শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং : ঘরে বসে অনলাইন আয়ের মাধ্যম। 






অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা অ্যাফিলিয়েশন হচ্ছে এমন একটি মার্কেটিং সিস্টেম, যার মাধ্যমে আপনি আনলাইনে ঘরে বসে আয় করতে পারেন। প্রথমেই জানা যাক অ্যাফিলিয়েশন বিষয়টি কী? অ্যাফিলিয়েশন হচ্ছে একটি মার্কেটিং সিস্টেম, যা বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি ব্যবহার করে। আমরা যদি বিশ্বব্যাপী বহুল পরিচিত অ্যামাজন স্টোর (amazon.com), ইবে স্টোর (ebay.com) ব্রাউজ করি, তাহলে দেখব এখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনা যায়। এখন এই অ্যামাজন বা ইবের পণ্য যদি আপনি নিজের জন্য না কিনে কোনো মাধ্যমে বিক্রি করে দিতে পারেন, তাহলে সেটিই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অর্থাৎ অ্যামাজন বা ইবের পণ্য আপনি যদি কোনো মাধ্যমে বিক্রি করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে এরা আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন দেবে। যেমন অ্যামাজন স্টোরের ১০০০ ডলারের পণ্য আপনি বিক্রি করিয়ে দিলে আপনাকে কমপক্ষে ৪০ ডলার কমিশন দেবে। এভাবে বিশ্বের প্রায় সব কোম্পানিই তাদের পণ্যের বিক্রির ওপর কমিশন দেয়। আর তা-ই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে যুক্ত হওয়ার লিঙ্ক পাওয়া যাবে এ সাইটে : http://www.affiliate-program.amazon.com.

অনেকেই হয়তো নিজেদের ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন হোস্টিং কিনে থাকেন। বিশ্বব্যাপী বহুল পরিচিত একটি হোস্টিং কোম্পানি হচ্ছে হোস্টগেটর (hostgator.com)। যদি হোস্টগেটরের হোস্টিং আপনি কোনো মাধ্যমে বিক্রি করাতে পারেন, তাহলে প্রতিটি বিক্রির জন্য হোস্টগেটর আপনাকে কমিশন দেবে। আর এ ধরনের মার্কেটিং করাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। হোস্টগেটরের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে যুক্ত হওয়ার লিঙ্ক পাওয়া যাবে এ সাইটে : www.hostgator.com/affiliates
যদি বাংলাদেশের একটি ওয়েরসাইট টেমপেস্নট তৈরি করে এমন একটি কোম্পানি জুমশেপারের (joomshaper.com) ওয়েবসাইট ভিজিট করেন, তাহলে দেখা যাবে এখান থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য থিম/টেমপ্লেট, প্লাগইন কেনা যায়। এখন এই থিম/টেমপ্লেট, প্লাগইন যদি আপনার মাধ্যমে বিক্রি হয় তাহলে জুমশেপার আপনাকে কমিশন দেবে। আর এই কমিশন পাওয়ার জন্য মার্কেটিং করাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। জুমশেপারের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে যুক্ত হওয়ার লিঙ্ক পাওয়া যাবে এ সাইটে : joomshaper.com/ affiliate/affiliates/

এভাবে বিশ্বের পায় প্রতিটি কোম্পানিরই অ্যাফিলিয়েট পণ্য রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে কী কী দরকার?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত অনলাইন মার্কেটিং। তাই আপনাকে কমপিউটার, ইন্টারনেট এবং ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। ইন্টারনেট মার্কেটিং সম্পর্কে (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ই-মেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং) ভালো ধারণা নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরম্ন করলে ভালো হবে।
ভালো ইংরেজি জানলে আর ঠিকমতো কাজ করলে পাঁচ থেকে সাত মাসের ভেতরেই আপনি দক্ষ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারবেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার জন্য যেসব বিষয় আপনাকে শিখতে হবে তা হলো :
* সাবলীল ইংরেজি লেখার ক্ষমতা।
* বস্নগ তৈরি ও তা রক্ষণাবেক্ষণ জানা।
* বস্নগ প্রমোশনের বা মার্কেটিংয়ের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) শিখতে হবে।
* সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং জানতে হবে।
* ই-মেইল মার্কেটিংয়ে দক্ষতা থাকতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যেভাবে করবেন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেকভাবে করা যায়। যেমন কোনো একটি রিভিউ সাইট তৈরি করে এরপর সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে ভিজিটর জেনারেট করে অথবা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা ই-মেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে।
প্রোডাক্ট রিভিউ সাইট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংওয়র অন্যতম একটি মাধ্যম। একটি জরিপে দেখা যায় :
* ৮৩ শতাংশ ভোক্তা বলেছেন প্রোডাক্ট রিভিউ তাদের পার্সেজ ডিসিশনকে প্রভাবিত করে।
* ৭০ শতাংশ ক্রেতা কেনার আগে অনলাইনে প্রোডাক্ট রিভিউ খোঁজেন।
* প্রায় অর্ধেকেরও বেশি ক্রেতা প্রোডাক্ট রিসার্চের অংশ হিসেবে সার্ভে এবং ভোক্তাদের রিভিউ পড়ে থাকেন।
* প্রায় ১০ জনের মধ্যে ৯ জন মার্কিনি কেনার আগে কোনো না কোনো সময় প্রোডাক্ট রিভিউ পড়ে থাকেন।

