মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

নোকিয়া মোবাইলের সিকিউরিটি কোড ভেঙ্গে ফেলুন।

:::: নোকিয়া মোবাইলের সিকিউরিটি কোড ভেঙ্গে ফেলুন ::::

নোকিয়া মোবাইল ফোনের গ্রাহক আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি। তাই আজকে নোকিয়া ব্যাবহার কারীদের জন্য  একটা গুরুত্বপূর্ণ‍  বিষয় সম্পর্কে‍ আলোকপাত করা হলো :-
পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া যে কোন মানুষের একটি সহজাত বৈশিষ্ট্য ।কিন্তু ব্যাপারটা মোবাইল এর ক্ষেত্রে ঘটলে একট বেশি বিপত্থি দেখা দেয়। কারন কম্পিউটার থেকে মোবাইল এর গুরুত্ব আমাদের কাছে অনেক বেশি । অনেকে সিকিউরিটি এর জন্য মোবাইল এর সিকিউরিটি কোড পরিবর্তন করে করে রাখে । কিন্তু সেই কোডটি ভুলে গেলে দেখা দেয় বিপত্তি আর সেই কোড ভাঙ্গতে আমরা চলে যাই মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানে আর বাধ্য হয়ে তাদের চাহিদা মত পেমেন্ট করতে হয়। এই সমস্যা থেকে আপনাকে খানিকটা মুক্তি দিতে আজ আপনাদেরকে শেখাবো কিভাবে খুব সহজেই আপনি আপনার নোকিয়া মোবাইল এর সিকিউরিটি কোড ভাঙ্গার জন্য মাস্টার কোড পেতে পারেন । এই জন্য নিচের দাপ গুলা অনুসরণ করুন।  প্রথমে আপনার মোবাইলে *#০৬# চেপে IMEI কোডটি কোথাও বা নোটপ্যাড এ লিখে রাখুন
  1. তারপর এই লিঙ্ক এ চলে যান
  2. এরপর নিচের ছবির বক্স এ ওই IMEI সেইভ করা কোডটি বসান 

  
- তারপর I am legel owner of the phone with that IMEI পাসের টিক চিহ্ন টিক দিন
- এবার  genaret বাটনে ক্লিক করলেই আপনার মোবাইল এর জন্য মাস্টার পাসওয়ার্ডটি পেয়ে যাবেন

যা দিয়ে আপনার সিকিউরিটি কোড ভাঙ্গতে পারবেন । 
সফল হলেই আমার এই ব্লগিং সার্থ‍ক বলে মনে করবো। 

ধন্যবাদ সবাইকে। 

ইংরেজি হরফে বাংলা লিখুন।

 এবার লিখুন বাংলায় কিন্তু ইংরেজী হরফে বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই !!! 

গুগল এর অনেক গুলো tools আছে এখন আপনাকে গুগল এর এমন একটা tools এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যা কিনা আপনাকে বাংলায় লিখতে হেল্প করবে তাও আবর ইংরেজী হরফে।  টুলসটির  নাম google input tools. 
At First এই লিংক টা তে যান ক্লিক করুন এখানে।   


এবার অপসন থেকে Bengali সিলেক্ট করুন 



এবার লিখা শুরু করুন.......বাংলায় কিন্তু ইংরেজী হরফে



 চেষ্ঠা করে দেখুন খুব সহজে বাংলায় লেখতে পারবেন। 

ধন্যবাদ। 



সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

চিরদিনের জন্য বিদায় বলুন Shortcut Virus কে ।

 ::: বিদায়  Shortcut Virus ::: 


Removeble ড্রাইভে মূলত শর্টকাট ভাইরাসের আক্রমণ বেশিরভাগই এবং এটি লক্ষণীয় যে ফাইল সি ড্রাইভে বিদ্যমান। শর্টকাট ভাইরাস অপসারণ করার জন্য আপনি বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে পারেন।
তবে কখনও কখনও তারা ​​সফ্টওয়্যার সম্পূর্ণ শর্টকাট ভাইরাস অপসারণ করার জন্য কাজ করে না। 
নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন:
প্রথমে আমরা শর্টকাট থেকে ফাইল পুনরুদ্ধার করা হবে এবং তারপর আমরা সব সময় প্রবেশ করুন।
পিসি থেকে শর্টকাট ভাইরাস মুছে ফেলা হবে. সাবধানে ধাপগুলি অনুসরণ করুন.
First Step   :    
টাস্ক ম্যানেজার ওপেন করুন এবং Proccess Tab এ যান এবং wscrip t.exe    End করুন।


Second Step :
এখন কমান্ড প্রম্পট ওপেন করুন এবং আপনার ড্রাইভের Letter টাইপ করুন. আমার ড্রাইভ L, তাই টাইপ করলাম L: এবং Enter চাপুন।
Third Step :
এখন টাইপ করুন del *.lnk        এ   তে শর্টকাট ফাইল মুছে যাবে।
Fourth Step :
এখন টাইপ করুন attrib -h -r -s /s /d L:\*.*           এখানে L আমার ড্রাইভ Letter । আপনি আপনার টা টাইপ করবেন। এর ফলে শর্টকাট ফাইল থেকে আসল ফাইল রিকভার হবে।
Final Step :
'UsbFix.exe Install করুন এবং ''Clean'' এ ক্লিক করুন । এর ফলে সারা জীবনের জন্য আপনার পিসি থেকে Shortcut Virus Remove হয়ে যাবে ।
Download Arif Blog UsbFix                          From Here. 


