সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আইপি নাম্বার সম্পর্কে‍ ।

আইপি নাম্বার কি, কেন প্রয়োজন, কিভাবে পরিবর্তন করবেন।   



আইপি নাম্বার কি?
আইপি নাম্বার হল একটি সংখ্যাগত লেবেল যা কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কৌশল বা ডিভাইসের জন্য নির্ধারিত যেখানে নেটওয়ার্কের নোড গুলো যোগাযোগের জন্য আইপি নাম্বার ব্যবহার করে। আইপি অ্যাড্রেসের প্রধান কাজ মুলত দুটি:হোস্ট অথবা নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস সনাক্ত করা এবং অবস্থান খুজে বের করা। যেমন- 215.7.158.14 একটি আইপি নাম্বার।
আইপি নাম্বার কেন প্রয়োজন?
আইপি নাম্বার হল একটি হোম অ্যাড্রেস এর মত। ডাটা প্রেরণ এবং গ্রহন করার জন্য যেমনটি হোম অ্যাড্রেস প্রয়োজন। হোম অ্যাড্রেস এবং আইপি নাম্বার একই রকম কাজ করে থাকে। আইপি নাম্বার এর মাধ্যমে একটি কম্পিউটার যোগাযগের জন্য অন্য একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটে যুক্ত হয়। তাই যোগাযোগ বাবস্থা বযায় রাখার জন্য আইপি নাম্বার অবশ্যই প্রয়োজন।
আইপি নাম্বার এর ব্যবহার:
আপনার আইপি নাম্বার এর মাধ্যমে নির্ণয় করা হয় আপনি কোন দেশ বা কোন যায়গা থেকে আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করছেন। তাই সবধান ইন্টারনেটে কোন অপরাধ মূলক কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
তবে আপনি চাইলে খুব সহজে আপনার আইপি নাম্বার লুকিয়ে রাখতে অথবা পরিবর্তন করতে পারবেন, তাহলে কেউ আপনার অবস্থান সঠিক ভাবে বের করতে পারবে না।
কিভাবে আইপি নাম্বার লুকাবেন?
আইপি নাম্বার লুকাতে চাইলে আপনাকে একটি সফটওয়ার ব্যবহার করতে হবে। তবে এধরনের সফটওয়ার আপনার কম্পিউটার এর জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।এক্ষেত্রে আপনি আইপি হাইডের জন্য Hide me ব্যবহার করতে পারেন।
কিভাবে আইপি নাম্বার পরিবরতন করবেন?
আইপি নাম্বার পরিবর্তন করার অনেক উপায় আছে তবে সব ক্ষেত্রে কাজ নাও হতে পারে। যদি আপনার আইপি নাম্বার স্থীর হয় তাহলে আপনাকে আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বা (ISP) এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। যদিও এটা অসম্ভব ব্যাপার তবে ব্যবসায়ের জন্য হয়ত দিতে পারে। যাই হোক আপনি এ ভাবে একটু করে দেখুন কাজ হয়ে যেতে পারে। এটা শুধু মাত্র Windows XP 2000, 2003 এর জন্য।
১। ক্লিক স্টার্ট
২। ক্লিক রান
৩। লিখুন cmd এবং ওকে করুন (এখানে আপনাকে নির্দেশ করতে হবে)
৪। লিখুন ipconfig/relese এবং এন্টার চাপুন
৫। ক্লিক স্টার্ট, কন্ট্রোল প্যানেল, এবং নেটওয়ার্ক কানেকশন ওপেন করুন
৬। লোকাল এরিয়া কানেকশন এ রাইট ক্লিক করুন, এবং প্রপারটিজ এ যান
৭। এখনে আইপি নাম্বার বা Internet Protocol (TCP/IP) এ দুবার ক্লিক করুন
৮। এখন এখানে আপনি আপনার পছন্দ মত আইপি নাম্বার বসিয়ে নিন
যেমন– ১২৩.১২৩.১২৩.১২৩
৯। এখন Tab চাপুন। তাহলে আপনার প্রবেশ করান নাম্বার গুলো ডিফল্ট হয়ে যাবে
১০। এবার দু যায়গাতেই ওকে চাপুন
১১। আবার লোকাল এরিয়া কানেকশন এ ক্লিক করে প্রপারটিজ এ যান
১২। এখনে আইপি নাম্বার বা Internet Protocol (TCP/IP) এ দুবার ক্লিক করুন
১৩। এখনে আইপি নাম্বারকে automatically কনফিগার করুন
১৪। এখন দু যায়গাতেই ওকে করুন
১৫। সবশেষে দেখুন আপনার আইপি নাম্বার আপনার পছন্দ মত হয়েছে কি না ?  