সাধারণত দেখা যায়, একজন ক্রেতা একটি পণ্য কেনার আগে সে সম্পর্কে অনলাইনে জানতে চান। যেমন একজন ব্যক্তি একটি Folding Bike কিনতে চান। সাধারণত বাইকটি কেনার আগে সে এটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। তখন তিনি হয়তো গুগল বা ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দেন Best Folding bike, Folding bike review, Folding bike price, Folding bike price in usa এসব কিওয়ার্ড লিখে। নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের জন্য আপনার প্রোডাক্ট রিভিউ সাইটটি যদি বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমে নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে প্রোডাক্ট অ্যাফিলিয়েটের মাধ্যমে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন।
কয়েকটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের অনেক বড় বড় সাইট বা নেটওয়ার্ক রয়েছে, যেগুলো থেকে সাইনআপ করে আপনি বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন। বিশ্বের বড় কয়েকটি অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক হচ্ছে :
কমিশন জাংশন           http://www.commissionjunction.com
ক্লিকব্যাংক                http://www.clickbank.com/
ওয়ান নেটওয়ার্ক ডিরেক্ট http://www.onenetworkdirect.com
লিঙ্কশেয়ার                http://www.linkshare.com/
অ্যামাজন                  http://www.amazone.com/
কমিশন সোআপ          http://www.commissionsoup.com/
শেয়ারএসেল              http://www.shareasale.com/
ওয়ারিয়রপস্নাস           http://www.warriorplus.com/
অ্যাফিলিয়েটউইন্ডো      http://www.affiliatewindow.com/

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোথায় শিখবেন?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে ইন্টারনেট মার্কেটিংয়ের অনেক কিছু জানতে হবে এবং প্রচুর পড়াশোনা করা দরকার। ইন্টারনেটে সার্চ করে বিভিন্ন লেখকের লেখা পড়ে, তাদের পিডিএফ বই পড়ে বা ভিডিও দেখেও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে পারেন। তবে ইন্টারনেট থেকে শিখতে প্রচুর সময় নষ্ট হতে পারে সরাসরি গাইডলাইনের অভাবে। কারণ আপনি ভালো রিসোর্স কোথায় আছে জানেন না এবং ইন্টারনেটে সার্চ করে সবকিছু পাওয়া অনেক দুরূহ ব্যাপার। হাতে-কলমে শেখার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রফেশনালি কেউ করছে তার কাছ থেকে বা ভালোমানের কোনো প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটেরও দারস্থ হতে পারেন, যারা দ্রুত আপনাকে একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার জন্য ভালো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হলো : এক্সপোনেন্ট একাডেমি (xponentacademy.com), ডেভসটিম ইনস্টিটিউট (devsteaminstitute.com) ও আইটি একাডেমি (sylhetitacademy.com)। প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপনি কোনো কোর্সে ভর্তি না হয়েও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে পরামর্শ নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কাজের সম্ভাবনা
অনলাইনে টাকা আয়ের সবচেয়ে বড় যে উপায়, সেটিই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। ২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, শুধু অ্যাফিলিয়েট মাকের্টিংয়ের মাধ্যমে মার্কেটারেরা আয় করেছেন ৬০ হাজার কোটি টাকা। বিশাল এই বাজারের ১ শতাংশও যদি আমরা ধরতে পারি, তাহলে প্রতিবছর দেশে আসবে ৬০০ কোটি টাকা। এই জায়গাটিতে পৌঁছানো খুব একটা কঠিন হবে না, যদি উপযুক্ত ট্রেনিং নিয়ে দক্ষতা অর্জন করা যায়।
আবার রিভিউ ব্লগ লিখে অ্যাফিলিয়েট মাকের্টিংয়ের ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্সসহ বিভিন্ন অ্যাড নেটওয়ার্কের মাধ্যমেও নিজের সাইট থেকে আয় করা যায়। এখান থেকেই আমাদের তরম্নণদের কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশে এখন এমন অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার রয়েছেন, যারা ব্লগ লিখে মাসে আয় করছেন ৩ থেকে ৮ হাজার ডলার পর্যন্ত ।  



কাজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে , অযথা সময় নস্ট না করে কাজে লেগে পড়া দরকার। সময় কারো জন্য বসে থাকে না। 

আজ এ পর্য‍ন্ত। ধন্যবাদ সবাইকে। 






শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৪

মাউস পয়েন্টার Hide করুন।

লুকিয়ে ফেলুন মাউস পয়েন্টার! 








আপনি ইচ্ছে করলে আপনার মাউস পয়েন্টারটিও লুকিয়ে ফেলতে পারেন। তখন আর কেউই আপনার পিসির কোন কুল কিনারা খুঁজে পাবে না। খুব সহজেই আপনি এই কাজটি করতে পারেন। আর এই কাজে আপনাকে সহায়তা করবে Cursor Hider। মাত্র ৪৬৮ কিলোবাইটের এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে পিসিতে ইন্সটল করে নিন। তারপর দেখুন মাউস বিহীন আপনার কম্পিউটার নিজের কাছে আর অন্যের নিকট কেমন লাগে।   








সার্চ‍ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

 SEO করার মত কিছু সাইট লিষ্ট দেখে নিন | 




SEO এর কাজ পাওয়া অনান্য কাজ পাওয়ার চেয়ে সহজ আর কাজটাও তুলনামুলকভাবে Easy. এখানে কিছু সাইটের লিংক দেওয়া হল যেখানে SEO করা যাবে। নিচে সাইট লিংক দেওয়া হল :- 

www.7cd.us
www.directmylink.com  
www.directoryfire.com   
www.elitesitesdirectory.com  
www.ellysdirectory.com  
www.fastdirectorylist.com  
www.globallistingsite.com  
www.linksguru.net  
www.red-links.com  
www.scirebuilders.org  
www.tajboy.com  
www.xsfzit.com  
www.myscsc.org  
www.submission4u.com  
www.wikidweb.com  
www.nexusdirectory.com  
www.synergy-directory.com
www.searchsight.com  
www.intranet-ufi.org  
www.epriwhio.com  
www.balkanfun.org  
www.nandosearch.com  
www.nareponline.com  
www.jotwell.us  
www.xtians.com  
www.allscenes.org  
www.prompt-seo.com  
www.ccadv.info  
www.cademocracyact.org  
www.generalbusinesswebdirectory.com  
www.bedwan.com  
www.popdizzy.com  
www.nonar.com  
www.momsdirectory.net  
www.happal.com  
www.smoothlisting.com  
www.submitlinkurl.com  
www.puppyurl.com  
www.pagenxt.com  
www.voxcap.com  
www.campagnenouveaudefi.com  
www.addbusiness.net
www.aaaarch.org  
www.bestfreewebsites.net  
www.boardse.com  
www.crunchenstein.net  
www.directory.am  
www.londovor.com  
www.theshoppings.com  
www.top-sites.org  
www.10pages.org  
www.10directory.com  
www.1adir.com  
www.2space.net  
www.2wdirectory.com  
www.aaawebdirectory.com  
www.aaf14.org  
www.abydosgate.com  
www.add-page.com  
www.addsitefree.com  
www.addyourlnksnow.com
www.advanceddirectory.org  
www.agrieducation.org  
www.allnicesites.com  
www.apexoo.com  
www.aresdirectoryresource.com  
www.askdirectory.com  
www.auhana.com  
www.az-links.info  
www.bestdamndirectory.com  
www.blahoo.net  
www.blais-family.com  
www.bloggingdirectory.org  
www.botmee.com  
www.bpdir.com  
www.buysellinnz.com  
www.buysll.com  
www.cheapdirectory.net  
www.chicagoix.com  
www.craigs-directory.com  
www.ctapda.com  
www.dawsoneng.com  
www.dearbetty.com  
www.dir-listing.com  
www.directorise.com  
www.directoryoftheweb.com  
www.directorysphere.com  
www.directorystaff.com  
www.directoryws.com  
www.dmozonline.com  
www.dynamicwebdir.com  
www.eicq.org  
www.enforum.net  
www.estimamo.com  
www.exospy.com  
www.fairelection.us  
www.finest4.com  
www.firectory.com  
www.foxdirectory.tk  
www.free-links-articles-directory.com  
www.free-submission.net  
www.free-webdirectory.net  
www.freenetdir.com  
www.freesubmitdirectory.info  
www.freewebsitedirectories.com  
www.fulllogo.com  
www.fwebdirectory.com  
www.getweblist.com  
www.global-markings.com  
www.halfwaymag.com  
www.humanedited.org  
www.hydeparkbooks.com  
www.increasedirectory.com  
www.indexwebdirectory.com  
www.indiawebdirectory.net  
www.informationcrawler.com  
www.insectuniverse.com  
www.istriebro.com  
www.jaborwhalky.com  
www.joinsociety.com  
www.koaladir.com  
www.link-your-site.com  
www.link1directory.com  
www.linkadded.com  
www.linkdir.info  
www.linkpedia.net  
www.linkroo.com  
www.list-your-website.com  
www.nkssnet.net  
www.okaysites.com  
www.phillyfirstonthefourth.com   