ধন্যবাদ । 

কম্পিউটারকে ভাইরাসের আক্রমণ হতে রক্ষা করার উপায়।

কম্পিউটারকে ভাইরাসের আক্রমণ হতে রক্ষা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু  ট্রিকস…। 

বর্ত‍মান সময়ে কম্পিউটার অপরিহার্য‍ যন্ত্রে পরিনত হয়ে উঠেছে। আজকাল এই যন্ত্র দ্বারা এক কথায় বলা যায় অসম্ভবকে মানুষ সম্ভব করার দ্বারপ্রান্তে (অবশ্য তা কখনো সম্ভব না)। এই প্রয়োজনীয় যন্ত্রটিকে সুস্থ রাখা তাই একান্ত কর্ত‍ব্য। বিভিন্ন ধরনের আক্রমণে কম্পিউটার নষ্ঠ হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো কম্পিউটার এর ভাইরাস আক্রমণ। মানব শরীরে ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকানোর জন্য  যেমন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়; তেমনি কম্পিউটার এর ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন সর্ত‍কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া যায়, যেমন :-   

পেনড্রাইভঃ পেন ড্রাইভ লাগালে যেন  Autoplay প্রম্পটের কোন অপশন যেনো নির্বাচন করা না হয় করণ বেশির ভাগ ক্ষত্রেই ভাইরাজ প্রগ্রাম সক্রিয় হবার জন্য “Windows Explorer” ব্যবহার করে। সেই সুযোগেই এই সকল ক্ষতিকর প্রোগ্রাম আমাদের কম্পউটারের ক্ষতি করার সুযোগ পায়। আমরা নতুন পেন ড্রাইভ কম্পিউটারে লাগিয়ে পেন ড্রাইভ খোলার জন্য “Windows Explorer” ব্যবহার না করে অন্য কোন “Explorer” ব্যবহার করি তবে এই সকল ক্ষতিকর প্রোগ্রাম আমাদের কম্পউটারের ক্ষতি করার সুযোগ পাবে না। 

সবসময় সিস্টেম ফাইল Show করুনঃ ভাইরাসের এক্সিকিউটেবল (*.exe) ফাইলগুলোর Attibute হয় সাধারণত Hidden এবং System File যা সাধারণত Show করা থাকে না। তাই আপনি বুঝতেও পারেননা আপনার পেনড্রাইভে ভাইরাস আছে কিনা। এধরনের ফাইল চিহ্নিত করতে Tools মেনু থেকে Folder Options এ গিয়ে View ট্যাব থেকে Show Hidden Files and Folders রেডিও বাটন সিলেক্ট করুন।এবার ঠিক তার নিচের Hide Extensions for known File Types এবং Hide Protected Operating System Files লেখা দুটি চেকবক্স আনচেক করে Apply দিয়ে Ok করে বেরিয়ে আসুন। এবারে পেনড্রাইভে সন্দেহজনক কোন Hidden এক্সিকিউটেবল (*.exe) ফাইল দেখলে ডিলিট করে দিন।

Drive Letter টাইপ করে পেনড্রাইভ খুলুনঃ  ভাইরাস আক্রান্ত বা সন্দেহজনক পেনড্রাইভ কখনোই ডাবলক্লিক করে অথবা রাইট বাটনে ক্লিক দিয়ে (Open বা Explore করে) খুলবেন না। Address Bar থেকে Drive Letter (যেমনঃ D:\ বা I:\) টাইপ করে খুলবেন। এতে ভাইরাস থাকলেও তা আপনার পিসিকে আক্রান্ত করার সুযোগ পাবে না। একইভাবে হার্ডডিস্কের অন্যান্য পার্টিশনে ভাইরাস থাকলে তা ডিলিট করুন এবং পিসি রিস্টার্ট দিন।

স্টার্টআপ পরিষ্কার রাখুনঃ আপনার পিসি Boot করার পর যেসব প্রোগ্রাম লোড করে তা থাকে স্টার্টআপে। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো ছাড়া অন্যান্য প্রোগ্রামগুলোর চেকবক্স আনচেক করে দিন। এটি আপনি পাবেন উইন্ডোজের Run থেকে msconfig লিখে এন্টার দিলে যে ডায়ালগ বক্স আসবে তার Startup ট্যাব থেকে। এবারে পিসি রিস্টার্ট দিন।

অপ্রয়োজনীয় Process দূর করুনঃ অনেকসময় ভাইরাস ফাইল চিহ্নিত করার পরেও তা ডিলিট করতে গেলে এরর দেয় বা “Access is Denied” দেখায়। এরকম হলে বুঝতে হবে ভাইরাস Process টি বর্তমানে Running অবস্থায় আছে যা আগে বন্ধ করতে হবে। আপনি Ctrl+Alt+Delete চেপে Task Manager থেকে প্রসেসটি বন্ধ করতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হয় তখনই যখন প্রসেসটি থাকে Hidden যা Task Manager এ Show করে না। 

পরিশেষে বলা যায় , সাবধানতা ও সর্ত‍কতা অবলম্বন করে চললে যেমন যে-কোন ধরণের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায় ঠিক তেমনি কম্পিউটার এর ভাইরাস আক্রমণ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য সর্ত‍কতাই এর একমাত্র সমাধান। 

ধন্যবাদ সবাইকে।   




কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত ০৫ ।

ক্ষতিকারক বিভিন্ন কারণসমূহ থেকে  কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখার ঊপায়। 

স্বাভাবিক রক্ষণাবেক্ষণ:

ধুলিকণা পরিষ্কারকরণ:

