সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫

কম্পিউটার ব্যবহারের সময় করণীয় ।




তথ্য-প্রযুক্তির যুগে সব জায়গাতেই কম্পিউটারের ব্যবহার হচ্ছে৷ তবে কম্পিউটারের পর্দা থেকে কতটা দূরে বসা উচিত বা কতটা আলো দরকার আর সঠিকভাবে তা না হলে নানা রকম সমস্যা হতে পারে - যেমন ...
কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য
আজকের যুগে অফিস-আদালতের কাজ কম্পিউটার ছাড়া যেন ভাবাই যায় না৷ আর বাড়িতেও কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত মানুষ৷ মনিটর থেকে ঠিক দূরত্বে না বসা কিংবা অতিরিক্ত বা কম আলো থেকে হতে পারে চোখের নানা সমস্যা, এমনকি ঘাড় ব্যথাও৷ ‘‘কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে এ সব সমস্যার কথা আজকাল প্রায়ই শোনা যায়’’, বলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা৷
কতটা দূরত্বে বসবেন?
কম্পিউটারের বেশি কাছে বসে কাজ করলে তা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে, বিশেষ করে চোখের৷ বেশিরভাগ মানুষই কম্পিউটারের পর্দা থেকে ৫০ সেন্টিমিটার দূরত্বে বসে কাজ করেন৷ এই দূরত্ব ৭৫ সেমি. হলে সবচেয়ে ভালো হয়৷ পরামর্শ দিয়েছে জার্মানির পেশাদারী নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের৷বিগ হাই রেজোলিউশন কম্পিউটারের ক্ষেত্রে অবশ্য এই দূরত্ব ১০০ সেন্টিমিটার হতে পারে৷
প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভিন্ন
সব কিছুই নির্ভর করে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর ওপর৷ কারণ প্রতিটি মানুষের বসা, স্ক্রিনের দিকে তাকানোর অভ্যাস, স্বভাব ইত্যাদি সবকিছুই আলাদা৷ তাই আলাদাভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে কে, কীভাবে পর্দার সামনে বসে কাজ করতে আরাম বোধ করেন৷ সাথে যাতে হাত নাড়াচাড়া করার ভালো সুবিধা, যথেষ্ট জায়গা থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে৷ তাছাড়া টেবিল এবং চেয়ারের উচ্চতাও লক্ষ্য রাখা জরুরি৷
আলো বা লাইট নির্বাচন
অনেকেই কম্পিউটারের কাজ করার সময় অভ্যাসবশত ঘরের লাইটটি জ্বালিয়ে রাখেন৷ বাইরে যথেষ্ট আলো থাকলে তো আর ঘরের আলোর প্রয়োজন হয় না৷ তাই নিজেকেই দেখে নিতে হবে কতটা আলো রয়েছে৷ অনেক অফিসেই মাথার ওপরে বিশাল টিউব লাইট থাকে, যাতে অনেকেরই অসুবিধা হয়৷ এক্ষেত্রে টেবিল লাইট ব্যবহার করতে পরামর্শ কোলনন শহরের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রাল্ফ ক্রটের৷
মনিটরের ব্যাকগ্রাউন্ড লাইট
মনিটরের পর্দাটি সবসময় পরিষ্কার রাখুন৷ মনিটরের ব্যাকগ্রাউন্ড আলোটি হালকা নীল হলে ভালো৷ তাছাড়া কম্পিউটারে লম্বা টেক্স পড়া বা কম্পোজ করতে গেলে সবচেয়ে ভালো হয় যদি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপর কালো রং দিয়ে লেখা হয়৷ এতে চোখের ওপর চাপ কম পড়ে৷ প্রয়োজনে অক্ষরের সাইজ বড় করে নেয়া যেতে পারে৷
বিশ্রাম
অনেকেই কাজ করার সময় এতো ব্যস্ত থাকেন যে চোখ বা ঘাড়ের বিশ্রামের কথা ভুলে যান৷ এর ফল অবশ্য পাওয়া যায় কিছুক্ষণ পরেই৷ তাই একবারে লম্বা বিশ্রাম না নিয়ে ঘণ্টাখানেক পর পর কয়েক মিনিট করে বিশ্রাম নেয়া ভালো৷ অর্থাৎ দু-চার মিনিট চোখ বন্ধ করে থাকা এবং জানালা দিয়ে অনেক দূরে তাকিয়ে থাকা আর ঘাড়টাকে একটি এদিক-সেদিক ঘোরালে আরাম পাওয়া যায়৷ এছাড়া সম্ভব হলে দাড়িয়ে একটু হাঁটাচলাও করা যেতে পারে৷  


মনে রাখতে হবে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি কোন ক্ষেত্রেই সুফল বয়ে আনতে পারে না। কাজেই কম্পিউটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। 
ধন্যবাদ সবাইকে।  



শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫

পেনড্রাইভের ডিস্ক সমস্যার সমাধান।

পেনড্রাইভের ডিস্ক সমস্যার সমাধান। 


এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারের তথ্য আদান-প্রদানের অন্যতম মাধ্যম পেনড্রাইভ। তবে হার্ডড্রাইভের মতো পেনড্রাইভের ডিস্কে সমস্যা থাকতে পারে। এতে করে পেনড্রাইভের মাধ্যমে তথ্য স্থানান্তরে ঝামেলা হতে পারে।
যদি ডিস্কের সমস্যাটি স্ক্যান করে নেওয়া যায়, তবে তথ্য স্থানান্তর দ্রুত হবে। এতে করে তথ্য স্থানান্তরের জন্য সময়ের অপচয় হবে না।
এ টিউটোরিয়ালে পেনড্রাইভের ডিস্ক স্ক্যান করার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো।
প্রথমে পেনড্রাইভে ডান ক্লিক করে Properties যেতে হবে। 














এরপর সেখান থেকে Tools ট্যাবে ক্লিক করে ‘Check now’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

তারপর ‘Automatically fix file system errors’ এবং ‘Scan for and attempt recovery of bad sectors’-তে টিক চিহ্ন দিয়ে Start চাপতে হবে। 

এ কাজ সম্পূর্ণ হতে কিছুটা সময় নেবে। কাজটি শেষ হলে একটি ম্যাসেজ দেখাবে যে ঠিকভাবে কাজটি হয়েছে। একই সঙ্গে পেনড্রাইভটিতে কোনো সমস্যা থাকলে সেটিও চিহ্নিত করবে।  



                                     আজ এ পর্য‍ন্তই। ধন্যবাদ সবাইকে। 





নতুন কম্পিউটার, ল্যাপটপ কেনার পর যা করতে হবে।

নতুন কম্পিউটার, ল্যাপটপ কেনার পর যা করবেন।

নতুন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কেনার পর অনেকেই সেটিকে ব্যবহার উপযোগী করা নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েন। বিশেষ করে সফটওয়্যার ইন্সটল করা নিয়ে তাদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়। অসচেতন থাকার কারণে অনেকে সমস্যাতেও পড়েন।
তাই কম্পিউটার কেনার পর শুরুতেই কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। যেমন - 


অন্টিভাইরাস ইন্সটল
নতুন কম্পিউটার কেনার পর অপারেটিং সিস্টেমে ইন্সটলের পরে প্রথম কাজ হলো অন্টিভাইরাস ইন্সটল করা। কেননা নতুন কম্পিউটারের গান, মুভি , ভিডিও , মিউজিক ইত্যাদি ডাউনলোড বা পেনড্রাইভ দিয়ে আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। তাই ভালো মানের অন্টিভাইরাস ইন্সটল করতে হবে।
উইন্ডোজ আপডেট
আপনার পিসিটি চালু করার পর প্রথম পদক্ষেপটি হবে উইন্ডোজটিকে আপডেট করে নেয়া। এ জন্য প্রয়োজন হবে ইন্টারনেট সংযোগের। ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ স্থাপনের পর স্টার্ট মেন্যু থেকে অল প্রোগ্রামে গিয়ে উইন্ডোজ আপডেট অপশনটিতে গিয়ে চেক ফর আপডেটে ক্লিক করতে হবে।
আপডেট করার সময় কয়েকবার মেশিনটি রিস্টার্ট নিতে পারে। রিস্টার্টের পর চেক করে দেখুন সবগুলো আপডেট ঠিক মত হয়েছে কিনা? না হলে, আবার আপডেট করতে দিতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে অধিকাংশ ব্যবহারকারীর উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম নকল। সেক্ষেত্রে আপডেট দিলে সমস্যা হতে পারে। তাই আপডেট করা উচিত নয় এবং অটো আপডেট বন্ধ রাখতে হবে।
ড্রাইভারগুলো আপডেট
কম্পিউটারের ভালো পারফরমেন্স নির্ভর করে ড্রাইভারের উপর। তাই ড্রাইভারগুলো সব সময় আপডেট করে রাখতে হবে। ড্রাইভার আপডেট করলে নানা রকম বাগ (ক্রুটি) থেকে মুক্ত পাওয়া যায়।
মাদারবোর্ডর মডেল নম্বর অনুযায়ী ইন্টারনেট সার্চ করে ড্রাইভারের সর্বশেষ আপডেট পাওয়া যাবে। এ ছাড়া মাদারবোর্ড প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট নিয়মিত চোখ রাখতে হবে নতুন আপডেট এসেছে কিনা তা দেখার জন্য।
সফটওয়্যার ইন্সটল
কম্পিউটারের প্রাণ হলো সফটওয়্যার। যাবতীয় সব কাজ করতে হয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে। গান শুনতে হলে প্রয়োজন মিউজিক প্লেয়ার। ভিডিও দেখতে হলে লাগবে ভিডিও প্লেয়ার, ছবি এডিটির জন্য লাগবে সফটওয়্যার ইত্যাদি। তাই প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি ইন্সটল করতে হবে।
তবে নতুনদের একটি একটি করে সফটওয়্যার ইন্সটল করা বেশ ঝামেলার কাজ মনে হতে পারে। সেক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে নিনাইট নামে একটি সফটওয়্যার
এটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে নানা রকম ফ্রি সফটওয়্যার এক ক্লিকেই ইন্সটল করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাউজার থেকে শুরু করে অ্যান্টিভাইরাস ইউটিলিটি, মিডিয়া প্লেব্যাক প্রোগ্রাম পর্যন্ত সব সফটওয়্যার।
নিনাইট ৩২ এবং ৬৪ বিট উভয় সংস্করণের জন্যই পাওয়া যায়। সফওয়্যারটির ওয়েবসাইটটে দিয়ে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো নির্বাচন করে দিতে হবে। এরপর ডাউনলোড করে তা ইন্সটল করা যাবে।
এছাড়া সফটওয়্যারের জন্য চমৎকার একটি সাইট এটি। এখান থেকে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার খুঁজে পাওয়া যাবে।
এ তালিকা থেকে আপনি যে সফটওয়্যারগুলো নিয়মিত ব্যবহার করতে আগ্রহী সেগুলো নির্বাচন করে দিন। তারপর বসে থেকে উপভোগ করুন ঝামেলাবিহীন ইনস্টল প্রক্রিয়া। আপনাকে আর খুঁজে খুঁজে একটা একটা করে ইনস্টল করতে হবে না।
অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইনস্টল
কম্পিউটার বা ল্যাপটপের নির্মাতারা এমন অনেক সফটওয়্যার প্রিইন্সটল করে দেয়, সেগুলো আসলে কোন কাজেই লাগে না। এই সফটওয়্যারগুলো বিশেষ ক্ষেত্রে কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়। তাই স্টার্ট থেকে কট্রোল প্যানেলে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো আনইন্সটল করে দিতে হবে।    



