১১। আবার লোকাল এরিয়া কানেকশন এ ক্লিক করে প্রপারটিজ এ যান
১২। এখনে আইপি নাম্বার বা Internet Protocol (TCP/IP) এ দুবার ক্লিক করুন
১৩। এখনে আইপি নাম্বারকে automatically কনফিগার করুন
১৪। এখন দু যায়গাতেই ওকে করুন
১৫। সবশেষে দেখুন আপনার আইপি নাম্বার আপনার পছন্দ মত হয়েছে কি না ?  

                                               ============


ফাইল মিসিং ও কম্পিউটার চালু না হলে করনীয়। ।

ফাইল মিসিং ও কম্পিউটার চালু না হলে কি করবেন। 




কম্পিউটারে সমস্যা দেখা দেওয়ার বিষয়টি জানান দিয়ে হয় না। দেখা যায় জরুরি কাজের সময় উটকো কিছু সমস্যা এসে হাজির হয়। এতে বিরক্তির চাইতেও কাজের অসুবিধাই বেশি হয়। এ কারণে কম্পিউটারের সাধারণ কিছু সমস্যার সমাধান কিভাবে করতে হয় তা জেনে রাখা ভালো। এতে করে সমস্যা দিলে দৌড়াতে হবে না সার্ভিস সেন্টারে।
এ রকম সাধারণ সমস্যাগুলোর মধ্যে ফাইল মিসিং ও হঠাৎ কম্পিউটার চালু না হওয়ার অভিজ্ঞতার মুখে অনেককেই পড়তে হয়। এমনটি হলে কি করতে হবে এখানে তুলে ধরা হলো... 
কম্পিউটার চালু না হলে
কাজ করার ফাঁকে অনেক সময় কম্পিউটার হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে আর চালু হয় না। সেক্ষেত্রে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সেফ মুড থেকে চালু করা যায়। 
এ জন্য কম্পিউটার চালু করার বোতাম চেপে F8 বাটন চাপতে হয়। তারপর Last Known Good Configuration নির্বাচন করে আগে ভালো থাকা উইন্ডোজকে ফিরিয়ে আনা যায়।
আবার অনেক সময় অপারেটিং সিস্টেম বুট হতে সমস্যা করে। তেমন ক্ষেত্রেও সাধারণভাবে চালু হয় না কম্পিউটার। বুট সমস্যা হলে Windows Startup Repair অপশনটির মাধ্যমে তা ঠিক করা করতে হয়।
সিস্টেম ফাইল চেকার
অনেক সময় কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় এরর বা ফাইল মিসিং দেখায়। এসব সমস্যার সমাধান করা সিস্টেম ফাইল চেকার ব্যবহার করে। কোনো ফাইল ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা নষ্ট হলে একটি ভালো ফাইলের সহায়তায় সিস্টেম ফাইল চেকার সেটি দূর করে।  



এটি ব্যবহারের জন্য প্রথমে স্টার্টে গিয়ে সার্চে লিখতে হবে cmd । এরপর Command Prompt এলে তাতে ডান ক্লিক করে Run as administrator দিয়ে চালু করতে হবে।
এবার কমান্ড প্রম্পটে sfc/scannow লিখে এন্টার দিতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। এরপর নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে নষ্ট ফাইল ঠিক করা হয়েছে।   



ধন্যবাদ সবাইকে। 









রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

উইন্ডোজ ৭ ব্যবহারের ৩ অজানা টিপস।

উইন্ডোজ ৭ ব্যবহারের ৩ অজানা টিপস।


উইন্ডোজ ৭ -এর সাপোর্ট দেওয়া বন্ধ করে দিলেও এখনও এ অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহারকারী অনেক। এরপর ভিস্তা ও উইন্ডোজ ৮ আনলেও তা বাজারে জায়গা করতে পারেনি। অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারদের দিক দিয়ে তাই এগিয়ে আছে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ৭। 

এখনও যারা এ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছেন তাদের অনেকেই কিছু বিষয় জানেন না। নানান ফিচার ব্যবহারের কিছু কৌশল জানা থাকলে খুব সহজে যে কোনো কাজ করা যায়। এখানে উইন্ডোজ ৭- এর তিনটি কৌশল তুলে ধরা হলো। 



মাউস ছাড়াই টাস্কবার দেখা
সাধারণত টাস্কবারের ওপর মাউস রাখলেই থাম্বনেইল থাম্বানিক দেখা যায়। কিন্তু মাউস না থাকলে বা মাউসে কোনো সমস্যা হলে মাউস ছাড়াই তা দেখে নিতে পারেন।
এ জন্য উইন্ডোজ কী চেপে ধরে T চাপুন। পরে থাম্বনাইল দেখতে আবার T চাপুন। এ ভাবে টাস্কবার ছাড়াই দেখে নিতে পারেন যে কোন চলন্ত উইন্ডো বা অ্যাপ্লিকেশনের থাম্বনেইল।
মাউস ছাড়াই টাস্কবারের অ্যাপ্লিকেশন চালু
টাস্কবারে থাকা অ্যাপ্লিকেশনগুলো সাধারণত মাউসের সাহায্যেই ওপেন করা করা হয়ে থাকে। তবে শুধু কীবোর্ডের সাহায্যেও চাইলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো চালু করা যায়।
এজন্য উইন্ডোজ কী টি চেপে ধরে টাস্কবারে অবস্থানরত আপনার অ্যাপ্লিকেশনটির নম্বর অর্থাৎ 1,2,3,4 বা যে নম্বরে অ্যাপ্লিকেশনটি আছে সেটা চাপতে হবে।
মাউস দিয়ে একাধিক ফাইল সিলেক্ট
একাধিক নির্দিষ্ট ফাইল সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে কীবোর্ডের বিকল্প ছিল না। কারন নির্দিষ্ট ফাইল সিলেক্ট করতে Ctrl কী চেপে সিলেক্ট করতে হতো। তবে কীবোর্ড নষ্ট হয়ে গেলে এক্ষেত্রে বেশ বিপদেই পড়তে হয়। উইন্ডোজ সেভেনে এ সমস্যা নেই।
কেননা মাউস দিয়ে চেক বক্সের সাহায্যে সিলেক্ট করে নেয়া যাবে যে কোন নির্দিষ্ট ফাইল।
এজন্য Computer গিয়ে Organize এর Folder Option এ যেতে হবে। সেখান থেকে View ট্যাব সিলেক্ট করে “Use check boxes to select items” এ টিক চিহ্ন দিয়ে দিতে হব।
এরপর প্রতিটি ফাইলের পাশেই একটি চেক বক্স দেখতে পাবেন। এই চেক বক্সের সাহায্যেই সিলেক্ট করে নিতে পারেন একাধিক নির্দিষ্ট ফাইল।   

ধন্যবাদ সবাইকে।