প্রতিদিনই আমাদের কম্পিউটারের টেবিলর উপর নানা প্রকার ধুলিকণা জমা হয়তাই প্রতিদিন কাজের শুরুতে হালকা একটা কাপড় দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করতে হবেকম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের ভিতরও অনেক ধুলিকণা জমে থাকেমাসে অত্যন্ত একবার তা পরিষ্কার করতে হবেতবে খেয়াল রাখতে হবে যেন চিপ বা মাদারবোর্ডের গায়ে হাত না লাগেপরিষ্কার করার জন্য অবশ্যই চৌম্বকীয় পদার্থ বিহীন ব্রাশ বা ক্লিনার ব্যবহার করতে হবে

সংযোগপুনঃ স্থাপন:

প্রতিমাসে অত্যন্ত একবার কম্পিউটারের বিভিন্ন সংযোগগুলা পরীক্ষা করে দেখতে হবে সবকিছু ঠিক আছে কিনা

বায়ুনিয়ন্ত্রণ:

কম্পিউটার কক্ষে অবশ্যই বায়ু নিয়ন্ত্রণ এর মধ্যে রাখতে হবেঅনাকাংঙ্খিত তাপমাত্রা,আদ্রতা যেন কম্পিউটারের ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে

বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রন:

বৈদ্যুতিক ভোল্টজ এর আপ-ডাউন এর জন্য কম্পিউটার এর মারাত্নক ক্ষতি হতে পারেএজন্য অবশ্যই ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করতে হবে

ড্রাইভের হেড পরিষ্কার করা:

এই জিনিসটাকেই মনে হয় আমরা সবচেয়ে অবহেলার মধ্যে রাখিকিন্তু এমনটা করা যাবে নাকিছুদিন পরপর এই জিনিসটিও পরিষ্কার করতে হবেতা না হলে ড্রাইভে নানা রকমের ত্রুটি দেখা যায় এবং ডিস্ক থেকে তথ্য পড়ার ক্ষেত্রে ত্রুটির সম্ভাবনা বাড়ায়

ডিস্কের ত্রুটি নির্ণয় করণ:

ব্যবহারজনিত বা যান্ত্রিক কারণে  অনেক সময় ডিস্কে বিভিন্ন বিভিন্ন রকমের ত্রুটি দেখা দেয় যেমন: disk error, read error, file allocation error, cluster chain, bad sector ইত্যাদি এরূপ ত্রুটির বেশির ভাগই বিভিন্ন ইউটিলিটি সফ্টওয়্যার দ্বারা চিহ্নিত করা পুনরুদ্ধার করা সম্ভবএ জাতীয় সফ্টওয়্যারকে ডায়াগনষ্টিক সফ্টওয়্যার বলেএসকল সমস্যা নিরসণের জন্য বিভিন্ন রকম ইউটিলিটি সফ্টওয়্যার রয়েছেযেমন:নরটন ডিস্কমেকএ্যাপি,পিসি টুলস ইত্যাদি

কভার ব্যবহার:

এটার ক্ষেত্রে কোন ছাড় নাইঅবশ্যই নিরাপত্তার চাদরে(কভারেআপনার কম্পিউটারটিকে ডেকে রাখতে হবে

স্প্রে জাতীয় কিছু ব্যবহার না করা:

 কম্পিউটার কক্ষে এরোসল বা হেয়ার স্প্রে জাতীয় কিছু ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবেকেননা এসব স্প্রে-তে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ কম্পিউটারের সার্কিটের ক্ষতি করতে পারে

চুম্বক ক্ষেত্র থেকে দূরে রাখা:

চুম্বক ক্ষেত্র থেকে আপনার কম্পিউটারকে দূরে রাখতে হবেতা না হলে মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে

ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বা ইএমআর(EMR):

ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের ফলে অবাঞ্ছিত দূষণ বা বিকরিত রশ্নি কম্পিউটারের এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রের ক্ষতিসাধন করে ইএমআর দুই ধরনের
  • নিম্ন কম্পাঙ্কের ইএমআর
  • উচ্চ কম্পাঙ্কের ইএমআর
এর থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনার টেলিভিশন থেকে কম পক্ষে ৭ ফিট দূরে কম্পিউটার থাকতে হবে

প্রতিরক্ষামূলক রক্ষণাবেক্ষণ:

প্রোগ্রামও তথ্য নিরাপদ সংরক্ষণ:

ব্যাকআপ হচ্ছে তথ্য বা প্রোগ্রামকে একটি বিশেষ ব্যবস্থায় সিডি বা অন্য ড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখাএ কাজটি করা অত্যন্ত ভাল

ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম থেকে রক্ষাকরণ:

ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম বলতে ভাইরাস এর উপর বেশি জোড় দেওয়া হচ্ছেএটির ব্যাপারে খুব সচেতন থাকতে হবে

বিদ্যুৎতের সঠিক প্রবাহ নিশ্চিতকরণ:

পূর্বে অনেকবারই বলা হয়েছে যে,বিদ্যুৎতের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে কম্পিউটার এর মারাত্বক ক্ষতি হতে পারেআজকাল সঠিক মাত্রায় বিদ্যুৎ প্রবাহ নিশ্চিতকরণেরজন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় যেমন: ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারইউপিএসআইসোলেটররেগুলেটরফিল্টার,সার্জপ্রটেক্টর,আইপিএস ইত্যাদি। 


ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।






কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত ০৪ ।

কম্পিউটারের ক্ষতির মূল কারণ হলো অসর্তকতা। 

অসর্ত‍কতার কারণে  মানুষ বা পশুপাখির শরীরে যেমন বিভিন্ন ভাবে রোগবালাই এর জন্ম নিতে পারেতেমনি আপনার সাধের কম্পিউটারটিতেও নানা কারণে সংক্রামক দেখা দিতে পারেআর তখন আমাদের মাথায় হাতকিন্তু আগে থেকে ধারণা থাকলে আমাদের অনেক সুবিধা হয়। 
যে সব সাধারণ কারণে কম্পিঊটারে সমস্যা দেখা দেয় তা হলো :- 