                                               ============


ফাইল মিসিং ও কম্পিউটার চালু না হলে করনীয়। ।

ফাইল মিসিং ও কম্পিউটার চালু না হলে কি করবেন। 




কম্পিউটারে সমস্যা দেখা দেওয়ার বিষয়টি জানান দিয়ে হয় না। দেখা যায় জরুরি কাজের সময় উটকো কিছু সমস্যা এসে হাজির হয়। এতে বিরক্তির চাইতেও কাজের অসুবিধাই বেশি হয়। এ কারণে কম্পিউটারের সাধারণ কিছু সমস্যার সমাধান কিভাবে করতে হয় তা জেনে রাখা ভালো। এতে করে সমস্যা দিলে দৌড়াতে হবে না সার্ভিস সেন্টারে।
এ রকম সাধারণ সমস্যাগুলোর মধ্যে ফাইল মিসিং ও হঠাৎ কম্পিউটার চালু না হওয়ার অভিজ্ঞতার মুখে অনেককেই পড়তে হয়। এমনটি হলে কি করতে হবে এখানে তুলে ধরা হলো... 
কম্পিউটার চালু না হলে
কাজ করার ফাঁকে অনেক সময় কম্পিউটার হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে আর চালু হয় না। সেক্ষেত্রে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সেফ মুড থেকে চালু করা যায়। 
এ জন্য কম্পিউটার চালু করার বোতাম চেপে F8 বাটন চাপতে হয়। তারপর Last Known Good Configuration নির্বাচন করে আগে ভালো থাকা উইন্ডোজকে ফিরিয়ে আনা যায়।
আবার অনেক সময় অপারেটিং সিস্টেম বুট হতে সমস্যা করে। তেমন ক্ষেত্রেও সাধারণভাবে চালু হয় না কম্পিউটার। বুট সমস্যা হলে Windows Startup Repair অপশনটির মাধ্যমে তা ঠিক করা করতে হয়।
সিস্টেম ফাইল চেকার
অনেক সময় কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় এরর বা ফাইল মিসিং দেখায়। এসব সমস্যার সমাধান করা সিস্টেম ফাইল চেকার ব্যবহার করে। কোনো ফাইল ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা নষ্ট হলে একটি ভালো ফাইলের সহায়তায় সিস্টেম ফাইল চেকার সেটি দূর করে।  



এটি ব্যবহারের জন্য প্রথমে স্টার্টে গিয়ে সার্চে লিখতে হবে cmd । এরপর Command Prompt এলে তাতে ডান ক্লিক করে Run as administrator দিয়ে চালু করতে হবে।
এবার কমান্ড প্রম্পটে sfc/scannow লিখে এন্টার দিতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। এরপর নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে নষ্ট ফাইল ঠিক করা হয়েছে।   



ধন্যবাদ সবাইকে। 









রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

উইন্ডোজ ৭ ব্যবহারের ৩ অজানা টিপস।

উইন্ডোজ ৭ ব্যবহারের ৩ অজানা টিপস।


উইন্ডোজ ৭ -এর সাপোর্ট দেওয়া বন্ধ করে দিলেও এখনও এ অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহারকারী অনেক। এরপর ভিস্তা ও উইন্ডোজ ৮ আনলেও তা বাজারে জায়গা করতে পারেনি। অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারদের দিক দিয়ে তাই এগিয়ে আছে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ৭। 