কিছু সাইট ডাউন থাকতে পারে তাই Check করে লিংক Submit করবেন। 


ধন্যবাদ সবাইকে। 







শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৪

Slow কম্পিউটার করে নিন Fast.

কম্পিউটার হ্যাং এবং স্লো হবার সমস্যা থেকে বাচার উপায়।


কম্পিউটার এ কাজ করতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ি, যেমন মাঝে মাঝে কাজ করতে করতে হঠাত মনে হয় এই বুঝি কমে গেল কম্পিউটার এর স্পিড। এই বুঝি হ্যাং হয়ে গেল, মাথায় রাগ উঠে যায়, দিয়ে দেই রিস্টার্ট এর বাটনে চাপ, হ্যাং হবার যন্ত্রণা কিংবা স্লো হবার বিরক্তিকর অবস্থা কারোরই কাম্য নয় । 
কম্পিউটার হ্যাং হয়ে গেলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা উচিত, অন্তত ৫ মিনিট, তারপর ctrl+alt+del দিয়ে চেষ্টা করা উচিত  চলমান প্রোগ্রামগুলো অফ করা, তাতেও কাজ না হলে রি-স্টার্ট দেয়াই শ্রেয়। কম্পিউটার হ্যাং এবং স্লো হবার সমস্যা থেকে বাচার জন্য  নিচের নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করুন :-
প্রথমে স্বাভাবিক অবস্থায় আপনার কম্পিউটার এর কন্ট্রোল প্যানেল এ যান ... 



তারপর এড রিমুভ প্রোগ্রাম এ গিয়ে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়ার থাকলে সব রিমুভ করে দিন ...



এবার যান সিস্টেম এ ... 



সিস্টেম এ গিয়ে এডভান্স অপশন এ যান ... নিচে এরর রিপোর্টিং এ ক্লিক করে ডিজেবল করে ওকে করুন ...



আর এডভান্স অপশন থেকে ভার্চুয়াল মেমরি বাড়িয়ে নিন এবং গ্রাফিকাল অপশনগুলো  অফ করে দিন । 
পেন ড্রাইভ স্ক্যান না করে কম্পিউটার এ লাগিয়ে কাজ করা উচিত নয়, আপনার পিসিতে পেন ড্রাইভ লাগালেই তা অটোরান হয়ে যায়, ফলে খুব সহজেই ভাইরাস ছড়ানোর আশংকা থেকে যায়। তাই অটোরান বন্ধ করার জন্য আমরা নিচের কাজ টি করব।
প্রথমে রান এ যান কিংবা উইনডোজ লোগো কি + R  প্রেস করে তাতে লিখুন gpedit.msc  এন্টার দিন ...


এখান থেকে একটি গ্রুপ পলিসি ওপেন হবে, এখানে লোকাল কম্পিউটার পলিসি থেকে কম্পিউটার কনফিগারেশন, এডমিনিস্ট্রেটিভ এর অধীনে সিস্টেম এ ক্লিক করুন ... 