পারিপাশ্বিক কারণ:

তাপমাত্রা:

যে কয়েকটি কারণে কম্পিউটারের ক্ষতি হয় তার মধ্যে অন্যতম হল তাপমাত্রাযখন কম্পিউটার চলে তখন এর ভিতরের যন্ত্রপাতিগুলা উত্তপ্ত হতে থাকেএজন্য আপনার কম্পিউটারের আশেপাশে একটু খোলা জায়গা রাখতে হবে,যেটি দিয়ে বাতাস বেরিয়ে যেতে পারেএকটানা অনেকখন কম্পিউটার চালানো উচিত হয়

আদ্রতা:

বায়ুর আদ্রতা যদি বেশি হয় তাহলে বায়ুর জলীয় বাষ্প কম্পিউটারের বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ,চুম্বকীয় ডিস্ক ইত্যাদির উপর জমা হয়যা ধাতব যন্ত্রাংশে মরিচা ধরায়অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি পরিবেশকে স্যাঁতসেঁতে করে দেয় যা বিভিন্ন যন্ত্রাংশে বা ছত্রাক জন্ম দিয়ে এদের কার্যকারীতা এবং আয়ুষ্কাল কমিয়ে দেয়

ধুলিকণা:

মূলত এই জিনিসটিই আমাদের কম্পিউটারের বড় শত্রুএর কারণে কম্পিউটারে নানা রকমের সমস্যা হয়ধুলাবালির কারণে কী-বোর্ডের কী গুলো জ্যাম হয়ে থাকে আবার মাউস ঠিকমত কাজ করে নাধুলাবালি আপনার স্বাস্থের জন্য ও ক্ষতিকর। 


কার্বন কণা:

আমরা অনেকেই যে জিনিসটির বেশি সচেতন থাকি না,তা হল এই কার্বন কণাআপনার কম্পিউটারের আশেপাশে কোথাও রান্নাবান্নার ব্যবস্থা থাকলে,কলকারখানার বা অন্য কোন উৎস থেকে ধোঁয়ার ব্যবস্থা থাকলে তা থেকে আগত কার্বন কণা আপনার কম্পিউটারের ক্ষতি করতে পারেঅনেক সময় শর্ট সার্কিট ও হতে পারে

ক্ষয় :


এটি অনেক সূক্ষ একটি বিষয়কম্পিউটারের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের সংযোগ পিন,ক্যাবল,ইন্টারফেস কার্ড,চিপ ইত্যাদি ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ প্রতিনিয়ত রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সরু হয়ে যায়এ ধরনের রাসায়নিক পরিবর্তনকে ক্ষয় বলে


বিদ্যুৎ সরবরাহ জনিত সমস্যা:
কম্পিউটার নষ্ট বা ক্ষতি হওয়ার জন্য বিদ্যুৎজনিত সমস্যা অন্যতমবিদ্যুৎ প্রবাহজনিত সমস্যাকে আমরা ৫ ভাগে ভাগ করতে পারি

  • ব্রাউন আউট: কোন কারণে যদি এমন হয় যে পরিমিত মাত্রার চেয়ে বিদ্যুৎ সরবারহের ভোল্টেজ কমে যায় তাহলে তাকে ব্রাউন আউট বলেঅতিরিক্ত বিদ্যুৎ চাহিদা মিটানোর অক্ষমতার জন্যই এমনটা ঘটে থাকে
  • ব্লাক আউটঅনেক সময় দেখা যায় যে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়,একে ব্লাক আউট বলেসাধারণত ঝড়,বজ্রপাত,সুইচিং সমস্যা ইত্যাদির কারণে এমনটা হয়এতে র‌্যামের তথ্য মুছে যায়কোন কারণে যদি এর ফলে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে চালু করার সময় সবকিছু(যন্ত্রপাতিভালমত দেখে নিতে হবেঝড়,বজ্রপাত অব্যাহত থাকলে কম্পিউটার না চালানোই ভাল
  • ট্রানসিয়েন্ট: বিদ্যুৎতের লাইনে সৃষ্ট ভোল্টেজ বা কারেন্টের অপেক্ষাকৃত বড় ধরনের স্পাইককে বলা হয় ট্রানসিয়েন্টতবে কথা হল যে,অনেক ট্রানসিয়েন্ট পাওয়ার সাপ্লাই দ্বারা বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে নিঃশেষ হয়ে যায়কিন্তু সমস্যা হল অনেক ট্রানসিয়েন্ট এই বাঁধা অতিক্রম করে কম্পিউটারের বর্তনী পর্যন্ত পৌঁছে যায়যার ফলে ডেটা মুছে যেতে পারে বা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারেকখনও কখনও বর্তনী সর্ম্পূণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে
  • নয়েজ: বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইনে বিভিন্ন ধরনের নয়েজ হতে পারে। যেমন:বিদ্যুৎ প্রবাহের আপ-ডাউন,বিশষ করে ভোল্টেজ বেড়ে গেলে নয়েজ হয়ে থাকেএ অবস্থায় কম্পিউটারের মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে
  • স্পইক ও সার্জ: হঠাৎ করে অত্যন্ত ক্ষুদ্র সময়ের জন্য বৈদ্যুতিক শক্তি বেড়ে যাওয়াকে স্পাইক বলেস্পাইক নিবারনের ব্যবস্থা না থাকলে সার্কিটের ক্ষতি হয়আর বিদ্যুৎ বিভবের ক্ষণস্থায়ী বেড়ে যাওয়াকে বলে সার্জ।   