এখনও যারা এ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছেন তাদের অনেকেই কিছু বিষয় জানেন না। নানান ফিচার ব্যবহারের কিছু কৌশল জানা থাকলে খুব সহজে যে কোনো কাজ করা যায়। এখানে উইন্ডোজ ৭- এর তিনটি কৌশল তুলে ধরা হলো। 



মাউস ছাড়াই টাস্কবার দেখা
সাধারণত টাস্কবারের ওপর মাউস রাখলেই থাম্বনেইল থাম্বানিক দেখা যায়। কিন্তু মাউস না থাকলে বা মাউসে কোনো সমস্যা হলে মাউস ছাড়াই তা দেখে নিতে পারেন।
এ জন্য উইন্ডোজ কী চেপে ধরে T চাপুন। পরে থাম্বনাইল দেখতে আবার T চাপুন। এ ভাবে টাস্কবার ছাড়াই দেখে নিতে পারেন যে কোন চলন্ত উইন্ডো বা অ্যাপ্লিকেশনের থাম্বনেইল।
মাউস ছাড়াই টাস্কবারের অ্যাপ্লিকেশন চালু
টাস্কবারে থাকা অ্যাপ্লিকেশনগুলো সাধারণত মাউসের সাহায্যেই ওপেন করা করা হয়ে থাকে। তবে শুধু কীবোর্ডের সাহায্যেও চাইলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো চালু করা যায়।
এজন্য উইন্ডোজ কী টি চেপে ধরে টাস্কবারে অবস্থানরত আপনার অ্যাপ্লিকেশনটির নম্বর অর্থাৎ 1,2,3,4 বা যে নম্বরে অ্যাপ্লিকেশনটি আছে সেটা চাপতে হবে।
মাউস দিয়ে একাধিক ফাইল সিলেক্ট
একাধিক নির্দিষ্ট ফাইল সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে কীবোর্ডের বিকল্প ছিল না। কারন নির্দিষ্ট ফাইল সিলেক্ট করতে Ctrl কী চেপে সিলেক্ট করতে হতো। তবে কীবোর্ড নষ্ট হয়ে গেলে এক্ষেত্রে বেশ বিপদেই পড়তে হয়। উইন্ডোজ সেভেনে এ সমস্যা নেই।
কেননা মাউস দিয়ে চেক বক্সের সাহায্যে সিলেক্ট করে নেয়া যাবে যে কোন নির্দিষ্ট ফাইল।
এজন্য Computer গিয়ে Organize এর Folder Option এ যেতে হবে। সেখান থেকে View ট্যাব সিলেক্ট করে “Use check boxes to select items” এ টিক চিহ্ন দিয়ে দিতে হব।
এরপর প্রতিটি ফাইলের পাশেই একটি চেক বক্স দেখতে পাবেন। এই চেক বক্সের সাহায্যেই সিলেক্ট করে নিতে পারেন একাধিক নির্দিষ্ট ফাইল।   

ধন্যবাদ সবাইকে। 






ইন্টারনেটে সময় বাঁচানোর কিছু কৌশল ।

ইন্টারনেটে সময় বাঁচানোর ৪ টিপস । 


অনলাইন ব্যবহারের পরিমান বাড়ছে। অফিসের কাজ, পড়াশুনা থেকে শুরু করে ব্যবসা-বানিজ্য সব ক্ষেত্রে অনলাইন নির্ভরতা বাড়ছে। তবে এ মাধ্যম ব্যবহারে একটু কৌশলী হলে প্রয়োজনীয় কাজটি সহজে যেমন করা যায়, তেমনি কম সময়েও বেশি কাজ করা সম্ভব।

ইন্টারনেটের বেড়াজাল এড়িয়ে ও দ্রুত কাজ করার মাধ্যমে সময় বাঁচানোর কিছু কৌশল মেনে চলেন অভিজ্ঞরা। মাত্র একটি কমান্ড দিয়ে কয়েকটি কমান্ডের কাজ করে ফেলা যায়।  এমন কয়েকটি কৌশল তুলে ধরা হলো এখানে......