ডান পাশে সকল অপশন গুলো শো করবে ... এখান থেকে টার্ন অফ অটো  প্লে অপশন এর প্রপার্টিজ এ যান ... 



টার্ন অফ অটো প্লে প্রপার্টিজ এ  টার্ন অফ অটো প্লে Enabled এ ক্লিক করে টার্ন অফ অটো  প্লে অন এ all drives সিলেক্ট করে ওকে করুন ।
এবার আবার একইভাবে রান এ যান কিংবা উইনডোজ লোগো কি + R  প্রেস করে তাতে লিখুন msconfig  লিখে  এন্টার দিন ...


এখান থেকে অপ্রয়োজনীয় অপশন গুলো ডিজেবল করে ওকে করে দিন ... এসব প্রোগ্রাম রান হয়ে থাকলে আপনার কম্পিউটার এমনিতেই স্লো হয়ে থাকবে ... 



আরো কিছু টিপস :

  • অনেক দিন যাবত অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল না দিয়ে থাকলে নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম সেট আপ করুন। আপনার পিসির স্পিড আগের চেয়ে অনেক বাড়বে ।

  • এন্টিভাইরাস নিয়মিত আপডেট রাখুন, আর এক কম্পিউটার এ কখনো ২টি এন্টিভাইরাস ইনস্টল করবেননা ।
  • ৬ মাসে অন্তত একবার আপনার কম্পিউটার খুলে পরিস্কার করুন, এতে আপনার কম্পিউটার এর রেম ও পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ভালো থাকবে এবং অন্যান্য ডিভাইস নষ্ট হওয়ারও ঝুকি থাকবেনা । 
  •   প্রতি সপ্তাহে আপনার কম্পিউটার এর জমে থাকা অতিরিক্ত ফাইল মুছে ফেলুন।
  •  উইনডোজ লোগো কি + R প্রেস করে recent, cookies লিখেও ফাইলগুলো মুছে ফেলুন ।
  •  অপ্রয়োজনীয় বা অপরিচিত কোনো ওয়েবসাইট  এ সাইনআপ করবেননা । 




আজ এ পর্য‍ন্তই। ধন্যবাদ সবাইকে।





বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

Windows ক্রাশ প্রতিরোধ এর ৮টি উপায়।

Windows ক্রাশ প্রতিরোধ এর ৮টি উপায়।


আমরা যারা পিসি চালাই অনেকে সময় আমাদের windows crash করে। আর এর জন্য আমাদের বিপদেরও শেষ থাকে না। এই যেমন ধরুন আপনি একটা গুরুত্ব পূর্ন ফাইল রেখেছেন আর আপনি যখন পিসি অন করলেন আর আপনার windows cras করল তখন আপনার কি অবস্তা সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে সংগৃহীত ক্রাশ প্রতিরোধ এর কিছু উপায় আলোচনা করব। 




দেখে নেই এক নজরে ক্রাশ প্রতিরোধ এর উপায় গুলিঃ

১) ভাল মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করেন। যেমন, ম্যাকাফি / নরটন এন্টিভাইরাস। এন্টিভাইরাস আপনার মেমরির কিছু অংশ হয়ত দখল করবে। কিন্তু এটি আপনার কম্পিউটার কে ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখবে। আর প্রতি ২ মাস পর পর আপনার এন্টিভাইরাস টি আপডেট দিন। আর মাসে অন্তত আপনার এন্টিভাইরাস দিয়ে সম্পূর্ণ পিসি স্ক্যান করুন। কোন কিছু ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড দেয়ার পর স্ক্যান করে নিন।  
২) আপনার কোন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল এর ব্যাকআপ করে নিন। যদিও এটি একটি বিরক্তকর জিনিস। কিন্তু সিস্টেম ক্রাশ হলে আপনার ঐ গুরুত্বপূর্ণ ফাইল টি যদি না খুজে পাওয়া যায় তাহলে মন খুব খারাপ হয়ে যাবে।
৩) সপ্তাহে অন্তত আপনার ড্রাইভ গুলো স্ক্যান ডিস্ক দিয়ে স্ক্যান করিয়ে নিন। এর জন্য আপনার ড্রাইভ এর উপর রাইট ক্লিক করে প্রপারটিজে এ ক্লিক করুন। তার পর টুলস ট্যাব এ প্রবেশ করে স্ক্যান ডিস্কে ঢুকে আপনার ড্রাইভ টি স্ক্যান করুন। এটি আপনার হার্ডডিস্ক টি চেক করে এরর গুলো রিপেয়ার করে দিবে।
৪) প্রতি মাসে অন্তত একবার আপনার ড্রাইভ গুলো ডিফ্রাগমেন্ট করে নিন। এতে আপনার পিসির পারফরমেন্স বাড়বে।
৫) স্টার্ট আপ থেকে অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করে ফেলুন।
৬) অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সটল করবেন না। করা থাকলেও আনইন্সটল করে ফেলুন।
৭) বেশি প্রোগ্রাম একসাথে রান করবেন না। ফলে আপনার মাল্টিটাস্কিং সুবিধা নিতে গিয়ে সিস্টেম রির্সো‍স ঘাটতি ঘটে আপনার সিস্টেম ক্রাশ করবে। 
৮) ক্রাশ প্রটেক্টর সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। 