           
  

ব্যবহারকারীর অসাবধানতার জন্য যেসব ক্ষতি হয়:

আপনার গায়ের পোশাকটি কতটা সুন্দর থাকবে তা কিন্তু আপনার উপরই নির্ভর করেপোশাকটি পড়ে বের হওয়ার পর আপনি যদি আপনার পোশাকটির প্রতি যত্নবান না হন,তবে কিন্তু তা নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকেঠিক তেমনি একটি কম্পিউটারের স্থায়িত্ব নির্ভর করে তার ব্যবহারকারীর উপর

সাধারণ ব্যবহাকারীর যে সমস্ত ভুলগুলোর কারণে কম্পিউটারের ক্ষতি হয়ে থাকে:

  • অনেক সময় দেখা যায় কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটে ঝাকুনী খায়। এতে হার্ডডিস্কের মারাত্বক ক্ষতি হয়
  • অনেক সময় ডিস্ক ডুকাতে গেলে আমরা জোর করে তা ডুকাতে চেষ্টা করি। এতে শুধু ডিস্কেরই ক্ষতি হয় না। ড্রাইভের হেড এর ও ক্ষতি হয়
  • সি.পি.,মনিটর,প্রিন্টার ইত্যাদির প্লাগগুলো সঠিকভাবে না লাগানোর ফলে মারাত্বক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে
  • আমরা অনেক সময় ডিস্ক,প্রেনড্রাইভ,ওয়েভ ক্যাম ইত্যাদি যত্রতত্র ফেলে রাখি,এতে কম্পিউটারের ক্ষতি হতে পারে
  • কম্পিউটারের আশেপাশে খাওয়া-দাওয়া,ধুমপান করা,চা-কফি পান করা ত্যাগ করতে হবে। অসাবধানতাবশত যদি কম্পিউারের কোন যন্ত্রের উপর এসব পদার্থ পড়ে তাহলে তা মারাত্বক ক্ষতির কারণ
  • খুব জোড়ে আমরা অনেকে কী-বোর্ডে আঘাত করি। এটা করা যাবে না
  •  অনেক সময় কম্পিউটারের সুইচ বন্ধ করে আবার তা সাথে সাথে চালিয়ে দেওয়া যাবে না। এতে বিদ্যুৎ প্রবাহের আপ-ডাউন এর ফলে মনিটরের পিকচার টিউব নষ্ট হয়ে যেতে পারে অথবা মূল্যবান কোন আইসি কেটে যেতে পারে

এছাড়াও ভাইরাস বা অন্যান্য নানাবিধ কারণে কম্পিউটারের ক্ষতি হতে পারে। 



আজ এ পর্য‍ন্ত। ধন্যবাদ।  


কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত ০৩।


:: কম্পিউটারের মূল অংশের সাথে বিভিন্ন অংশের সংযোগ স্থাপন :: 

কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিট হচ্ছে এমন একটি ধারক যার মধ্যে কম্পিউটারের প্রসেসিং কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সার্টিক, প্রসেসরমেমরি,মাদারবোর্ড, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, এজিপি কার্ড, সাউন্ড কার্ড ইত্যাদি সংযুক্ত থাকেআর তাই কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের সাথে বিভিন্ন অংশের সঠিকভাবে সংযোগ স্থাপন দেওয়া একান্ত প্রয়োজন

মনিটরের সংযোগঃ

মনিটরের ডেটা স্থানান্তরের জন্য মনিটরের সাথে লাগানো তার বা মনিটর ডেটা ক্যাবলটি সিস্টেম ইউনিটের মনিটর পোর্টে লাগাতে হয়। মনিটরের ডেটা ক্যাবলকে ভিজিএ কানেকটরও বলা হয়। যদি মনিটরের নিজস্ব স্পীকার বা মাইক্রোফোন না থাকে তাহলে মনিটরের সাধারণত দুটি কর্ড থাকে। তার একটি মনিটর ইন্টারফেস ক্যাবল নামে পরিচিত,যা কম্পিউটারের পেছনে ভিডিও পোর্টে লাগানো হয়। এক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ কানেক্টরটি মাত্র এককভাবেই পেছনে ভিডিও পোর্টে লাগানো যাবে। আর অন্য যে কর্ডটি সেটি হল পাওয়ার কর্ড। এটি দেয়ালের সকেটে অথবা সার্জ প্রটেক্টরে লাগানো হয়সাধারণত দুধরনের মনিটর পোর্ট দেখা যায়। যেমন:আইবিএম ও আইবিএম কম্পাটিবল কম্পিউটারের জন্য এক ধরনের এবং ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের জন্য অন্য এক ধরনের। মূলত সিস্টেম ইউনিটের ভেতরে স্থাপিত মাদারবোর্ডের ভিজিএ কার্ডের পোর্টের সাথে মনিটরের কানেক্ট্রটি সংযুক্ত করতে হয়। ভিজিএ কার্ডের পোর্টটি মাদারবোর্ডের ক্যাসিং এর বাইরে প্রদর্শিত থাকেভিজিএ(ভিডিও গ্রাফিক্স এ্যাডাপ্টারমনিটরের সংযোগক্ষেত্রে ১৫ পিনের ফিমেল সিরিয়াল পোর্টের সাথে মনিটরের মেইন কানেক্টরটি লাগানো হয়। এক্ষেত্রে মনিটরের মেইন কানেক্টরটি সঠিকভাবে চাপ দিয়ে লাগিয়ে দুপাশের দুটি স্ক্রু এর মাথা ঘুরিয়ে টাইট করে সংযোগ দিতে হবে যাতে সংযোগটি ঠিলা না হয়।  