সর্বশেষ ট্যাব দেখা
অনেক সময় ভুল ক্রমে সর্বশেষ ব্যবহার করা ট্যাবটি বন্ধ হয়ে যায়। সেটি আবার ওপেন করতে ব্রাউজারের সেটিংসে গিয়ে হিস্টোরি অপশনে যেতে হয়। তবে কিবোর্ডে শুধু ‘Ctrl+Shift+T’ চাপলেই সর্বশেষ চালু করা ট্যাবটি ফিরে আসবে।
দ্রুত ইউআরএল লেখা
কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করলে হলে ব্রাউজারে ইউআরএলটি লিখতে হয়। যেমন : www.arif1976.blogspot.com। তবে সময় বাঁচাতে শুধু arif1976 লিখে Ctrl+Enter চাপলেই হবে। খুলে যাবে আপনার কাঙ্খিত blog সাইটটি। 
নতুট ট্যাবে লিংক চালু
ইন্টারনাল লিংকযুক্ত কোনো সাইট আলাদা ট্যাবে চালু করতে সাধারণ মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করে ‘open link new tab’ অপশনটিতে ক্লিক করতে হয়। তবে মাউস ক্লিকের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে যে কোনো লিংক নতুন ট্যাবে ওপেন করতে চাইলে ‘Ctrl’ চেপে লিংকটিতে ক্লিক করলেই হবে।
গোপনে ব্রাউজিং   

গোপনে ব্রাউজিং করতে চাইলে ব্রাউজারের রয়েছে প্রাইভেট ব্রাউজিং সুবিধা। এ জন্য আলাদাভাবে সেটিং মুডে না গিয়ে শুধু Ctrl+Shift+N চাপলেই হবে।     




ধন্যবাদ সবাইকে।




এক ক্লিকেই কম্পিউটার Shut down.

এক ক্লিকে কম্পিউটার বন্ধ করবেন যেভাবে.........  


কাজ শেষে অনেক সময় দ্রুত কম্পিউটার বন্ধ করতে গিয়ে আমরা সরাসরি পাওয়ার বা বৈদুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেই। এভাবে হঠাৎ অফ করলে কম্পিউটার হার্ডড্রাইভ বা প্রসেসরের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি পাওয়ার সাপ্লাই ও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
তাই সবার উচিত কম্পিউটারটি শাট ডাউন দিয়ে এরপর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা। তবে জরুরিভাবে বাইরে যেতে হলে ঠিকমত শাট ডাউন করা হয়ে ওঠে না। এমন ক্ষেত্রে অবশ্য চাইলে এ কাজটি মাত্র এক ক্লিকেই করে নেয়া যায়।
নিচে এই পদ্ধতি বিস্তারিত তুলে ধরা হলো । আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে। 
প্রথমে ডেস্কটপের ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করতে হবে। 
তারপর ‘new’ সিলেক্ট করে ‘shortcut’-এ ক্লিক করতে হবে। 


তাহলে নতুন একটি উইন্ডোজ চালু হবে। সেখানে ‘ ’-এর নিচের অংশটুকুতে %windir%\System32\shutdown.exe /s /t 0  লিখে নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে।



এরপর পছন্দ মত নাম দিয়ে ‘finish’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে ডেস্কটপের মনিটরে একটি শাটডাউন আইকন (উপরের ছবির মতো) দেখা যাবে। এরপর থেকে এ আইকন ক্লিক করলেই কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাবে। সরাসরি পাওয়ার অফ করে দিতে হবে না।    




ধন্যবাদ সবাইকে।