আজ আর নয়, ভালো থাকবেন সবাই। ধন্যবাদ। 




শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৪

মাইক্রোসফট অফিস সমস্যা ও সমাধান।

মাইক্রোসফট অফিস এর কিছু বিড়ম্বনার সমাধান জেনে নিন। 

আমরা কম্পিউটারে বাংলা টাইপ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ি । বিজয় কীবোর্ড ব্যবহারে যারা অভ্যস্ত নয় তারা অভ্র কিংবা অন্যান্য সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইউনিকোড এর সহযোগীতা নিয়ে থাকেন । কিন্তু পাশাপাশি আরেকটি বিড়ম্বনা পোহাতে হয় অফিস প্রোগ্রামের ফাইলসমূহ নিয়ে । আপনি যে কম্পিউটারে কাজ করছেন তাতে হয়তো অফিস এর আপডেট সংস্করণ রয়েছে । কিন্তু এই আপডেট সংস্ককরণে তৈরী করা ফাইল অন্য কম্পিউটারে নাও চলতে পারে যদি না সে কম্পিউটারে মাইক্রোসফট অফিস এর আপডেট সংস্করণ না থাকে কিংবা ফাইলটি সেভ করার সময় আপডেট অপশনটা পরিবর্তন করে দেয়া না হয় ।
সাধারণত এ ধরনের সমস্যায় প্রায়ই পড়তে দেখা যায় । কিন্তু এর সমাধান আপনার কাছেই আছে ।  বিশেষ করে অফিস ২০০৭ এবং এর সকল আপডেট সংষ্করণ ব্যবহার করলে এরকম বিড়ম্বনা তৈরী হতে পারে ।  তবে সামান্য একটি কাজ করলেই আপনাকে আর এ বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না । চলুন দেখি কিভাবে করা যায় । 
মাইক্রোসফট অফিস ২০০৭ অথবা এর আপডেট সংষ্করণ এর মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
এর হোম আইকনে ক্লিক করুন । এখানে ওয়ার্ড অপশন ক্লিক করুন । 



Word Options এ ক্লিক করলে Save অপশন সিলেক্ট করুন ।
এখানে Save file in this format অপশনে সিলেক্ট করুন Word 97-2003 (doc)
তারপর OK করুন । 


একইভাবে মাইক্রোসফট এক্সেল ওপেন করে একই কাজ করুন ।



একইভাবে মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট ওপেন করে একই কাজ করুন । 


ব্যাস হয়ে গেল, এখন থেকে আপনার সব ফাইল 97-2003 এর ফরমেটে সেভ হবে । ফলে মাইক্রোসফট অফিস এর নতুন কিংবা পুরনো কোন ভার্সন নিয়ে ভাবতে হবে না । ফাইল ওপেন হবে কি হবে না তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই । সবক্ষেত্রেই আপনি ফাইল ওপেন করতে পারবেন । ওয়ার্ড এর ক্ষেত্রে docx, এক্সেল এর ক্ষেত্রে xlsx, পাওয়ার পয়েন্ট এর ক্ষেত্রে pptx এসব পরিবর্তিত হয়ে যথাক্রমে doc, xls ও ppt ফরমেটে সেভ হবে।  আপনার মাইক্রোসফট এর সংষ্করণ যদি পুরনো হয় অর্থাৎ ২০০৩ এবং এর পূর্বের হয় তবে আপনাকে আর এ কাজটি করতে হবে না।