প্রিন্টারের সংযোগঃ

যখন সিস্টেমের আলাদা কোন পেরিফেরাল,যেমন-প্রিন্টার কেনা হয় তখন এর সাথে প্রদত্ত নির্দেশিকা থাকেযার সাহায্যে খুব সহজেই প্রিন্টার সেটআপ দেয়া যায়কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিট থেকে প্রিন্টারে ডেটা পাঠানোর জন্য সাধারণত ডেটা ক্যাবল এবং প্রিন্টার কার্যকর করতে পাওয়ার ক্যাবলের সাহায্যে বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা করা হয়অনেক প্রিন্টারে প্যারালাল পোর্ট ব্যবহার করা হয়যেটি দিয়ে একই সময়ে পাশাপাশি ডেটা স্থানান্তর করা হয়মনিটরের ক্যাবল ও পোর্টে যেমন পিন আছে এখানেও তেমনি এবং একইভাবে লাগানো যায়তবে আধুনিক প্রায় সকল কম্পিউটারের প্রিন্টারে ইউএসবি ইন্টারফেস দেখা যায়আবার অনেক আধুনিক প্রিন্টারে ডেটা ক্যাবলের পাশাপাশি/পরিবর্তে ওয়্যারলেস প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়নেটওয়ার্ক প্রিন্টারে পৃথক কোন ডেটা ক্যাবলের প্রয়োজন হয় নানেটওয়ার্ক মিডিয়ার মাধ্যমেই ডেটা চলাচল করতে পারে। 


কী-বোর্ড ও মাউস সংযোজনঃ

আমরা যে কী-বোর্ড ও মাউস ব্যবহার করি সেগুলো বেশিরভাগই পিএস/২ সিস্টেমের,তবে অনেক কী-বোর্ড ও মাউস ইউএসবি অথবা ওয়্যারলেস ইন্টারফেস বিশিষ্টযার ফলে দেখা যায় যে আপনি কোন পোর্টে মাউস বা কী-বোর্ড লাগাবেন তা নির্ভর করে আপনার যন্ত্রটি কোন সিস্টেমেরযাদের কী-বোর্ড ও মাউস পিএস/২ সিস্টেমেরতাদের অবশ্যই সংযোগ দেওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবেলাগানোর সময় জোরে লাগানো যাবে না,এতে পিন নষ্ট বা ভেঙ্গে যেতে পারে

স্পীকার ও মাইক্রোফোনের সংযোগঃ

আপনার সিস্টেম ইউনিটের পিছনে মাদারবোর্ডের সাথে সাউন্ড কার্ড লাগানো আছেসাউন্ড কার্ডের সবুজ রঙ্গের পোর্টের সাথে স্পিকারের জ্যাক লাগাতে হয়কোন কোন স্পিকারে ব্যাটারি লাগে আবার কোন কোন স্পিকারে নিজস্ব পাওয়ার কার্ড থাকেযে কম্পিউটারে স্পীকারটি লাগাতে হবে তা কোন ধরণের যাচাই করে দেখতে হবে
মাইক্রোফোন লাগানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় জোড়াতালির প্রয়োজন হতেপারে। যেমন:একাধিক ফোন একসাথে লাগানোর প্রয়োজন পড়তে পারেএসব ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল সাহায্য করতে পারেমাইক্রোফোন বসানোর সময় লক্ষ রাখতে হবে যেন কারো কথা পিকআপ করতে কোন সমস্যা না হয়। 


অন্যান্য পোর্টগুলো ও নিয়ম মেনে লাগাতে হবেএখানে একটি কথা বলে রাখা ভাল যে,আপনি যখন মাদারবোর্ড কিনবেন তখন তার সাথে একটি ছবিযুক্ত স্টিকার দেয়া হয়,যেখানে মাদারবোর্ড এর কোন পাশে কোন পোর্ট,কোনটি কোথায় সংযোগ দিতে হবে এ ব্যাপারে সচিত্র দেখানো হয়ে থাকে আপনি ওখান থেকে সাহায্য নিতে পারেনআর কোন যন্ত্র কিনার সময় ত ওখানে আলাদা একটা ম্যানুয়াল পাবেনইওখান থেকে দেখে দেখে কাজ করতে পারেন। 


আজ এ পর্য‍ন্ত। ধন্যবাদ । 






কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত ০২।

:: কম্পিউটারের সাথে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সংযোগ :: 

বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সমন্বেয়ে গঠিত আমাদের কম্পিউটারআর তাই কম্পিউটারের যন্ত্রপাতিগুলা ঠিকমত সংযোগ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন
 কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিট হচ্ছে এমন একটি ধারক যার মধ্যে কম্পিউটারের প্রসেসিং কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সার্টিক, প্রসেসরমেমরি,মাদারবোর্ড, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, এজিপি কার্ড, সাউন্ড কার্ড ইত্যাদি সংযুক্ত থাকেসিস্টেম ইউনিটের পেছনের দিকে সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ইনপুট-আউটপুট যন্ত্রপাতিযেমন:কী-বোর্ডমাউসমনিটরপ্রিন্টারস্ক্যানারমডেমস্পিকার ইত্যাদি সংযুক্ত করা হয়এসব যন্ত্র সংযোগ দেওয়ার জন্য মাদারবোর্ডের পিছনে পোর্ট থাকে আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এক্সপানশন স্লট কার্ড ব্যবহার করেও সংযোগ দেওয়া যেতে পারেবর্তমানে মনিটর ব্যতিত অন্য প্রায় সকল যন্ত্রের জন্য ইউ.এস.বি পোর্ট ব্যবহার করা হয়ইউ.এস.বি পোর্ট সিস্টেমের সামনেও সংযুক্ত থাকতে পারে
 কম্পিউটার সিস্টেম গড়ে তোলার জন্য তারের মাধ্যমে বা তারবিহীনভাবে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে যন্ত্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি করা হয়
প্রতিটি যন্ত্রের সাথে প্রধানত দুটি ক্যাবল সংযুক্ত থাকে:
  • .ডেটা চলাচল তার বা ডেটা ক্যাবলের সংযোগ
  • .বিদ্যুৎ সরবারহ তারের বা পাওয়ার ক্যাবলের সংযোগ