মনে রাখতে হবে পূর্ব‍ সতর্ক‍তাই নিরাপত্তার মূল চাবিকাটি। ধন্যবাদ সবাইকে।





ফাইল মিসিং ও কম্পিউটার চালু না হলে করণীয়।

ফাইল মিসিং ও কম্পিউটার চালু না হলে কি করবেন। 

 কম্পিউটারে সমস্যা দেখা দেওয়ার বিষয়টি জানান দিয়ে হয় না। দেখা যায় জরুরি কাজের সময় উটকো কিছু সমস্যা এসে হাজির হয়। এতে বিরক্তির চাইতেও কাজের অসুবিধাই বেশি হয়। এ কারণে কম্পিউটারের সাধারণ কিছু সমস্যার সমাধান কিভাবে করতে হয় তা জেনে রাখা ভালো। এতে করে সমস্যা দিলে দৌড়াতে হবে না সার্ভিস সেন্টারে।
এ রকম সাধারণ সমস্যাগুলোর মধ্যে ফাইল মিসিং ও হঠাৎ কম্পিউটার চালু না হওয়ার অভিজ্ঞতার মুখে অনেককেই পড়তে হয়। এমনটি হলে আতঙ্কিত না হয়ে যা করণীয় তা হলো -
কম্পিউটার চালু না হলে
কাজ করার ফাঁকে অনেক সময় কম্পিউটার হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে আর চালু হয় না। সেক্ষেত্রে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সেফ মুড থেকে চালু করা যায়। 



এ জন্য কম্পিউটার চালু করার বোতাম চেপে F8 বাটন চাপতে হয়। তারপর Last Known Good Configuration নির্বাচন করে আগে ভালো থাকা উইন্ডোজকে ফিরিয়ে আনা যায়।
আবার অনেক সময় অপারেটিং সিস্টেম বুট হতে সমস্যা করে। তেমন ক্ষেত্রেও সাধারণভাবে চালু হয় না কম্পিউটার। বুট সমস্যা হলে Windows Startup Repair অপশনটির মাধ্যমে তা ঠিক করা করতে হয়।
সিস্টেম ফাইল চেকার
অনেক সময় কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় এরর বা ফাইল মিসিং দেখায়। এসব সমস্যার সমাধান করা সিস্টেম ফাইল চেকার ব্যবহার করে। কোনো ফাইল ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা নষ্ট হলে একটি ভালো ফাইলের সহায়তায় সিস্টেম ফাইল চেকার সেটি দূর করে। 

এটি ব্যবহারের জন্য প্রথমে স্টার্টে গিয়ে সার্চে লিখতে হবে cmd । এরপর Command Prompt এলে তাতে ডান ক্লিক করে Run as administrator দিয়ে চালু করতে হবে।
এবার কমান্ড প্রম্পটে sfc/scannow লিখে এন্টার দিতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। এরপর নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে নষ্ট ফাইল ঠিক করা হয়েছে।   


আশা রাখি এ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান নিজেই বাসায় করতে পারবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।