যারা পুরনো সংষ্করণ ব্যবহার করছেন এরকটি পদ্ধতিতেও তারা আপডেট সংস্করণ এর ফাইল খুলতে পারেন । এজন্য নিচের লিংকে ক্লিক করে ফাইল ফরমেট কনভার্টার সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন । 

DOWNLOAD LINK PLEASE  "CLICK HERE"   

পাশাপাশি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড প্রোগ্রাম-এ বাংলা লিখতে গেলে যদি ভুল আসে সেক্ষেত্রে টুলস-এ গিয়ে অটো কারেক্ট অপশনগুলো আনচেক কিরে দিন । 


নিচের সবগুলো অপশন আনচেক করে দিলে আপনি আর বাংলা লেখায় ভুল কিংবা উল্টা পাল্টা অক্ষর দেখতে পাবেন না  । 





ধন্যবাদ সবাইকে, ভালো থাকবেন। 



USB device not recognized.

USB device not recognized ম্যাসেজের সমাধান করুন। 




কম্পিউটারে USB ব্যবহার করেছেন অথচ উপরের মেসেজটি পাননি এরকম মানুষ খোজেঁ পাওয়া যাবেনা। যদি আপনার ডিভাইস বোর্ড নষ্ট না থাকে তাহলে যে সমস্যা গুলো হবে তার সমাধান আছে।
এর থেকে সমাধান পাওয়ার জন্য কিছু টিপস এর আলোচনা নিচে করলাম।
1. Start>Run এ গিয়ে Devmgmt.msc লেখেOK করুন। Device Manager window আসবে।
2. “Universal Serial Bus controllers”এর + এ ক্লিক করুন।
3. USB Root Hub এ রাইট click করে Properties এ যান। USB Root Hub Properties dialog box আসবে।
4. Power Management tab এ Click করুন।
5. “Allow the computer to turn off this device to save power check box” থেকে ঠিক মার্ক তুলে দিয়ে OKকরুন।
6. যতটা “USB Root Hub” আছে (সম্ভবত ৫টি) সবগুলোতে ৩ থেকে ৫নং কাজগুলো করুন।
7. এবার Action menu তে গিয়ে Scan for hardware changes এclick করুন। কাজ হলে ডিভাইস মেনেজার বন্ধ করুন।
8. কয়েকজন (এক্সপি) ব্যবহারকারী বলেছেন তাদের C:\WINDOWS\inf ঠিকানায় usbstor.inf and usbstor.pnf (হিডেন) ফাইলগুলো মুছে গিয়েছিল। ফলে তাদের পিসি কোনভাবেই ইউএসবি পেতনা। পরে তারা ঐ ফাইলগুলো অন্য জায়গা থেকে কপি পেষ্ট করে দিয়েছেন। এতে তারা সমাধান পায়।
9. ভাইরাসের আত্রমণ, এন্টিভাইরাসের স্ক্যান, নতুন প্রোগ্রাম ইন্সটল করার কারণে অনেক সময় Windows এর গুরুত্বপূর্ণ ফাইল Replace,Upgrade বা Delete হয়ে যায়। ফলে এ মিসিং ফাইলটিও ৪ নং এর মত উক্ত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এরকম ফাইল মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে উইন্ডোজ রিপেয়ার বা নতুন ইন্সটল করলে কাজ হতে পারে। তবে রিপেয়ার বা নতুন ইন্সটলের চাইতে নিম্মের ৬ নং কাজটি আরো কার্যকর।
10 মাইক্রোসফট আরো সমাধান হিসেবে আপডেট সার্ভিস প্যাক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন ইউএসবি পোর্ট এ ধূলাবালি লেগেও এই সমস্যাটা ঘটতে পারে। তাই ইউএসবি পোর্টসহ পুরো মাদারবোর্ড মাঝেমধ্যে ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে।


ধন্যবাদ সবাইকে, ভালো থাকবেন। 

বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৪

শেয়ার কম্পিউটারে নিজের পার্সোনালিটি বজায় রাখুন।

আপনার কম্পিউটারের নির্দিষ্ট ড্রাইভে অন্য ইউজারদের একসেস বন্ধ করুন ।



আপনি যদি চান যে আপনার পিসিতে অন্য ইউজারদের লিমিটেড একসেস থাকবে আপনি সেটা করতে পারবেন খুব সহজেই, এমনকি আপনি বিভিন্ন ড্রাইভের একসেসও বন্ধ করতে পারবেন।