ডেটা ক্যাবলের সংযোগ:

    প্রতিটি যন্ত্রের সাথে ডেটা ক্যাবল থাকেএই ক্যাবল দ্বারা বিভিন্ন পোর্টের মাধ্যমে মনিটর,প্রিন্টার,স্ক্যানার,কী-বোর্ড,মাউস ইত্যাদি যন্ত্রপাতি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হয়কী-বোর্ড ও মাউসের ক্ষেত্রে শুধু ডেটা ক্যাবল থাকে,আলাদা পাওয়ার ক্যাবলের প্রয়োজন পড়ে না

বিদ্যুৎ সরবারহের (পাওয়ার সাপ্লাইক্যাবলের সংযোগঃ

    কম্পিউটারে কাজ করার জন্য সিস্টেমকে বৈদ্যুতিক লাইনের সাথে তার বা ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে হয়বৈদ্যুতিক লাইনের সাথে এই সংযোগ দুইভাবে হতে পারেসরাসরি লাইনের সাথে সংযোগ অথবা ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার কিংবা ইউ.পি.এস এর মাধ্যমে সংযোগকম্পিউটারের সি.পি.ইউ বা অন্যান্য যন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার তারকে পাওয়ার কার্ড বলা হয়ে থাকেএই পাওয়ার কার্ডের মাধ্যমেই বিভিন্ন যন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়কম্পিউটার যে পাওয়ার কার্ডটি দ্বারা পাওয়ার পায় সেটি তিন-পিনের কানেক্টরযুক্ত পাওয়ার কার্ডপাওয়ার ক্যাবলের একটি প্রান্ত কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে অন্য প্রান্তটি বিদ্যুৎ লাইনের সাথে যুক্ত থাকেএই কার্ডটি লাগানোর আগে পাওয়ার সাপ্লাইয়ে ভোল্টেজ সুইচের অবস্থান দেখে নিতে হবেএটা কি ১১০v–এ আছে না ২২০আছে। এখানে মনে রাখতে হবে দ্বিতীয়টি আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য (২২০v)মনিটর,স্ক্যানার,প্রিন্টার ইত্যাদি যন্ত্রপাতিকেও আলাদাভাবে বিদ্যুৎ সরবারহ করতে হয়। 

 বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে সতর্কতাঃ

  কম্পিউটার সংযোগের ক্ষেত্রে সকল অংশের ক্যাবল সংযোগ শেষ করার পরই বৈদ্যুতিক সাপ্লাই লাইনের সাথে কম্পিউটারের সংযোগ দিতে হবেঅনুরূপ কম্পিউটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক সাপ্লাই লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবেতারপর অন্যান্য সংযোগ বিছিন্ন করা যেতে পারে

পোর্ট(Port)

   কম্পিউটারের পোর্ট হল এক ধরনের পয়েন্ট বা সংযোগ মুখ কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের সাথে কী-বোর্ড,মাউস,স্পিকার,স্ক্যানার ইত্যাদি যন্ত্রের সংযোগ পয়েন্ট থাকেএ সংযোগ পয়েন্টকে বলা হয় পোর্টএ সমস্ত সংযোগ সাধারণত প্লাগযুক্ত ক্যাবলের সাহায্যে সিপিইউ বক্সের পেছনে দেওয়া হয়যে প্লাগে পিন লাগানো থাকে তাকে বলে মেল প্লাগ  (Male  Plug)   এবং যে প্লাগে ছিদ্র থাকে তাকে বলে ফিমেল প্লাগ (Female Plug)
কম্পিউটারের পোর্টের মধ্য দিয়ে ডেটা চলাচল এবং সংযোগের প্রকৃতি অনুসারে পোর্টকে বিভিন্নভাবে চিহ্নিত করা হয়যেমন:
  • প্যারালাল পোর্ট
  • সিরিয়াল পোর্ট
  • ইউএসবি পোর্ট
  • মনিটর পোর্ট
  • কী-বোর্ড পোর্ট
  • মাউস পোর্ট
  • নেটওয়ার্কিং পোর্ট
  • অডিও পোর্ট
  • ভিডিও পোর্ট
  • গেম পোর্ট
আজ এ পর্য‍ন্ত। ধন্যবাদ।  




কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত ০১।

:: সাধারণ আলোচনা ::  

কম্পিউটার আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম।আর তাই এর যত্ন নেওয়াও আমদের জন্য খুবই প্রয়োজন।  

কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ আসলে কী?

দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের এই বিশ্ব।আর এই এগিয়ে যাওয়ার পথে যে জিনিসটি আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে তা হল কম্পিউটার।বৃক্ষের যেমন নিয়মিত পরিচর্যা না করলে ভাল ফল আশা করা যায় না।বান্ধবীকে যেমন গিফট না দিলে প্রেম হয় না।তেমনি কম্পিউটারকে যদি পরিচর্যা না করেন,এটির প্রতি যদি যত্নবান না হন,তবে এর থেকেও ভাল ফলাফল আপনি আশা করতে পারবেন না।কম্পিউটারের মাধ্যমে অধিক পরিমাণ সার্ভিস বা সেবা পাওয়ার জন্য অবশ্যই এটির যত্ন নিতে হবে। 

“মূলত কমিপউটারের বিভিন্ন অংশের সংযোগ দেওয়া,কম্পিউটারের সঠিক যত্ন নেওয়া,নির্দিষ্ট সময় পরপর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা,কোন যন্ত্র ঠিক মত কাজ না করলে তার মেরামত,পরিবর্তন ইত্যাদিকে সামগ্রিক ভাবে কম্পিউটারের রক্ষণাবেক্ষণ বলা হয়।”

কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা:
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।এখন এই মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের যদি কোন মানুষ যত্ন না নেয়,তাহলে কি তার থেকে ভাল ফল পাওয়া যাবে।যেই অংশের যত্নে আপনি ঘাটতি দেখাবেন সেই অংশটিই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।আর চিন্তা করুণ কম্পিউটার হচ্ছে সকল ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশের সেরা।সুতরাং এর থেকে ভাল ফল পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই এর পরিচর্যা করতে হবে।বাইরের বিভিন্ন নিয়ামক যেমন:আদ্রতা,তাপমাত্রা,বিদ্যুত ক্ষেত্র, চুম্বক ক্ষেত্র, ধুলিকণা, ধোঁয়া, পানি ইত্যাদির প্রভাব থেকে কম্পিউটারকে রক্ষা করতে হবে।
কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষনে আমরা যে সমস্ত অবহেলা করি:
  • ১.কমিপউটারটা এমন এক স্থানে রাখি যেখানে সরাসরি ধুলাবালি প্রবেশ করে।
  • ২.বিদ্যুতিক সংযোগ ঠিক মত দেই না।
  • ৩.ইউ.পি.এস থাকলে এর সঠিক ব্যবহার করি না।
  • ৪.ব্যবহারের পর কম্পিউটার ডেকে রাখি না।
  • ৫.অনেকে আবার একেবারে বদ্ধ স্থানে কম্পিউটার রাখি,যার ফলে সি.পি.উর হাওয়া বের হওয়ার সুযোগ কম থাকে।
  • ৬.কি-বোর্ড ও মাউসের যত্ন নিই না।
  • ৭.ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন থাকি না।
  • ৮.কম্পিউটারের ভিতরের ফাইল/ফোল্ডার গুলো এলোমেলো ভাবে রাখি। 
প্রতিরোধমূল মূলক রক্ষণাবেক্ষণ:

প্রতিদিন যা করা দরকার:

  • ১.প্রতিদিন ধুলোবালি মুছতে হবে।
  • ২.ব্যবহারের সময় বিদ্যুতিক সংযোগ এর ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
  • ৩.কম্পিউটার টেবিলের আশেপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • ৪.ব্যবহারের পর কম্পিউটার ডেকে রাখতে হবে।
  • ৫.অতিরিক্ত সময় কম্পিউটার চালালো যাবে না।
  • ৬.অনেক সময় আমরা করি কি,কম্পিউটার বন্ধ করে আবার হুট করেই ১০/২০ মিনিট পর এসে কম্পিউটার চালাই।এতে কম্পিউটারের ক্ষতি হয়।একান্ত প্রয়োজন না হলে এমনটা করা যাবে না।
  • ৭.আদ্রতা সম্পর্কে সচেতন থাকা।

প্রতি সপ্তাহে যা একবার করা দরকার:

  • ১.কম্পিউটারের আশেপাশ ভালমত পরিষ্কার রাখা।
  • ২.এন্টিস্ট্যাটিক এবং ধূলা শোষক কাপড় দিয়ে কম্পিউটারের ডেস্ক,শেলফ মুছা।
  • ৩.কম্পিউটার টেবিলের উপর থাকা কাজগপত্র,পত্রিকা ইত্যাদি গুছিয়ে রাখা।
  • ৪.ডিস্ক ড্রাইভের রিড হেড পরিষ্কার করা।
  • ৫.মনিটরের ডিসপ্লে পরিষ্কার রাখা।
  • ৬.স্ক্যানডিস্ক প্রোগ্রাম চালনা করা।
  • ৭.ভাইরাস স্ক্যান করা।

প্রতিমাসে যা অত্যন্ত একবার করা দরকার:

  • ১.ডিফ্র্যাগমেন্টেশন ও স্ক্যান করা।
  • ২.ড্রাইভের হেড পরিষ্কার রাখা।
  • ৩.কম্পিউটার খুলে ভিতরের অংশ পরিষ্কার করা।তবে এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।না জেনে কোন যন্ত্রে হাত না দেওয়াই উত্তম।
  • ৪.প্রিন্টার,কি-বোর্ড,মাউস পরিষ্কার করা।
  • ৫.ভেন্টিলেশন ফিল্টার পরীক্ষা করা।
  • ৬.এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম আপডেট করা।

প্রতি ছয় মাসে অত্যন্ত যা করা দরকার:

  • ১.সিডি ড্রাইভের গতি পরীক্ষা করে কম বেশি হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা।
  • ২.বিভিন্ন সংযোগ ও সংযোগ পিন পরিষ্কার করা।
  • ৩.প্রয়োজনীয় সফট্ওয়্যার আপডেট দেওয়া।
কম্পিউটারের আশেপাশে কোন ধাতব পদার্থ রাখা যাবে না এবং ইলেকট্রিক শক থেকে রক্ষা পাবার জন্য অবশ্যই কম্পিউটারের বিদ্যুত সংযোগ ব্যবস্থায় আর্থিং থাকা উচিত। 

আজ এ পর্য‍ন্ত। ধন্যবাদ।