এজন্য আপনার ইউজার একাউন্টটি একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রটেক্ট করে নিতে হবে। এবার অন্য ইউজারদের জন্য একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। create a new account এ ক্লিক করে, পছন্দমতো নাম দিয়ে next এ ক্লিক করুন। এখনে অ্যাকাউন্ট টাইপ Limited রেডিও বাটনে সিলেক্ট করে create account বাটনে ক্লিক করলে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে নিন।
এখন My Computer open করে Tools> Folder Option এ গিয়ে view Tab এ ক্লিক করুন। এবার advance Setting থেকে scrol করে নিচে নেমে Use Simple File Sharing (Recommended) এর বা পাশের টিক মার্ক তুলে OK দিন।
ধরুন আপনি চাইছেন অন্য ইউজারকে আপনার পিসির একটি ড্রাইভ একসেস করতে দিবেন না। যে ড্রাইভে একসেস করতে দিবেন না, সেই ড্রাইভের উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Properties এ যান। এখন secirity Tab এ গিয়ে add বাটনে ক্লিক করুন, এবং নতুন যে ইউজার অ্যাকাউন্ট তৈরী করেছেন তার নাম লিখে OK দিন।
এখন সেই নামের উপর ডাবল ক্লিক করুন, যে ডায়ালগ বক্সটি আসবে Permission for a থেকে Full Control Deny তে মার্ক করে Apply ও Ok দিন। এক্ষেত্রে একটু সময় নিতে পারে।
এবার Start menu থেকে Log off User Name -এ ক্লিক করুন এবং নতুন অ্যাকাউন্টে Log On করে দেখুন ওই ড্রাইভে আর একসেস করা যাচ্ছেনা। এছাড়া লিমিটেড ইউজার অ্যাকাউন্ট হওয়ায় আরো অনেক একসেস বন্ধ হয়ে যাবে।  



ধন্যবাদ সবাইকে।




ক্লোজ করুন আপনার ফেসবুক একাউন্ট।

যেভাবে চিরদিনের জন্য বন্ধ করবেন আপনার ফেসবুক একাউন্ট। 





ফেসবুক এখন পৃথিবীর টক অফ দা টাইম, কারনে অকারনে মানুষ এখন সারাদিন ফেসবুকের সাথে থাকতে ভালবাসে । এই ফেসবুকই আবার হয়ে উঠে বিড়ম্বনার কারন । যদি আপনার তেমনি হয়ে থাকে তাহলে জেনে নিন কিভাবে ক্লোজ করবেন আপনার ফেসবুক একাউন্ট ।

Deactivate করুন Facebook একাউন্ট

একাউন্ট বন্ধ করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আগে Deactivate করে নিন আপনার Facebook একাউন্টটি ।
১. প্রথমে ফেসবুকে লগইন করে Settings > Account Settings > Deactivate Account তে যান । অথবা এই লিংকে যান ।
২. এবার আপনাকে একটি ফরম দ্বারা জিজ্ঞাস করা হবে কেন আপনি একাউন্ট ডিএ্যাকটিভেট করতে চান । ফরমটি পূরন করে Deactivate My account চাপুন ।
এবার আপনার একাউন্টটি Deactivate হয়ে যাবে । তবে এরপরও হয়ত আপনি ট্যাগ , ইনভাইটেশন ইত্যাদি পেতে থাকবেন । এগুলো থেকে মুক্ত হতে একেবারে ডিলেট করে দিন আপনার এ্যাকাউন্টটি ।

Delete করুন Facebook একাউন্ট

এবার ফেসবুকে লগইন করা অবস্থায় এই লিংকটিতে যান । এবং এবার একটি নোটিশ পাবেন যে , আপনার এ্যাকাউন্টটি ডিলেট করে দিলে আপনার ছবি , মেসেজ সহ সকল ডাটা মুছে যাবে যা আপনি আর কখনোই ফেরত পাবেননা । রাজি থাকলে Submit বাটানটি চেপে চিরদিনের জন্য ডিলেট করে দিন আপনার ফেসবুক একাউন্ট ।

সতর্কতা: আপনার এ্যাকাউন্টটি ডিএ্যাকটিভেট বা ডিলেট করে দিলে আপনার ছবি , মেসেজ সহ সকল ডাটা মুছে যাবে যা আপনি আর কখনওই ফেরত পাবেননা । তাই এগুলো ফলো করার আগে নিজে নিশ্চিত হয়ে নিন যে ভবিষ্যতে এগুলোর দরকার হবে না ।    


ধন্যবাদ সবাইকে।